������������������������
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
‘দৈনিক প্রথম আলোর’ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে 'ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১' প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯।
তিনি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড দ্বারা উপস্থাপিত ‘মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট -২০২১" বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন।
বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে, আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সেল বলেছেন, আর্টিকেল ১৯ এর পক্ষ থেকে, আমি রোজিনা ইসলামকে রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট ২০২১ ক্যাটাগরিতে ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাংবাদিক রোজিনা
ফয়সেল বলেন, সাংবাদিক ও মুক্তচিন্তার মানুষের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলেছে এবং সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রোজিনা ইসলামের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে ।
রোজিনা ইসলাম তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ২০২১ সালের ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটক ছিলেন।
ফারুক ফয়সেল বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম ও সাহসী সাংবাদিকতা সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, রোজিনা ইসলাম প্রতিকূলতার মধ্যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হওয়ায় তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
আর্টিকেল ১৯ রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এবং তার পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
জেলা পরিষদকে আরও কার্যকর করতে আইন সংশোধন হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদ আইনকেও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জেলা পরিষদকে শক্তিশালীকরণ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের কাজ চুড়ান্ত করা হয়েছে, যা মন্ত্রী পরিষদ সভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আজকের এই সভার মাধ্যমে অথবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের যদি যৌক্তিক কোনো মতামত ও পরামর্শ থাকে তাহলে সেগুলোকেও আমলে নিয়ে সংশোধন করে আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কয়েকটি জেলায় ১৩-১৬টি উপজেলা রয়েছে। আবার কোনো জেলায় তিনটি অথবা পাঁচ থেকে ১০টি উপজেলা রয়েছে। কিন্তু সকল জেলা পরিষদ সদস্য সংখ্যা ২০ জন।
অন্যদিকে প্রত্যেক জেলা আর্থিকভাবে সমান নয়। তাই সংশোধিত আইনে প্রতিটি উপজেলা থেকে একজন করে সদস্য এবং তিনটি উপজেলা থেকে একজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা থেকে মেয়র/প্রতিনিধি পরিষদে সদস্য থাকবেন।দেশের উন্নয়নে জেলা পরিষদকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানই একদিনে শক্তিশালী ও সক্ষম হয় না। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। এই কর্মশালায় সকলের পরামর্শ এবং মতামত গ্রহণ করে একটি কার্যকর ও শক্তিশালী জেলা পরিষদ গঠন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীরস্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের সত্যিকার চ্যাঞ্জম্যাকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে একটি পরিকল্পিত দেশ দরকার। তাই শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জ সবজায়গাতেই পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।পরিকল্পনাবিদ নিয়োগসহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তখনই মর্যাদাশীল হয় যখন তার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা থাকে। জেলা পরিষদেও এটি নিশ্চিত করতে হবে।মন্ত্রী জানান, বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী। এই ভূখণ্ডে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে। দেশের এই সম্প্রীতির বন্ধনে আঘাত করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীস্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর নাথালিয়া চুয়ার্ড।এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার প্রতিনিধি অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান দীর্ঘ চব্বিশ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিফলন। শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য। জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫০তম সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ '৭২এর সংবিধান' সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন: স্পিকার
স্পিকার বলেন, গণপরিষদের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই সংবিধান। শাসনতন্ত্র ব্যতীত কোন দেশ পাল ও মাঝিবিহীন নৌকার সমান বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংবলিত থাকবে, যার প্রতিফলন আমরা তার ৪ নভেম্বর গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণে দেখতে পাই।
বাহাত্তরের সংবিধানকে বঙ্গবন্ধু 'জনগণের শাসনতন্ত্র' বলে অভিহিত করেছেন। ৪৮-৪৯ থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬এর ৬দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে বাহাত্তরের সংবিধানের ভীত ও চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি : স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ৭৫এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সমগ্র প্রেক্ষাপটকে পাল্টে দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং সংবিধানকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ ও মানুষের আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম করেছেন, তার ভিত্তিতে রচিত বাহাত্তরের সংবিধানের লক্ষ্য অর্জনে সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাশেদ খান মেনন এমপি, হাসানুল হক ইনু এমপি ও আরমা দত্ত এমপি বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
ডিসেম্বরে দুটি মেগা ইভেন্টে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ- ভারত
আগামী মাসে দুটি মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করতে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ যথাক্রমে ৬ ও ১৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হবে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিজয় দিবস উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়
এটি নিশ্চিত হলে, ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতির এটিই হবে প্রথম বাংলাদেশে সফর। কারণ তিনি ২৫ জুলাই, ২০১৭-এ শপথ গ্রহণ করেছেন।
২৬ থেকে ২৭ মার্চ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এই সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধ শতাব্দীর অংশীদারিত্বের প্রতীক যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তিশালী, পরিপক্ক ও বিকশিত করেছে।
ইতিহাসের এই যুগান্তকারী দিনটিকে উদযাপনের জন্য ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকার যৌথভাবে ‘লোগো ও ব্যাকড্রপ’ ডিজাইনিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
লোগো ও প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশি সংগ্রামের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই সংগ্রামে ভারতের জনগণের প্রসারিত ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি ভারত ও বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত এন্ট্রি গ্রহণের শেষ তারিখ ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর করা এক রিটের শুনানিকালে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল হোসাইন মোরশেদ বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে মহিউদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এতে তার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তখন আদালত বলেন, ঋণখেলাপির কোনো সাংবিধানিক অধিকার থাকতে পারে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণের এতই যখন ইচ্ছা, তাহলে নির্ধারিত সময়ের আইনে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আদালত বলেন, ছোট হোক বড় হোক আইন সবার জন্য সমান। একজনের জন্য আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারি না। পরে আদালত মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আগামী ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: ক্যাসিনোকাণ্ড: চার মামলায় জয় গোপাল সরকারের জামিন বাতিল
কিন্তু ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে ২৫ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা নির্বাচন কমিশনার অফিসার ও নির্বাচনী আপিল কর্তৃপক্ষের কার্যালয়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী।
নিয়ম অনুযায়ী হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী তাদের ফাঁসি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, 'যথাযথ নিয়ম মেনে তাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের জানা নেই। ফাঁসি দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সিস্টেমের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।’
আরও পড়ুন: আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ সঠিক নয়: আইনমন্ত্রী
আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জানা মতে এই রকম ঘটনা ঘটেনি। প্রথম কথা হলো এই। ফাঁসির ক্ষেত্রে একটা প্রসিডিউর আছে। যিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হন, প্রথমে তিনি আপিল করতে পারেন। তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিল না মঞ্জুর হওয়াতে তিনি আবার আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। জেল থেকে তিনি আপিল করেছেন, যেটাকে জেল আপিল বলে। জেল আপিল নিষ্পন্ন হওয়ার পরে, না মঞ্জুর হওয়ার পরে তিনি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। এরপর সিস্টেম অনুযায়ী তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীতিনি বলেন, ‘আমরা যেটুকু দেখেছি, যথাযোগ্য নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে, প্রত্যেকটি স্টেপের পর যে স্টেপ সেই স্টেপই আসছে। কোন আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের জানা নেই।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের যে সিস্টেম সেই সিস্টেমে কোন ব্যত্যয় হয়নি।
আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ সঠিক নয়: আইনমন্ত্রী
আপিল শুনানির আগে চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তাঁর কাছে যে তথ্যাদি আছে সেটার সাথে প্রকাশিত খবরের মিল নেই। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আপিল শুনানির আগে তাদের মৃত্যুণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে, এ কথাটি কিন্তু সঠিক না।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবে না: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদেরকে বিচারিক আদালতে মৃত্যুণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুণ্ডাদেশ 'কনফার্ম' করা হয়েছিল। এরপর তারা জেল আপিল করেছিলেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখেন। সবশেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সুতরাং আপিল শুনানির আগে তাদের মৃত্যুণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে, এ কথাটি কিন্তু সঠিক না।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ আইনের অপব্যবহারের ব্যাপারে আমরা বড় কঠোর হবো। যেই এ আইনের 'মিসইউজ ও অ্যাবিউজ’ করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি। তার কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি আইন। বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়নি- আমি বারবার এ কথা বলবো। তিনি বলেন, যারা এ আইনের অপব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আরও দুটি বিষয়ে কথা হয়েছে। এর প্রথমটি হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেই যে মামলা নিয়ে নিবে সেটা হবে না। আইসিটি আইনের একটি ধারা আছে, সে ধারায় একটি সেল আছে, সেখানে সন্তুষ্ট হতে হবে, তারপর মামলা হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে যেন তাদেরকে গ্রেপ্তার না করা হয়।
করোনা: মৃত্যু সাত, শনাক্ত ২৪৭
মহামারি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ২৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৫ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার করোনায় সাত জনের মৃত্যু ও ২৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৬৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৪৮ মিলিয়ন ছাড়াল
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের ২৪ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৪৯০ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫০ লাখ ২১ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৫০ হাজার ৪১০ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ আট হাজার ২৩৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৩ লাখ ৮ হাজার ১৪০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৯ হাজার ১৯১ জনে।
এদিকে, গত কয়েকদিন থেকে রাশিয়া হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। দেশটি করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্স একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৪৪৩ এবং এক হাজার ১৮৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।গত মাস থেকে প্রায় প্রতিদিনই টাস্ক ফোর্স দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাশিয়ায় সংক্রমণে নতুন রেকর্ড
ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে স্কুলগামী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কাজী জিনাত হক, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌস।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ৫৯১৬/২০০৮-এ ১৪/০৫/২০০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রদত্ত রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে কমিটি গঠন করা হলো।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১০৪ শিশু, ১৩৬ নারী নির্যাতনের শিকার: মহিলা পরিষদ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, ‘কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচ জন সদস্য থাকবেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে।’ এ বিষয়ে সচেতনতা ও জনমত তৈরির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।’
হাইকোর্টের রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। প্রায় এক যুগ আগে দেয়া হাইকোর্টের ওই রায় বাস্তবায়ন করলো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিকরা।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ট্যাঙ্ক লরি ও প্রাইম মুভার্স মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী বৃহস্পতিবার সংগঠনের জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকার গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল ‘অযৌক্তিক’ ভাবে ২৫৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করে এবং তারপর জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দেয়।
তারা জানান, গত দুই বছরে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহন মালিকরা যখন করোনার লকডাউনের কারণে সৃষ্ট তাদের বিশাল ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখন সেতুর টোল ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজেল, কেরোসিনের দাম বেড়ে লিটার প্রতি ৮০ টাকা
ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তাদের পরিসেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আর্ন্তজাতিকভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম পুণনির্ধারণের দাবি জানান তারা।
সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে। বুধবার বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,নতুন মূল্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হবে। তবে, অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে সারা দেশের সাথে রাজশাহীর বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তাদের আমদানি করা দামের চেয়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১৩ দশমিক ০১ টাকায় ও ফার্নেস অয়েল ৬ দশমিক ২১ টাকায় বিক্রি করায় প্রতিদিন সরকারের ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
তাই, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানো হয়েছে।