������������������������
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ জনসম্মুখে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটা দিনের আলোর মত সত্য যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার জড়িত থাকার সাক্ষ্য-প্রমাণ কমিশনের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যখন এ মামলার তদন্ত হয় তখন জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়নি। কারণ তখন তিনি মৃত। মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার সুযোগ নাই। বাংলাদেশের আইনে মরণোত্তর সাজা দেয়ার কোনো বিধান নাই। আইনের বাইরে গিয়ে শুধু তামাশা করার জন্য একজনকে সাজা দেয়া যায় না। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে যে জিয়াউর রহমান জড়িত সেটার সাক্ষ্য প্রমাণ, ইনশাআল্লাহ এই কমিশনের (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশিলবদের খুঁজতে কমিশন গঠিত হবে) মাধ্যমে জন সম্মুখে প্রকাশ করা হবে। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধ পরিকর বলে আইনমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, শুধু তার সরকার নয় আওয়ামী লীগ যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের একজন বেঁচে থাকলেও হত্যাকারীদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করা হবে। খুনিদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ চলমান প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিশদ কিছু বলতে গেলে এ প্রক্রিয়ার কিছু ব্যাঘাত হবে। তবে এই ব্যাপারে সরকারের কোন শিথিলতা নেই। খুনিদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও আলাপ আলোচনায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন শুধু তারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়। এর পিছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারী কারা তাদেরকে অন্ততপক্ষে চিহ্নিত করে দেশের মানুষের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি কমিশন গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিগত ৮ মার্চ, ২০২০ থেকে করোনার মহামারি শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই কমিশনের রূপরেখা কি হবে, কমিশনের কার্যাবলী কি হবে, কমিশন কাদের দ্বারা গঠিত হবে তা দেশবাসী জানতে পাবেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পলাতক খুনি মুসলেম উদ্দিন ভারতে পলাতক রয়েছেন এমন প্রশ্নের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা তা যাচাই বাচাই করে দেখেছি। এখন পর্যন্ত তার কোন সত্যতা আমরা পাইনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন: আইনমন্ত্রী
সারিয়াকান্দির জামথল-কালিতলা নৌরুটে সি-ট্রাক সার্ভিস চালু
বগুড়ার সারিয়াকান্দি এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জের মধ্যে যাত্রী সার্ভিস (সি-ট্রাক) চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল ঘাটে এই যাত্রী সার্ভিস এর উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সী-ট্রাক শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ মাদারগঞ্জ ও সারিয়াকান্দি নৌরুটে চলাচল করবে। এই নৌরুটের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। মাদারগঞ্জ থেকে সারিয়াকান্দি যেতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। সী-ট্রাকটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন। যাত্রী প্রতি ভাড়া ১০০ টাকা।
উদ্বোধনের পর নৌ প্রতিমন্ত্রী সি-ট্রাক যোগে সারিয়াকান্দির কালিতলা ঘাটে পৌঁছান। সেখানে তিনি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, কোন সরকারই সারিয়াকান্দিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। সারিয়াকান্দিকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকার আপনাদের ভাত দিয়েছে, কাপড় দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, আপনাদের থাকার জায়গা দিয়েছে, বিনামূল্যে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ বছরেও সংস্কার হয়নি কুমিল্লার জগতপুর-সাদকপুর সড়ক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী শাসন না, নদী ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নান্দনিক বাংলা গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আমরা যমুনা করিডোর প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সারাদেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় নৌবাহিনীর ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। আমাদের উন্নয়ন দেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এদেশে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে।
সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ, বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য ডা. মকবুল হোসেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
আরও পড়ুন: বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
উত্তরবঙ্গের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষ্যে এই সার্ভিস (সী-ট্রাক) চালু করা হয়েছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হবে। বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁও, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর জনসাধারণ অতি দ্রুত এবং অল্প খরচে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনও সম্ভব হবে। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সাথে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র উপায়। আলোচ্য রুটে যাত্রী সার্ভিস চালুর ফলে বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বিতীয় মাধ্যম হবে। ফলে সড়ক ও রেল পথের ওপর অতিরিক্ত চাপ হ্রাস পাবে এবং পণ্য পরিবহনসহ যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। পর্যায়ক্রমে অবকাঠামো উন্নয়নপূর্বক এ রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে যানবাহন পারাপারের সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় এবং সী-ট্রাক সার্ভিস এর মাধ্যমে যাত্রীবাহী সার্ভিস দিয়ে থাকে। এছাড়া ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করে। বর্তমানে এর বহরে রয়েছে অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজ ছয়টি, উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ পাঁচটি, সী-ট্রাক ১২টি এবং ফেরি ৫৩টি।
আরও পড়ুন: ফি মওকুফের দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ইউল্যাব ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: আপিলে বন্ধু মর্তুজার জামিন স্থগিত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিবারেল আটর্স অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নিহতের বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ডিজে নেহার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে হাতিরপুল এলাকা থেকে রাজধানীর উত্তরার ব্যাম্বো শুট রেস্টুরেন্টে যান ওই ছাত্রী এবং তার দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও আরাফাত। সেখানে তারা অতিরিক্ত মদ পান করেন। সেখান থেকে বের হয়ে ওই রাতেই গুলশানের অন্য একটি অভিজাত হোটেলে যান। সেখানেও তারা ফের মদপান করেন। দুই দিন পর ইউল্যাব ছাত্রী ও তাদের বন্ধু আরাফাত মারা যান।
এ ঘটনার পর রাজধানীর আজিমপুর থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে তাদের অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবার ও স্বামী বিচ্ছিন্ন ডিজে নেহার হাত ধরে অনেক তরুণ-তরুণী জড়িয়েছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। পরবর্তীতে পুলিশ হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, তাদের আরেক বন্ধু তাফসিরকে গ্রেপ্তার করে। আর নেহার চাচাতো ভাই বিশাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সারাদেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকবে
এ মামলায় হাইকোর্ট গত ১৯ জুলাই মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে জামিন দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়।
করোনায় চলে গেলেন সাংবাদিক ডালিম
করোনায় চলে গেলেন ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর।
অকাল প্রয়াত ডালিম স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইউএনবির পাশাপাশি ডালিম যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান বীনু মারা গেছেন
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জুলাই নুমনা পরীক্ষায় করোনা সনাক্ত হয় ডালিমের। ২৭ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছিল।
সাভারের আমিনবাজারের কাছে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার ডালিমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ডালিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন ...।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রবীণ সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যু
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ২৪২ জন হাসপাতালে
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এই তথ্য জানিয়েছে।
মহামারি করোনার পাশাপাশি বর্ষাকালে ছড়িয়ে পড়া এই মশাবাহিত রোগে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত ১ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই ২শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশিরভাগ রোগী পাওয়া গেছে বলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ২৪২ জন হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় ৮৯৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮২৪ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরে আছেন।
নতুন রোগীর মধ্যে ১১২ জনকে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গুতে সন্দেহে দুই জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ হাজার ৫৩৪ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫১৬ জনকে সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় ২০০০ সালে। ওই বছর ৯৩ জন মারা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৩ রোগী হাসপাতালে
আগস্টেই আরও এক কোটি ডোজ টিকা আসছে
এই মাসের মধ্যেই এক কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশের করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এটি চলমান থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৪ লাখ ডোজ টিকা আসবে, পরের মাসে আবার ৫০ লাখ ডোজ আসবে। সবমিলিয়ে এই মাসেই এক লাখ ডোজ টিকা আসবে।
আরও পড়ুন: চীন থেকে আসবে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। সকলেরই টিকা প্রয়োজন। ২৬-২৭ কোটি টিকা লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি। পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে। বড় বড় দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৪-৫ গুণ বেশি টিকা বানিয়ে মজুদ করেছে, আমরা সাধ্যমত কিনে আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ কমাতে সংক্রমণের উৎস বন্ধ করতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না করলে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে অর্থনীতি খারাপ হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মৃত্যু বাড়বে, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে। দারিদ্রতা বাড়বে। দেশে কর্মহীন হয়ে পড়বে মানুষ।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সংক্রমণ কমে আসছে, মৃত্যু হার আরও কমাতে হবে। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রোগীর চাপ সামাল দিতে হোটেল খোঁজা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, সিনোফার্মের ৬ কোটি টিকার বিষয়ে সপ্তাহ খানেক আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে অনুমোদন নিলাম। আশা করি টিকার সংকট হবে না। আমাদেরকে সবার আগে চিকিৎসক-নার্সসহ যারা ফ্রন্টলাইনার তাদেরকে টিকা দিতে হয়েছে। আমরা ছাত্রদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছি। গর্ভবতী মায়দের জন্যও টিকার ব্যবস্থা করেছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস যাতে আর না বাড়ে যে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা বেড়ে গেলে সামাল দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনসিসিতে এক হাজার শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসাপাতাল তৈরি করেছি। অতি সম্প্রতি সময়ে বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিটি জিনিসেরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদেরও রয়েছে। এর বাইরে গিয়ে আর হাসাপাতালে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের সঠিক তৎপরতা না থাকায় ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়াচ্ছে। এজন্য করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য তাদের। এই মৌসুমে একসাথে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও করোনা আক্রান্ত রোগী মিলছে বলেও জানান চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এজন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান তাদের। এসময়, জ্বর হলে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা নিয়ে ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষার করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান তাদের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ২১৫ জনের, শনাক্ত ১০,১২৬
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ১২৬ জনের।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ২১ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৬৭
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪৩ কোটি ২৩ হাজার
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২২.৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৯৯০ জন।এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন।দেশে সুস্থতার হার ৯০.৩৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ২২ জন, রাজশাহীতে আট জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালের সিভিল সার্জন সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত
জলবায়ু পরিবর্তন: দ. কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউনের কাছে এই সহায়তা চান।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। এ সময় তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ছেড়ে যাওয়া স্থানে গাছ লাগানো হবে: পরিবেশ মন্ত্রী
এ সময় মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিবছর চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে এবং পরিবেশ দূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্ল্যানেটরি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে । সরকার এসকল উচ্চাভিলাসী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চায়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনারাবিলিটি ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশনের আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে এ বিষয়ক কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে। কারিগরি শিক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক’ বন্ধে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ মন্ত্রী
সৌজন্য সাক্ষাতকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত কপ-২৮ আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের সমর্থন দানের বিষয়ে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও, তিনি আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য পরিবেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
আমদানি করা টিকার মেয়াদ ছয় মাস নিশ্চিতের পরামর্শ
আমদানি করা টিকার মেয়াদ ছয় মাস নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটির ২২তম বৈঠকে এই পরামর্শ দেয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মো. হাবিবে মিল্লাত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সিনোফার্মের প্রায় ১৮ লাখ টিকা ঢাকার পথে
বিভিন্ন দেশ থেকে করোনার টিকা প্রাপ্তির সর্বশেষ অবস্থা এবং দেশে টিকা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বশেষ অবস্থা, রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কিত সর্বশেষ পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সংস্থার অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত আলোচনা এবং আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে কমিটিতে বিশদ আলোচনা হয়।
বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির ক্ষেত্রে টিকার মেয়াদ যাতে ছয় মাস থাকে তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকা টিকাগুলো দ্রুততম সময়ে আনার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখতে কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ টিকা নিয়ে সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী
এসময় দশ বছর বয়স পর্যন্ত বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের টিকার আওতায় আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো ই-মেইলের মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের নিয়মিত অবহিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকসহ যে সব দাতা সংস্থা ও দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অর্থ ও মানবিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার ব্যাপারে কথা বলছে তাদের প্রত্যেককে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেয়া হয় এই সভায়।
বৈঠকে যাত্রীদের টিকেটিং ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়া জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
এ স্কলারশিপের আওতায় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩৯ জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, প্রভাষক মাহাবুব আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন, আহনাফ মুজিব সামিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের কামরুল হাসান, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সুহেদা বেগম, সমাজকর্ম বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবিহা তাসনিম, মেহবুবা জান্নাহ ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
স্কলারশিপ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইউরোপের চারটি দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা নি:সন্দেহে আমার জ্ঞান ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে, যা পরবর্তীতে আমার শিক্ষকতার কাজে সহায়তা করবে।'