������������������������
শাহজালাল বিমানবন্দরে ২৫ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
স্বর্ণের বার পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা । বুধবার রাতে এসময় তাঁর কাছ থেকে দুই কোটি টাকা মূল্যের ২৫ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছেন তাঁরা।
আটক মো. রিপন কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা।
কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রতিরোধমূলক দল) মো. সানোয়ারুল কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে আসার পর রাত ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে রিপনকে বিমানবন্দরে আটক করেন।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫২ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
তিনি বলেন, ‘তল্লাশির পর, আমাদের কর্মকর্তারা তার জ্যাকেটের আস্তিনে লুকানো ২.৯৯ কেজি ওজনের ২৫ টি সোনার বার খুঁজে পেয়েছেন। জব্দ করা সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা।’
রিপনকে পরে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রায় ৫ কোটি টাকার ৬০টি স্বর্ণের বার জব্দ
বিদেশি রিভলবারসহ ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার: ডিএমপি
অস্ত্রসহ আন্তজেলা ‘ডাকাত দলের’ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। রাজধানীর মৌচাক ফ্লাইওভার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানিয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা মহানগরী, সাভার ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জলিল মোল্লা, রিয়াজ ও দীপু।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৩
এ সময় তাদের হেফাজত থাকা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি বিদেশি রিভলবার, ৫০ রাউন্ড গুলি, দুটি মোটরসাইকেল ও এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২৮ আগস্ট একজন ব্যবসায়ী মতিঝিলের নিহন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে গাড়ি যোগে রওনা দেন। ছয় জন ডাকাত মোটর সাইকেলযোগে উক্ত ব্যবসায়ীর গাড়ি অনুসরণ করে দুপুর আনুমানিক এক টা ২০ মিনিটের দিকে মৌচাক ফ্লাইওভারের ওপর গাড়িটির গতিরোধ করে। ডাকাতরা আতংক সৃষ্টির জন্য দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং হাতুড়ি দিয়ে গাড়ির দরজার গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় ডাকাতরা গাড়ির ব্যাকডালা খুলে ভিতর থেকে একটি কালো ব্যাগে রক্ষিত ৬০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রতারণার অভিযোগে গাড়ি আমদানিকারক গ্রেপ্তার
এই ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, উক্ত ডাকাত দল গত ৪ সেপ্টেম্বর অপর এক ব্যবসায়ী মতিঝিল থেকে একটি ব্যাগে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তিনটি মোটরসাইকেল যোগে তাকে অনুসরণ করতে থাকে। ওই ব্যবসায়ী দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পৌঁছামাত্র ডাকাত দলের সদস্যরা তার গতিরোধ করে ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিক পথচারীরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে ডাকাতরা পথচারীদের লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়।
এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের ১০ নারীকর্মী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের হেফাজত থাকা অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
জৈন্তাপুরে ভাবিকে কুপিয়ে খুন, স্ত্রীসহ দেবর আটক
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় দেবরের হাতে ভাবি খুনের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের করপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনারা বেগম (৪৫) ওই গ্রামের ওহাব মিয়ার স্ত্রী। এ দম্পতির তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবদুল করিম (৪০) ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৩২)। করিম সম্পর্কে সোনারা বেগমের দেবর হন।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপানোর কারণে খুন হয়েছেন সোনারা বেগম।
ওসি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
পাবনায় ভাইয়ের হাতে বোন খুন!
ঢাকায় পৌঁছেছে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ ডোজ টিকা
চীন থেকে সিনোফার্মের আরও প্রায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ভ্যাকসিনের চালান নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু জাহের বিমানবন্দরে ভ্যাকসিনের চালান গ্রহণ করেন। এই টিকা চীন থেকে বাণিজ্যিক ক্রয়েরই অংশ।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিনোফার্মের প্রায় ৫০ লাখ ডোজ পেয়েছে। এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর চীনের আরও ৫ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে এক কোটি বা তার বেশি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্ম থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি করে মোট ছয় কোটি টিকা আসবে।
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাসকে এক বছরের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলাতানা যুথি ও মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
পড়ুন: শাল্লার হামলার ঘটনায় আরও ৬ গ্রেপ্তার
হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেইসবুকে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়ার অভিযোগ তুলে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সে সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। হিন্দুদের অন্তত ৯০টি বাড়িতে হামলা হয় সেদিন।
পরে ওই ফেইসবুক পোস্টের জন্য ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ২২ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সেই থেকে কারাগারে বন্দি এ যুবক।
সুনামগঞ্জের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন না হওয়ায় ঝুমনের আইনজীবীরা জজ আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও জামিন আবেদন নাকচ হয়ে গেলে গত ২২ আগস্ট হাই কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। সে আবেদন শুনে হাইকোর্ট আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে জামিন দেন।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলা: শাল্লার ওসি সাময়িক বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি
শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে আমাদের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই সংকটের সমাধান না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সবার সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।’
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অনফোরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভস ফর এ সাস্টেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মোট ২৩ জন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের পর স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সকল বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বার বার বলে আসছি যে তারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিরাপদে এবং আত্মমর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আমাদের সবাইকে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগীদের এই বিষয়ে বাংলাদেশের চেষ্টার সহযোগিতা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
উখিয়ায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারি নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাবের সঙ্গে মাদক কারবারির গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে এলিট ফোর্সের সদস্যরা।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার র্যাব ১৫- এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারে গেলে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক কারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর নিহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফে নিহত ১
কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কার্যকরভাবে বিশ্ব্যাপী টিকা দেয়ার জন্য কোভিড-১৯ টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার। সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দ্যা প্যানডেমিক এন্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্মেলনের আহ্বান করেছেন।
পড়ুন: সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ তিন দফা পন্থা অবলম্বন করেছে। সেগুলো হলো পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সম্পদ বরাদ্দ করে জীবন বাঁচানো, নাগরিকদের জীবন সুরক্ষায় বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন উপকারভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধ করা হবে না। তবে এই ব্যবসা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে এবং সব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সাথে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে।’
বুধবার বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের দেনা পরিশোধে তাদের কি পরিমাণ সম্পদ আছে, ইভ্যালির সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের সে সম্পদ দিয়ে কতটুকু অ্যাড্রেস করতে পারবে। আগামীতে যাতে মানুষ আর প্রতারিত না হয় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের জেলে ভরে রাখলে তো কিছু পাবে না তারা (গ্রাহক)। আবার কিছু না থাকলে বের করলেও লাভ হবে না। দেশে দুই হাজার ব্যবসায়ী ছিল না, এখন দুই লাখ ব্যবসায়ী হয়েছে। যে সমস্যা হয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ১০/১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, এছাড়াও আলিশা মার্টকেও আমরা নজরদারিতে রেখেছি।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালির ৫০০ কোটি টাকার দায় রয়েছে। অর্ধেক কাস্টমার, অর্ধেক মার্চেন্টদের। শুনেছি ৮০/৯০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাদের চিন্তা কি সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। এগুলো আজকের আলোচনায় এসেছে। ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের টাকা শোধের এবিলিটিই নেই। তারা প্রচারের জন্য ব্যাপক টাকা বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেট খেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা নষ্ট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মালিক জেলে আছে। আবার কোম্পানির কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, অনেকে যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী তারা ই-কমার্সে যুক্ত হয়েছে। তাই ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। যারা চিটিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি একটি বিষয় এবং সামনে কিভাবে চলা যায় সেটি একটি বিষয়।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
তিনি বলেন, ‘গত ৪ জুনের আগে ছয় হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এখন বাকি চারমাসে ৬০০ কোটি টাকা স্ক্রো ফান্ডে জমা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো ১২ টাকার জিনিস ১ টাকায় দেয়া যায় না। এ ধরনের বড় কোম্পানিকে এখন থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে। ’
আরেক প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের কাজ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা। কিন্তু তারা যে মানুষকে লোভ দেখাচ্ছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে না। ১০০ টাকার জিনিস তারা ৫০ টাকায় দিতে চায়, সেটা কিভাবে সম্ভব। মানুষ লোভ সংবরণ করতে পারেনি। লোভ সংবরণ করা দরকার।’
সরকার টাকার দায় নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার তো টাকা নেয়নি। যে লোকটা একটি মটরসাইকেল কিনে লাভ করেছে, পরে আরও ১৭ টা অর্ডার করেছে। লাভের ভাগিদার তো সরকার হয়নি। তাদের (ইকমার্স প্রতিষ্ঠান) কতটুকু সম্পদ আছে সেটা দেখতে হবে।’
বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে কয়েকটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করা ঠিক হবে না। কিছু সুপারিশ এসেছে, সেগুলো হলো- ই-কমার্স ব্যবস্থাপনার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটোরি করতে হবে,
ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে। যে অভিযোগ আসছে সেগুলো বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে, তাই সব কমপ্লেইন মনিটরিংয়ের কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে। যারা ইতোমধ্যে যে অপরাধ করেছে, প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যাতে ব্যবস্থা নেয়া যায় সেজন্য আইনে কিছুটা সংশোধনী আনতে হবে। আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে, নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সিনহা হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণ বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত চলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে। দিনব্যাপী মামলার অন্যতম সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান ও মোক্তার আহমদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়ে এই পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার দিনব্যাপী তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে আদালত চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখে দিন ধার্য করেন।তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী বিচার কাজকে বিলম্বিত করতে আদালতে বার বার বিভিন্ন অজুহাতে দরখাস্ত দিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার আরও একটি দরখাস্ত দেন। কিন্তু দেশের একটি বড় সংস্থার গোপন নথি চাওয়ায় আদালত দরখাস্তটি নাকচ করে দেন।এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা চার দিনে দ্বিতীয় দফায় চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। বুধবার তৃতীয় দফার শেষদিন পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্নগত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।