������������������������
আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ
অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে নোঙর ফেলেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়।
এ সময় কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া গ্রুপটির একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। এর আগে রবিবার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হবে। দুইজন নাবিক ফ্লাইটে দেশে আসবেন। বাকি ২১ জন ওই জাহাজেই দেশে ফিরবেন। জাহাজটি ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এমভি আবদুল্লাহর চিফ ইঞ্জিনিয়ারের নিরাপদে ফেরার দিন গুনছে পরিবার
নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন ওরফে টনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন- জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান মামলাটি শুনানি করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে নাচোলের মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। স্বামীকে নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ জুন বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে তুকাজ্জেবা। এরপর ১ জুলাই তার গলায় কাঁচি দিয়ে জখম করে সালাউদ্দীন। চিৎকারের শব্দ পেয়ে দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় তুকাজ্জেবাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সালাউদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। তারমধ্যে তিনজন লিয়েনে আছেন।
সোমবার পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২২১ কর্মকর্তা
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৪১৫ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ২১২টি।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে ১৮তম ব্যাচকে মূল ব্যাচ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এর আগের ব্যাচগুলোর বঞ্চিতরাও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
ঋণখেলাপিদের শনাক্তে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ঋণখেলাপিরা যাতে প্রার্থী না হন সেজন্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য দিতে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২০২৪ সালের ২১ মে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের পাওনা সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছেন ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।
সভায় সব পরীক্ষার্থীর পূর্ণ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ও জন্ম তারিখ চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সংযুক্ত টেবিল অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নাম, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল নম্বর) দিয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ২০৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গরমের কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াটের লোডশেডিং
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে দেশে বিদ্যুতের প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকাল ৩টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২২০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ৯৯৬ মেগাওয়াট।
সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু অভিযোজনে সফলতা পেতে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ -এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্যা ফিউচার শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোজন শুধুমাত্র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয় বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ হলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে। সুতরাং সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে। আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের প্রয়োজন মোকাবিলায় আমরা কীভাবে সক্ষমতা তৈরি করব? অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজনে সাফল্য বিশ্বকে জানাতে শুরু হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের যৌথ নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় আইসক্রিম-সেমাই কারখানায় অভিযান, ২ কারখানাকে জরিমানা
ড্যাপে চিহ্নিত নকশা অনুযায়ী মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে শুরু করে মান্ডার হায়দর আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ককে ৫০ ফুটে উন্নীত করতে ডিএসসিসি ও রাজউকের যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান সোমবারও পরিচালনা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে হায়দার আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে ড্যাপের নকশা অনুযায়ী ৫০ ফুট প্রশস্ত করার লক্ষ্যে সড়কের উভয় পাশের স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভবন মালিকদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে ভবনমালিকদের অনুরোধ করেছি। সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রায় সব ভবন মালিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ যানবাহনবিরোধী অভিযানের দাবি জাতীয় কমিটির
যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী
এখন থেকে যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিক আইন সংশোধনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন সেটি জানতে চেয়েছে প্রতিনিধিরা।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে শ্রমিকদের সম্মতির হার ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই হার ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই হার আরও কমানো হবে তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল— এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রমিক আইন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।’
যেসব বিষয়ে কাজ শেষ হয়েছে সেসব প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।’
বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এই সরকার করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে ৫ দলিল সই ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা প্রসারে এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি , তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সফরের পর্দা উন্মোচনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি এই সফরে ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনেও যোগদান করবেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
এছাড়াও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তির পাশাপশি জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করতে একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাচাওউহুয়া ও রাণী সুধিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানব-সম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটন প্রচারণা, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময়মতো যোগদান করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে আসিয়ানের ’সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ মর্যাদালাভে বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়ে আরও জোরালোভাবে অনুরোধ করা এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিরসনে থাইল্যান্ডসহ আসিয়ান সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে অধিকতর সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও জানান, ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ এপ্রিল এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএনএসক্যাপের নির্বাহী সচিব সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরটি সফল এবং ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এ সফরে আরও থাকবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
টোকিওতে বৈশাখী মেলায় সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই
জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ২৩তম বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যালে সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই।
গত ২১ এপ্রিল তোশিমা সিটির ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় বাংলাদেশ থেকে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি গ্রাফিকস নোবেল জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে প্রকাশিত 'ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু' বইটি নিয়ে অংশ নেয়।
বইটির লেখক, প্রকাশক ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম এই মেলায় ছিলেন।
তিনি বলেন, জাপানের ১৭তম আন্তর্জাতিক মাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড আসরে ব্রোঞ্জ পুরস্কার প্রাপ্ত এই বইটির বাংলা, ইংরেজি এবং জাপানিস ভার্সন এই মেলার স্টলে বিক্রি করা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক জাপানি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা জানার জন্য জাপানিজ ভাষায় বইটি কিনেছেন। জাপানিজ ভাষাতেই বইটির বিক্রি বেশি হয়েছে।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাপানে বসবাসরত তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের পরিবারের সদস্যদের জন্য বইটি সংগ্রহ করেন বলে জানান তিনি।
সকালে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিনামূল্যে বইটি বিতরণ করেন।
এ সময় এম ই চৌধুরী শামীম জানান, বইটির ব্যাপারে জাপানিজরাও প্রচুর আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই বইটি আগামী মাস থেকে জাপানের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে।
লেখক আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ বইটিতে আমরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।’
দিনব্যাপী এই মেলায় জাপানে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাঙালি সমবেত হন।
মেলায় বাঙালিদের নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশন করা হয়। মেলাটি ঘিরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহামেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি মেয়র মিয়ুকি তাকাগিওয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিভাগের সচিব ইয়াসুহিরো শিনতো, জাপান-বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিরোয়ুকি সাকুরাই।
এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে এই কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পরে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার হাতে বইটি তুলে দেন এর লেখক এম ই চৌধুরী শামীম।