রাজনীতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকার উদ্দেশে শনিবার (৯ মার্চ) সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করবে বলে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার (৩ মার্চ) সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খসরু বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নারী নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
তিনি বলেন, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে উৎসাহিত করে নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন চাই তাহলে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের দিতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে যে নারীরা নিত্যদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
তিনি বলেন, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করছেন তারাই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অংশ এজন্য হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আমির খসরু বলেন, প্রায় সব সেক্টর আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে, যারা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এজন্য কেউ বিচার পাচ্ছে না।
দেশে নারীসহ মানুষের কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
খসরু বলেন, ভোটাধিকারের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে নারীসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের বন্ধু নয়, বব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও জনগণের খাদ্য অধিকার নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না দেশের মানুষ পেট ভরে খাবার খাক। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য না থাকায় মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করে একটি ডিম, এক কেজি চাল ও এক লিটার তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজানে দরিদ্র জনগণকে কষ্টে ফেলতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।
জয়নুল বলেন, 'আমরা জনগণের অধিকারের কথা বলছি, কারণ আমরা (বিএনপি) জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সবকিছু করেছে। তারা চায় না দেশের মানুষ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করুক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং বেশিরভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের, যারা বিপুল অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর তারা সর্বনাশ করেছিল। তাদের নেতা ইংল্যান্ড থেকে নির্দেশনা দেন, কিন্তু তাদের কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে ভাবেন না। তাদের ভুল অনুধাবন না হলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ২০১৪ সালে, তারা নির্বাচন না করেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিল এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত নির্বাচনে বিদেশিদের ভূমিকা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ অনেক কথা বলে, সবাই জানে সেখানে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। কিছু উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে। আমাদের ভোট ৪২ শতাংশ। কেউ যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলেও আমাদের কিছু বলার নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এদেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার কথা ভাবছেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিপ্লব হাসান পলাশ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে আওয়ামী লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে।
বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অনন্য।
তিনি বলেন, ‘এ এক অদ্ভুত ধরনের সংসদ, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে ৩৩৭টি আসন, আর তাদের দয়ায় বিরোধী দলের আছে ১৩টি আসন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ভিন্ন নয়, যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, ‘এ ধরনের গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে আমাদের গণতন্ত্র সমাহিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এইচ এম এরশাদ আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তা আবার ফিরিয়ে আনেন।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এত ত্যাগ স্বীকার করেনি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, তাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে এবং বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী করা হয়েছে।
তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা খান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান ও সিনিয়র সদস্য মিলন ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং ফলাফল পূর্বেই প্রস্তুত করা ছিল।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো কোনো এলাকায় সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না থাকায় নির্বাচন সাধারণত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতো।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু উপস্থিতি ছিল কম।’
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
দ্বিতীয় ধরনের নির্বাচনকে অবাধ প্রক্রিয়া বলে অভিহিত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র দখলের জন্য পেশিশক্তি ও অর্থ অবাধে ব্যবহার করা হয়েছে।’
তৃতীয় ধরনের নির্বাচন প্রসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, তার দলের কর্মীরা এমন অভিযোগ করেছেন যে 'ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং শিটটি আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল।’
এ সময় ট্রেজারি বেঞ্চের এমপি ও নির্দল এমপিদের হৈচৈ করতে দেখা যায়। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘তা নাও হতে পারে।’
জিএম কাদের বলেন, সব দল যখন নির্বাচনে আসে এবং নির্বিঘ্নে ভোট দেয়, তখন ১৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হলেও গ্রহণযোগ্য হয়।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব বড় দল নির্বাচনে অংশ নিলে এই মুহূর্তে তারা ৯০-৯৫ শতাংশ ভোট পাবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমঝোতা না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কঠিন।’
গত নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চিত্র বিবেচনায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়লে সব ভোটকেন্দ্রের সামনে আট ঘণ্টা লাইন থাকার কথা।‘কিন্তু তা হয়নি,’ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের তুমুল হট্টগোলের মধ্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান ও প্রচলিত আইনের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বৈধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
‘এটা আইনত বৈধ। কাউকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করে যে এটি ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি এবং নিখুঁতভাবে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়।
তিনি বলেন, 'যাদের এসব বিষয় দেখাশোনা করার কথা ছিল, তারা এড়িয়ে গেছেন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে লঙ্ঘনে সহায়তাও করেছেন।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য সব দল তাদের নিজস্ব নীতিগত আদর্শ নিয়ে টিকে থাকতে পারবে। ‘আমি আশঙ্কা করছি, রাজনীতি এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি 'দেশজুড়ে ছেয়ে গেছে' এবং এটি বেশ কিছুদিন ধরে চলছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এটা প্রতিটি সমাজের জন্য অভিশাপ। ক্রমাগত দুর্নীতির কারণে ভোগান্তি বাড়ে। এতে সমাজের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।’
এ পর্যায়ে বিরোধীদলীয় নেতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেন তিনি।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য তদন্তকে বিলম্বিত করতে উৎসাহিত করতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কিছু লোক এসব পণ্য আমদানি করে।
এসব ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার তাদের হাতে জিম্মি ‘কারণ তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: অনিয়ম কঠোরভাবে দমন না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে: মুজিবুল হক চুন্নু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মুলতবি
গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ২২ কার্যদিবস পর মুলতবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টা ৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতির স্থগিতাদেশ পাঠ করেন।
এর আগে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: অগ্নি নিরাপত্তা অভিযানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে: সংসদে চুন্নুর অভিযোগ
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৯ ঘণ্টা ধরে চলা ধন্যবাদ প্রস্তাবে ২৬৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।
সংবিধানের আলোকে এই অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
এ অধিবেশনে 'দ্রুত বিচার আইন' ও 'অফশোর ব্যাংকিং বিল' নামে দুটি বিল পাস হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোট ৮৬টি প্রশ্ন পাওয়া যায় এবং তিনি ৪৫টি প্রশ্নের উত্তর দেন। অধিবেশনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ১ হাজার ৮২২টি প্রশ্ন পাওয়া যায় এবং উত্তর দেওয়া প্রশ্নের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০টি।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
অগ্নি নিরাপত্তা অভিযানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে: সংসদে চুন্নুর অভিযোগ
অগ্নিঝুঁকির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ও অননুমোদিত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার(৫ মার্চ) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে একটি দোকান ভাঙছেন, আরেকজন গিয়ে থামতে বলে। অগ্নিনিরাপত্তা অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে একটি সমন্বিত, ধীরগতির এবং স্থির দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।’
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে বিভিন্ন বিভাগ দ্রুত কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ১০ হাজার ১০৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর মধ্যে আটটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনের মালিক ও নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যেকোনো সময় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য তারানা হালিম বলেন, পুরান ঢাকায় এমন অগ্নিকাণ্ডের পর রাসায়নিক কারখানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও স্থানীয় লোকজন তাতে সহযোগিতা করেনি।
সব সরকারি দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ এটিকে সমর্থন করবে। এটা তাদের জীবন বাঁচাবে।’
গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ক্ষমতা দিয়ে বিল উত্থাপন
গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা দিয়ে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এম তাজুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করেন এবং তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে আদালত কাজ করতে পারে না।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো সদস্যের অনুপস্থিতিতে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে ভোট হলে এবং দুই পক্ষের পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে চেয়ারম্যানের ভোট পাওয়া দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও, আগের আইনের কিছু উদাহরণে, ‘নাবালক’ শব্দটি ছিল, খসড়ায় তা বাদ দিয়ে ‘শিশু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৩ সালে, গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে, সরকার ৭৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানা আরোপের অনুমতি দিয়েছিল।
বিলের উদ্দেশ্য অনুসারে, গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় জনগণের ছোটখাটো বিরোধের দ্রুত এবং সহজ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
পরে, অধ্যাদেশ বাতিল করে গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ প্রণয়ন করা হয় এবং ২০১৩ সালে আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে ছোটখাটো বিরোধে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণা ও প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। একই সঙ্গে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সহজ ও দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেও কাজ করছে।
গ্রাম আদালত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আধা-আনুষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া।