���������������
গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’, উত্তরাঞ্চলের প্রধান হাসপাতালে আবারও ইসরায়েলি হামলা
গাজার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ ভয়াবহ খাবারের সংকটে ভুগছে। বলা হচ্ছে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ 'আসন্ন'।
খাদ্য সংকটের তীব্রতা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের তীব্রতা বাড়লে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেককে অভুক্ত থাকতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি এমন সময় এলো যখন গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ সহজ করে দিতে এবং আরও স্থল ক্রসিং খুলে দিতে কাছের মিত্রদেরও ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের আকাশ ও সমুদ্রপথে পণ্য সরবরাহ খুবই ধীর গতির এবং কম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, আসন্ন দুর্ভিক্ষ 'সম্পূর্ণরূপে মানবসৃষ্ট' কারণ 'ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এদিকে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম হাসপাতাল শিফাতে হামাস সেনারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে এমন দাবি তুলে হাসপাতালটিতে সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হাসপাতালের ভেতরে ও এর আশপাশে দিনভর সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল, যেখানে হাজার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে, বলছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
হামাস সেনা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এসময় তাদের একজন সৈন্যও নিহত হয়েছে। যদিও নিহতদের হামাস সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা যায়নি।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে গাজার হামাসের পুলিশ বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রয়েছেন, যিনি ওই হাসপাতালে লুকিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে গাজার কর্মকর্তারা জানান, ওই কমান্ডার ত্রাণবাহী গাড়িবহরের সুরক্ষার সমন্বয় করছিলেন।
আরও পড়ুন: বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
শিফা হাসপাতালের ভেতরে ও নিচে হামাস কমান্ড সেন্টার গড়ে তুলেছে এমন দাবি করে গত নভেম্বরে হাসপাতালটিতে সর্বশেষ অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। কিছু ভূগর্ভস্থ কক্ষের দিকে যাওয়ার একটি সুড়ঙ্গ এবং হাসপাতালের ভিতরে অস্ত্র পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছিলেন তারা। তবে অভিযানে আগে তারা যে পরিমাণ অস্ত্র আছে বলে দাবি করেছিল তার চেয়ে কমই ছিল যে কারণে বেপরোয়াভাবে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করার অভিযোগে সমালোচকরা ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং নিরাপত্তার খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লোকজনসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধের কারণে গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসের জ্যেষ্ঠ যোদ্ধারা হাসপাতালে পুনরায় সংগঠিত হয়ে ভেতর থেকে হামলার নির্দেশ দিচ্ছে।
হামলায় নিহতদের মধ্যে গাজা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাইক মাভুহও রয়েছেন বলে দাবি করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তিনি সশস্ত্র ছিলেন এবং শিফায় লুকিয়ে ছিলেন এবং পাশের একটি কক্ষে অস্ত্র পাওয়া গেছে।
গাজা সরকার জানিয়েছে, মাভুহ উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ সুরক্ষা এবং ত্রাণ গোষ্ঠী ও স্থানীয় উপজাতিদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
হাগারি বলেন, রোগী ও চিকিৎসা কর্মীরা মেডিকেল কমপ্লেক্সে থাকতে পারেন এবং যেসব বেসামরিক নাগরিক চলে যেতে চান তাদের জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে হামাস তার যোদ্ধাদের রক্ষা করার জন্য হাসপাতাল এবং অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে।
গাজার অর্ধেককে অনাহারের দিকে ঠেলে দিতে পারে রাফাহর আক্রমণ
২০০৪ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের সময় প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি যা এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার তীব্রতা নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘের এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, সহায়তা গোষ্ঠী, সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা গাজায় ক্ষুধা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি বলছে, গাজার মানুষ পর্যাপ্ত খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ অর্থাৎ গাজার জনগোষ্ঠীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ সর্বোচ্চ মাত্রার খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। খাদ্যের চরম অভাব এবং তীব্র অপুষ্টির গুরুতর স্তরে রয়েছে তারা। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলেরই প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ রয়েছেন।
এখন থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তরাঞ্চলে সরাসরি দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যখন ২০ শতাংশ পরিবারে খাদ্যের চরম অভাব থাকে, ৩০ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে এবং প্রতি ১০ হাজার লোকের মধ্যে কমপক্ষে ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক বা ৪টি শিশু প্রতিদিন মারা যায় তখন সেই অঞ্চলকে দুর্ভিক্ষপীড়িত মনে করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম শর্তটি পূরণ হয়েছে এবং দ্বিতীয় শর্তটিও পূরণ হওয়ার 'অত্যন্ত সম্ভাবনা' রয়েছে। শিগগিরই মৃত্যুর হার আরও বাড়বে এবং দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যদি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে আক্রমণ চালায়, তাহলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ (গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক) বিপর্যয়কর ক্ষুধা পরিস্থিতিতে পড়বে এবং দক্ষিণাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাথিউ হলিংওয়ার্থ বলেন, 'এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে এবং এটি ঘটতে মাত্র পাঁচ মাস সময় লেগেছে।’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক উত্তর ও মধ্য গাজাসহ ত্রাণের জন্য 'সব রাস্তা' খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাকে করে যে সহায়তা আনা হয় তার তুলনায় এয়ারড্রপ থেকে সহায়তা 'নগণ্য'।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে যাওয়ায় গাজায় ত্রাণের জন্য আলোচনায় সমুদ্রপথ
গাজা শহরসহ গাজার উত্তরাঞ্চল ছিল আগ্রাসনের প্রথম লক্ষ্যবস্তু এবং পুরো এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এটি এখন গাজার মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রবিন্দু। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থার মুখপাত্র শিমন ফ্রিম্যান বলেছেন, ইসরায়েল 'গাজা উপত্যকায় প্রবেশের সব সুযোগ দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে সহায়তা প্রেরণে উৎসাহিত করছে।
ইসরায়েলের অভিযোগ, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সময়মতো ত্রাণ বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, শত্রুতা, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের অসুবিধা এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কারণে গাজার বেশির ভাগ এলাকায় বিতরণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ডি ওয়াল বলেছেন, ইসরায়েলকে ‘যথেষ্ট হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যদি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা অব্যাহত রাখে, বিপুলসংখ্যক লোককে বাস্তুচ্যুত করে এবং ত্রাণ তৎপরতায় বাধা দেয় তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর।
তিনি বলেন, 'নীতি পরিবর্তন করতে না পারলে এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী হবেন তারা।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, আরও ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলের বিষয়। ইসরাইলকে এটা করতেই হবে। এটা লজিস্টিকের প্রশ্ন নয়। এর কারণ এই নয় যে, জাতিসংঘ পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়নি। ট্রাক থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে, আর ল্যান্ড ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, পুলিশের ওপর ইসরায়েলি হামলা জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ, যার ফলে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় ত্রাণবাহী ট্রাকে উপচে পড়ছে।
সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করে এবং আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে। গত বছর যুদ্ধবিরতির সময় বাকিদের বেশিরভাগ মুক্তি দেওয়ার পরেও হামাস এখনও প্রায় ১০০ জন জিম্মির পাশাপাশি ৩০ জনের দেহাবশেষ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: কয়েক মাস ধরে দুর্ভিক্ষের সতর্কতার পর গাজায় বাড়তে শুরু করেছে শিশুদের মৃত্যু
বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, তিনি একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি স্বাধীন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করবেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে বিবৃতি এসেছে। এতে সংঘাত নিরসনে মার্কিন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ পরবর্তী যে ধরনের ফিলিস্তিন সরকার গঠন করতে চেয়েছিল, তার জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
কিন্তু উল্লেখ করার মতো আরেকটি বিষয় হলো, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই। ২০০৭ সালে হামাস তাদের বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে কেবল সীমিত কর্তৃত্ব রয়েছে এই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গাজায় ফেরার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন এবং তার সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত সপ্তাহে মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। যিনি মার্কিন অর্থনীতিবিদ এবং আব্বাসের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা, যার কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে মোস্তফা বলেন, তিনি একটি নির্দলীয়, টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করবেন। যা তাদের জনগণের আস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন উভয়ই অর্জন করতে পারবে। তিনি পিএ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি অঞ্চলগুলোকে পুনরায় একত্রিত করতে চাইবেন এবং গাজার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘স্বাধীন, দক্ষ ও স্বচ্ছ সংস্থা এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ, পরিচালনা ও বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের চেষ্টা করবেন।’
ভিশন বিবৃতিতে হামাসের কথা উল্লেখ করা হয়নি, যারা ২০০৬ সালে শেষবার ফিলিস্তিনিদের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল এবং কোনো কোনো জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে এখনও উল্লেখযোগ্য সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
পিএ'র সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৯ সালে তার নিজের ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের একটি বড় অংশ চায় তিনি পদত্যাগ করুন।
মুস্তাফা বলেন, পিএ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তিনি কোনো সময়সূচি ঘোষণা করে বলেন, এটি গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের 'বাস্তবতা'র ওপর নির্ভর করবে। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র চায়।
২০২১ সালে, আব্বাস নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করার সিদ্ধান্তের জন্য অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বিধিনিষেধকে দায়ী করেন, যেখানে তার ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ পার্টি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১, আহত ৩৮
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক ট্রাফিক বিভাগ।
হেলমান্দের বিভাগটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার সকালে হেলমান্দ প্রদেশের গেরাশক জেলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার ও পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রধান মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হেলমান্দের ট্রাফিক কর্মকর্তা কাদরাতুল্লাহ বলেন, একটি মোটরসাইকেল একটি যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দেয়, যা রাস্তার বিপরীত দিকের একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে আঘাত করে। এতেই মূলত দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
হেলমান্দ পুলিশ প্রধানের মুখপাত্র হাজাতুল্লাহ হাক্কানি জানান, আহত ৩৮ জনের মধ্যে ১১ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৩০০ শিক্ষার্থী অপহরণ
অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডগামী উড়োজাহাজে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে ৫০ জন আহত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী
ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে একটি বাল্ক ক্যারিয়ারের (বাণিজ্যিক জাহাজ) নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং জাহাজের ১৭ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে।
শনিবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনী উল্লেখ করেছে, মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের জাহাজটি দখলে নেওয়া ৩৫ জন জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছে এবং জাহাজটিতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং নিষিদ্ধ দ্রব্য রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাল্ক ক্যারিয়ার থেকে একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর সোমালিয়া থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের কাছে জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের তৎপরতা কমেছে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জাহাজে হামলাসহ ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে তৎপরতা আবার শুরু হতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
হুমকি পেলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয়তা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার জন্য হুমকির কারণ হলে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো উত্তেজনা এড়াতে পারবে যা পরমাণু যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ইউক্রেনে কখনো যুদ্ধক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, এর কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, মস্কো ইউক্রেনে তার লক্ষ্য অর্জন করবে এবং আলোচনার জন্য দরজা খোলা রাখবে এবং যে কোনো চুক্তির জন্য পশ্চিমাদের কাছ থেকে দৃঢ় নিশ্চয়তার প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
বাংলাদেশে শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, শান্তিপূর্ণ পরমাণু শিল্পও গড়ে তুলেছে রাশিয়া: পুতিন
হাইতির ৪০ লাখ মানুষ 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' শিকার : জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা
হাইতিতে 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' মুখোমুখি হয়েছেন ৪০ লাখ মানুষ এবং তাদের মধ্যে ১০ লাখ দুর্ভিক্ষের মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার পরিচালক জিন-মার্টিন বাউয়ার।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির খাদ্য সংকটের চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সতর্ক সংকেত বেজে উঠছে’ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাং সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতিকে খুব খারাপ থেকে আরও খারাপ করে তুলেছে এবং মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজধানী পোর্ট অ-প্রিন্সে অতিরিক্ত ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এক কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব মতে মোট বাস্তুচ্যুতদের অর্ধেকেই শিশু।
বাউয়ার বলেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময় ৪০ লাখ খাদ্য নিরাপত্তাহীন ও ক্ষুধার্ত হাইতিয়ান ছিল এবং এই সংখ্যা কমেনি, তবে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা সংখ্যাটি ১০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
বাউয়ার বলেন, পোর্ট-অ-প্রিন্সকে 'একটি বুদ্বুদে' পরিণত করা হয়েছে। যেখানে গ্যাংগুলো রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে, বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় এবং কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারে না।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক বলেন, সংস্থাটি এবং তার অংশীদাররা রাজধানীতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য একটি গরম খাবার পরিষেবা শুরু করেছে, দিনে ২ হাজার জনের খাবার দিয়ে শুরু করে এখন তা দিনে প্রায় ১৪ হাজার জনের খাবার রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বন্দরটি পুনরায় চালু করা হলে না করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডব্লিউএফপির গুদামের সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে।
হাইতি তার খাদ্য সরবরাহের ৫০ শতাংশের জন্য খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করে। বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করতে পারে যে পোর্ট-অ-প্রিন্সের পাশাপাশি হাইতির অন্য এলাকায় খাদ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে গোলযোগ হয়েছিল এবং দক্ষিণে খাদ্যের দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রাস্তাঘাট অবরোধ করা হয়েছিল এবং ট্রাকগুরো মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পোর্ট-অ-প্রিন্সে যেতে পারেনি। সেখানে রান্নার জন্য প্রাথমিক জ্বালানি প্রোপেনের সংকট ছিল।
আরও পড়ুন: চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
বাউয়ার বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গ্যাং সহিংসতার কারণে খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বাইরের গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি পোর্ট-অ-প্রিন্সের সংযোগের উপর নির্ভর করে এবং বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশের অন্যত্র খাদ্যের দামও বেড়েছে।
বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপির এক জরিপে দেখা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবারের আয় কমে যাচ্ছে, কারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। তারা ' একটি জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে' এবং অর্থ উপার্জন করছে না।
প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বাউয়ার বলেন, তিনি রাজনৈতিক গতিশীলতা পড়ার ক্ষেত্রে ভাল নন ‘তবে আমরা অবশ্যই আশা করি যে নিরাপত্তার উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে এই মুহূর্তে খুব সাধারণ কাজগুলো করতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, বা সুপারমার্কেটে যাওয়া বা 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ' কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর হাইতির ক্যাপ হাইতিয়েন থেকে কথা বলার সময় বাউয়ার জোর দিয়ে বলেন, ‘শুধু নিরাপত্তার দিকে নজর দিলে হবে না, আমাদের জোরালো মানবিক সহায়তাও প্রয়োজন।’
কিন্তু এ বছর হাইতির জন্য জাতিসংঘের ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মানবিক আবেদনের মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে।
একটি ইতিবাচক নোটে, বাউয়ার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ডব্লিউএফপি কিনতে পারে এমন সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ। এটি চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ হাইতি এবং অন্যান্য শান্ত অঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার স্কুল শিশুকে খাওয়াতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, সহিংসতার কারণে প্রবেশের ঝুঁকি সত্ত্বেও ডব্লিউএফপি হাইতির কিছু দরিদ্র মানুষের কাছে তাদের মোবাইল ফোনে অর্থ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার বলেছেন, গোষ্ঠীগত সহিংসতার কারণে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে রক্তের ঘাটতি রয়ে গেছে এবং প্রতিবেশী ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে রক্ত আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
জিম্মিদের ওপর যৌন সহিংসতা ইসরায়েলের হামলার বৈধতা দেয় না: জাতিসংঘ দূত
সংঘাতের সময় যৌন সহিংসতার বিষয় তুলে ধরে জাতিসংঘের দূত ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় অপহৃত হওয়া জিম্মিরা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন এমন ‘স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে চালিয়ে যাওয়া হামলাকে এটি বৈধতা দেয় না।
সোমবার প্রমিলা প্যাটেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের অকথ্য দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি নৈতিকভাবে অপরিহার্য।
এ সময় অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজা ও সুদানে রমজান মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
প্রমিলা আরও বলেন, ‘হামলা চালিয়ে যাওয়া, কোনোভাবেই, তাদের রক্ষা করতে পারে না। এটি যৌন সহিংসতাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঝুঁকির পথ তৈরি করে দেয়।’
ইসরায়েলের আহ্বানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ডাকা এক কাউন্সিলের বৈঠকে প্যাটেন তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। যেখানে জানা যায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলাকালে হামাস ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এবং নারীদের বিরুদ্ধে অন্যান্য নিষ্ঠুর ও অমানবিক কাজ করেছে এমন প্রমাণ মিলেছে। এ সময় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
এখনও ১৩৪ জিম্মি বন্দি এবং গাজার ২ মিলিয়নেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাদের স্বার্থে এখনই যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে যাওয়ায় গাজায় ত্রাণের জন্য আলোচনায় সমুদ্রপথ
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ইসরায়েলি সমাজকে প্রতিরোধ ও ভয় দেখানোর জন্য হামাসের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব উচ্চস্বরে প্রতিবাদ জানাতে তিনি পরিষদে এসেছিলেন।
হামাসের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে ৭ অক্টোবর থেকে ৪০টিরও বেশি বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থার উচিত চরমপন্থী গোষ্ঠীটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করা এবং অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া।’
সোমবার মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে উল্লেখ করে কাটজ রমজানের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাকে আমাদের মুসলিম ভাইদের শুভেচ্ছা জানাতে সুযোগ দিন।’
কাটজ বলেন, হামাস মুসলিম বিশ্বের পক্ষে কথা বলছে না। মুসলিম ধর্মের নামে যে যৌন সহিংস অপরাধ তারা করেছে এর নিন্দা জানানো উচিত।
কাউন্সিলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানরা রমজান পালন করছে কিন্তু গাজার সর্বত্র মৃত্যু ও দুর্ভোগ। খাদ্য ও আশা কোথাও পাওয়া যাবে না।’
তিনি কাউন্সিলকে বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চান না কারণ তার ‘রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে দিয়ে আমাদের জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে রাখা ইসরায়েলের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: কয়েক মাস ধরে দুর্ভিক্ষের সতর্কতার পর গাজায় বাড়তে শুরু করেছে শিশুদের মৃত্যু
প্যাটেনের প্রতিবেদনে এক সপ্তাহের মধ্যে সভা ডেকে নিরাপত্তা পরিষদ যে ‘নজিরবিহীন’ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষদের ওপর যৌন নিপীড়নের প্রতিবেদনেও সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্যাটেনের মূল সুপারিশ হলো হামাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান এবং স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশাধিকার দিতে ইসরায়েলকে উৎসাহিত করা।
ফিলিস্তিনিরা এই তদন্তকে স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে মনসুর ইসরাইলকেও তদন্তে স্বাগত জানানোর আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করতে প্যাটেনকে গাজা পরিদর্শন করতে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
বৈঠকে প্যাটেন কাউন্সিলকে বলেন, পশ্চিম তীরে তিনি ধর্ষণের কোনো তথ্য না পেলেও ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ আটকের সময় যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন।
প্রতিবেদনগুলো ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করেছেন জানিয়ে প্যাটেন বলেন, এসব কাজ প্রতিরোধের জন্য যারা তথ্য দিয়েছিলেন তারা অন্যান্য অভিযোগ লঙ্ঘনের তদন্ত করতেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কিছু ‘রাজনৈতিক অভিনেতা’র দেয়া প্রতিবেদনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেসব অভিযোগগুলোর তদন্তের অনুমতি ছিল না বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরাসরি প্রত্যাখান জানিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
মুসলিমদের বাদ রেখেই নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা ভারতের
ভারতে মুসলিমদের বাদ রেখেই ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য বিধি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
সোমবার (১১ মার্চ) আসন্ন ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় যাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা উল্লেখিত তিনটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইনটি ভারতের সংসদে ২০১৯ সালে অনুমোদিত হলেও রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মোদি সরকার এর বাস্তবায়ন আটকে দেয়। সেসময় কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভগুলো সব ধর্মের অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। সে সময় তারা বলেছিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ভারতের ভিত্তিকে দুর্বল করে। মুসলমানরা বিশেষত উদ্বিগ্ন ছিল, সরকার তাদের কোণঠাসা করার জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের সঙ্গে আইনটি ব্যবহার করতে পারে।
অবৈধভাবে ভারতে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও নির্মূল করতে মোদি সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। নিবন্ধনটি কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশব্যাপী অনুরূপ নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
মোদির সরকার ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বহাল রেখেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন শুধু নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এই নিয়মের আওতায় এখন থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, 'নির্বাচনের মেরুকরণের জন্যই এর ঠিক আগের সময়টিতে এটি ঘোষণা স্পটতই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে এই আইনটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি সমতাভিত্তিক সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, আইনটি 'ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয়' এবং 'এর কাঠামো ও উদ্দেশ্য বর্জনীয়'।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ ভারতে ২০ কোটি মুসলমান রয়েছে, যারা বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তারা ভারতের প্রায় প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির দল প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ধারাবাহিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, মুসলিমবিরোধী সহিংসতার বিষয়ে মোদির স্পষ্ট নীরবতা তার কিছু চরমপন্থী সমর্থককে উৎসাহিত করেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
মোদি এমন একটি ফর্মুলায় ক্রমান্বয়ে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন যা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তিনি উত্তর অযোধ্যায় একটি মসজিদকে ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। যা তার দলের দীর্ঘদিনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বেশিরভাগ জরিপ বলছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে মোদি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডগামী উড়োজাহাজে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে ৫০ জন আহত
সোমবার সিডনি থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডগামী চিলির একটি উড়োজাহাজে 'যাত্রিক ত্রুটির' কারণে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়কে ‘জোরালো আন্দোলন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
লাতাম এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড্ডয়নের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড়োজাহাজে ‘জোরালো আন্দোলনের’ সৃষ্টি হয়।
তবে কী ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
ফ্লাইটটি অকল্যান্ডে অবতরণ করলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সের একজন জানান, ৫০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। যাদের অধিকাংশই কম আঘাত পেয়েছেন। ১৩ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি (এলএ ৮০০) হঠাৎ অবতরণ করার সময় অনেকেই সিটবেল্ট পরেননি।
বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারটি পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অকল্যান্ড বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং চিলির সান্তিয়াগোতে যাওয়ার কথা ছিল।
এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাতাম এই পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং তার অপারেশনাল স্ট্যান্ডার্ডের কাঠামোর মধ্যে অগ্রাধিকার হিসেবে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
গাজা ও সুদানে রমজান মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার পবিত্র রমজান মাসে গাজা ও সুদানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা শান্তি, পুনর্মিলন এবং সংহতির মূল্যবোধ উদযাপন করেন ও এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। তারপরও গাজায় হত্যা, বোমা হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদ চেম্বারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সাংবাদিকদের জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমার জোরালো আহ্বান- বন্দুকের স্তব্ধতা, রমজানের চেতনাকে সম্মান জানানো এবং জীবন রক্ষাকারী সাহায্যের সরবরাহে সব ধরনের বাধা প্রত্যাহার।’
গুতেরেস বলেন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তার বছরগুলোতে নজিরবিহীন। তবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ আসছে, তা যদি আদৌ আসে!
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে যাওয়ায় গাজায় ত্রাণের জন্য আলোচনায় সমুদ্রপথ
তিনি সতর্ক করেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর রাফাহতে ইসরাইলি হামলার হুমকি গাজার জনগণকে নরকের আরও গভীর বৃত্তে ফেলে দিতে পারে।
গুতেরেস রমজানে সুদানেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা, বিভীষিকা এবং অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি সুদানের জনগণের স্বার্থে সেখানে লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
মহাসচিব বলেন, ‘গাজায়, সুদানে এবং অন্যনায় জায়গায় এখন শান্তির সময়। আমি সর্বত্র রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সম্প্রদায়ের নেতাদের এই পবিত্র সময়কে সহানুভূতি, কর্ম এবং শান্তির সময় হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: কয়েক মাস ধরে দুর্ভিক্ষের সতর্কতার পর গাজায় বাড়তে শুরু করেছে শিশুদের মৃত্যু