���������������
ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি বিবৃতিতে সংগঠটি বলেছে, রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চালানো মার্কিন-ব্রিটিশের হামলাটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে। যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেবে।
এতে সংগঠনটি আরও বলেছে, ‘আমরা ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এটিকে একটি আরব দেশের সার্বভৌমত্বের উপর একটি নির্লজ্জ আক্রমণ বলে মনে করি।’
হামাস বলেছে, ‘এই বিমান হামলাটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে এবং এই অঞ্চলকে আরও অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতার দিকে টেনে নিয়ে যাবে, যার পরিণতির জন্য ওয়াশিংটন ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ দায়ী।’
ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শনিবার মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী যৌথ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পেন্টাগন।
ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী রবিবার সকালে বলেছে, রাজধানী সানাসহ উত্তর ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত ছয়টি প্রদেশে রাতভর যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটিশ বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল অভিমুখী বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
হুতিরা বলেছে, তাদের লক্ষ্য হলো- গাজায় হামলা ও অবরোধ বন্ধে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ আবেই অঞ্চলে সংঘর্ষে আরও ৩৭ জন নিহত
আফ্রিকার দেশ সুদানের তেল সমৃদ্ধ আবেই অঞ্চলে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সপ্তাহান্তে সংঘর্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এই হতাহতের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একই অঞ্চলে ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে ৫২ জনের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটল।
দক্ষিণ সুদান ও সুদানের দাবি করা অঞ্চল আবেইয়ের তথ্যমন্ত্রী বলিস কোচ বলেন, রুম-আমির, আলাল ও মিজাক কাউন্টিতে দক্ষিণ সুদানের ওয়াররাপ প্রদেশের সশস্ত্র যুবকদের হামলার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলাকারীরা ইউনিটি প্রদেশের আধ্যাত্মিক নেতা গাই মাচিকের অনুসারী যোদ্ধাদের সমর্থন করেছিল।
কোচ বলেন, লড়াইয়ে শনিবার ১৯ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছে এবং রবিবার চার নারী ও তিন শিশুসহ আরও ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এক হাজার গরু নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ক অপহরণ
এক বিবৃতিতে কোচ বলেন, 'আবেই বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা সন্ত্রাসী হামলা, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জঘন্য হত্যা, স্থানীয় বাজার ও আবাসিক এলাকা পুড়িয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানায়।’
এই অঞ্চলে জাতিগত সহিংসতা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ারাপের টুইক ডিঙ্কার উপজাতি সদস্যরা সীমান্তে অবস্থিত আবেইয়ের আনেত এলাকার এনগোক ডিঙ্কা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে।
ভূমিকে এই সংঘাতের প্রধান চালক হিসাবে দেখা হলেও কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে সশস্ত্র টুইক তরুণদের উসকে দিচ্ছে জাতিগত নিউর আধ্যাত্মিক নেতা মাচিক। আধ্যাত্মিক এই নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সংঘাত সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ওই হামলায় জাতিসংঘের দুই শান্তিরক্ষীসহ ৫৩ জন নিহত হওয়ার জন্যও তাকে দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬০ জন নিহত
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচিক কোনো অন্যায় কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন।
২০০৫ সালে সুদানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর থেকে আবেই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ই আবের মালিকানা দাবি করে আসছে। এমনকি ২০১১ সালে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে।
এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এনগোক ডিঙ্কা জনগণ দক্ষিণ সুদানের পক্ষে। অন্যদিকে নিজেদের গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি খুঁজতে আবেইতে আসা মিসেরিয়া যাযাবররা সুদানের পক্ষে। তবে অঞ্চলটি বর্তমানে দক্ষিণ সুদানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্যানেল আবেইয়ের জন্য একটি গণভোটের প্রস্তাব করেছিল তবে কে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ সুদান আবেইতে সেনা মোতায়েনের পর থেকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক ও আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ১৬, আহত ২৫: মুখপাত্র
ইরাক সরকার শনিবার বলেছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আধাসামরিক হাশদ শাবি বাহিনীর উপর মার্কিন বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ ১৬ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সরকারের মুখপাত্র বাসিম আল-আওয়াদি এই হামলাকে 'নির্লজ্জ আগ্রাসন' অভিহিত করে ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে (আইএনএ) বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। কারণ, তাদের বিমানগুলো আকাশাত ও আল-কাইম এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।’
আইএনএ-র মতে, ‘আল-আওয়াদি বিমান হামলা সম্পর্কে সরকার ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে বলে দাবি করা প্রতিবেদনগুলোও অস্বীকার করে বলেন যে এই প্রতিবেদনগুলো ‘আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করা এবং এই অপরাধের আইনী দায় এড়ানোর লক্ষ্যে একটি মিথ্যা দাবি’।’
আরও পড়ুন: গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে ইরাকের মাটিতে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর উপস্থিতি ইরাকের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে ইরাককে জড়িত করার ন্যায্যতা হয়ে উঠেছে।
আল-আওয়াদি সতর্ক করে বলেন, সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরাক ও ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ও তাদের সহযোগী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
চিলির প্রেসিডেন্ট শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেছেন, চিলির মধ্যাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ১ হাজার ১০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
জাতীয়ভাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সতর্ক করে বলেন, ভালপারাইসো অঞ্চলে চারটি বড় ধরনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দমকলকর্মীদের সেসব এলাকায় যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বোরিক চিলির জনগণকে উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যদি আপনাকে খালি করতে বলা হয় তবে তা করতে দ্বিধা করবেন না। দাবানল দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এলাকাগুলোয় উচ্চ তাপমাত্রা, শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতা বিরাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার বলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি দাবানল জ্বলছে, এই সপ্তাহে ওইসবগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।
দাবানলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভালপারাইসো অঞ্চলের, যেখানে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর খালি করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে গ্যাসভর্তি একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ও গুদাম পুড়ে যায়। এতে ২৭০ জনেরও বেশি আহত হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাইরোবির ম্রাদি এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মাওয়াউরা।
তিনি জানান, রাতের আগুন লাগার সময় অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ির ভেতরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
মাওয়াউরা বলেন, ট্রাক বিস্ফোরণে বিশাল আকারের আগুনের গোলা জ্বলে ওঠে এবং একটি উড়ন্ত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে ওরিয়েন্টাল গোডাউন নামে একটি গুদাম পুড়ে যায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ অগ্নিকাণ্ডে আরও বেশ কয়েকটি যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিনের আলো ফোটার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণের সূত্রপাত হওয়া গাড়ির শেলটি তার পাশে পড়েছিল। বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার (গজ) দূরে একটি চারতলা আবাসিক ভবনের ছাদ উড়ন্ত গ্যাস সিলিন্ডারের আঘাতে ভেঙে গেছে। মাটিতে পড়ে ছিল বৈদ্যুতিক তার। পুড়ে যাওয়া গুদামে কয়েকটি ট্রাকের শেল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
উদীয়মান রাজনীতিবিদ আলফ্রেড জুমা জানান, তিনি তার বাড়ির পাশের একটি গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান। জুমা বলেন, 'আমি প্রতিবেশীদের ঘুম থেকে জাগাতে শুরু করি।’
তিনি বলেন, তিনি একটি কালো গাড়িকে ওই এলাকা দিয়ে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু চালক জোর করে যাওয়ার সময় ধোঁয়ার কারণে তার গাড়ি থেমে যায়। ‘তিনি তিনবার গাড়িটি চালু করার চেষ্টা করেছিলেন এবং তখনই একটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন (গুদামে) ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য বিস্ফোরণ ঘটে।’
তিনি বলেন, তিনি দুটি শিশুকে ধরে রেখেছিলেন এবং বিস্ফোরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা একটি নর্দমার মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। তার পরিবারের রোকজন সেময় সেখানে ছিল না, কিন্তু জুমা আগুনে তার সমস্ত কিছু হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার ডিটেনশন সেন্টার থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা পালিয়েছে
স্থানীয় বাসিন্দা ক্যারোলিন কারাঞ্জা বলেন, 'পুলিশ সবাইকে ফিরিয়ে দিচ্ছিল। তাই আমার বাড়িতে প্রবেশ করা কঠিন ছিল। সকাল পর্যন্ত আমাকে ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে হয়েছে।
তিনি বলেন, গন্ধ ও ধোঁয়ায় এখনও দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকতে হবে কারণ তার ছোট বাচ্চা রয়েছে।
পুলিশ ও কেনিয়া রেডক্রস তিনজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এমবাকাসির পুলিশ প্রধান ওয়েসলি কিমেতো বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সরকার ও রেডক্রস জানিয়েছে, আহত ২৭১ জনকে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবাসিক এলাকার কাছাকাছি শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার বিষয়ে নগর পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে বাসিন্দারা। কাউন্টি সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিল্ডিং কোড এবং বিধিবিধান উপেক্ষা করার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
মালয়েশিয়ার ডিটেনশন সেন্টার থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা পালিয়েছে
মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভের পর শতাধিক রোহিঙ্গা অভিবাসী ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে, যাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।
দুই বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। ২০২২ সালে উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং রাজ্যে বিক্ষোভ করে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে যায় ৫২৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। মহাসড়ক পার হওয়ার চেষ্টাকালে ছয়জন নিহত হন এবং বাকিদের অধিকাংশকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের আন্দামান সাগরে ভাসমান ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের আহ্বান জাতিসংঘের
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পেরাক রাজ্যের একটি কেন্দ্র থেকে ১৩১ জন বন্দি পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করতে প্রায় ৪০০ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
জেলা পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ নাঈম আসনাওয়িকে উদ্ধৃত করে জাতীয় বারনামা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কেন্দ্রে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর অভিবাসীরা পুরুষ ব্লক থেকে পালিয়ে যায়। সন্দেহভাজনদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে, যাদের সবাই পুরুষ।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে দুর্দশা থেকে বাঁচতে চাওয়া মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া একটি পছন্দের গন্তব্য।
মালয়েশিয়া শরণার্থীর মর্যাদা দেয় না, তবে এখানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার স্বীকৃত আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রপথে আসার পর অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে ১৫০ জন নিহত হয়েছে এবং আরও ৩১৩ জন আহত হয়েছে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ভূখণ্ডের উত্তর অংশেও।
অক্টোবরের শেষের দিকে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল উত্তরাঞ্চল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী গত একদিনে গাজার উত্তরাঞ্চলে ১৫ জনেরও বেশি হামাস জঙ্গিকে হত্যা করেছে এবং একটি স্কুলে জঙ্গি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলাসহ ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। বেসামরিক ও যোদ্ধা নিহতের মধ্যে পার্থক্য না করলেও নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মাত্র একদিন আগে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরার এই সাজা ঘোষণা করেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খানের সর্বশেষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং এটি তৃতীয় সাজা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় উপহার রাখা ও বিক্রি করার সবচেয়ে সাম্প্রতিক মামলায় খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনকে ঠিক আগ মুহূর্তে আদালত ইমরান খানকে কয়েক বছরের জন্য কোনো সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করে।
ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং এত তাড়াহুড়ো করে সাজা দেওয়া হয়েছে যে বিচারক তার আইনি দলের পৌঁছানোর জন্যও অপেক্ষা করেননি।
খানের মৌলিক মানবিক ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং সর্বশেষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাজা উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলেন।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রধান মুখপাত্র জুলফিকার বুখারিও দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি আরব সরকারের কাছ থেকে গহনা ও ঘড়িসহ রাষ্ট্রীয় উপহার রাখার অভিযোগে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার তিন সপ্তাহ পর সর্বশেষ দণ্ড দেওয়া হলো।
সর্বশেষ আদালতের আদেশটি খানের জন্য আরেকটি আঘাত। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাওয়ালপিন্ডির কারাগারের আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় তিনি ও বিবি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
বিচারক রায় ঘোষণার সময় খান স্বল্প সময় আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজা সত্ত্বেও, তিনি জনপ্রিয় রয়েছেন এবং বর্তমানে দুর্নীতির দোষী সাব্যস্ত হয়ে সময় কাটাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ আবেই অঞ্চলের গ্রামবাসীদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় জাতিসংঘের এক শান্তিরক্ষীসহ ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৬৪ জন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় ও আবেইর একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আবেই তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় চালানো হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে এটি ভূমির নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
এই অঞ্চলে মারাত্মক জাতিগত সহিংসতা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রতিবেশী ওয়ারাপ রাজ্যের টুইক ডিঙ্কা উপজাতি সদস্যরা সীমান্তের অঞ্চল নিয়ে আবেইয়ের এনগোক ডিঙ্কার সঙ্গে ভূমি বিরোধে লিপ্ত।
কোচ বলেন, শনিবারের সহিংসতায় হামলাকারী নুয়ের উপজাতির সশস্ত্র যুবকরা গত বছর বন্যার কারণে ওয়াররাপ রাজ্যে চলে এসেছিল।
এক বিবৃতিতে আবেইতে মোতায়েন জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা বাহিনী (ইউএনআইএসএফএ) সংহিংসতায় এক শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনা সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
নিইনকুয়াক, মাজবং এবং খাদিয়ান অঞ্চলে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউএনআইএফএসএ। সংঘর্ষের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল এবং বেসামরিক লোকজনকে ইউএনআইএসএফএ ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও জানায় জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষী মিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়,‘আগোকের ইউএনআইএসএফএ ঘাঁটিতে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। মিশন হামলাটি প্রতিহত করলেও দুঃখজনকভাবে ঘানার এক শান্তিরক্ষী নিহত হয়।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
২০০৫ সালে সুদানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর থেকে আবেই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ই আবের মালিকানা দাবি করে আসছে। এমনকি ২০১১ সালে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে।
এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এনগোক ডিঙ্কা জনগণ দক্ষিণ সুদানের পক্ষে। অন্যদিকে নিজেদের গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি খুঁজতে আবেইতে আসা মিসেরিয়া যাযাবররা সুদানের পক্ষে। তবে অঞ্চলটি বর্তমানে দক্ষিণ সুদানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্যানেল আবেইয়ের জন্য একটি গণভোটের প্রস্তাব করেছিল তবে কে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ সুদান আবেইতে সেনা মোতায়েনের পর থেকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক ও আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানের খার্তুমের বাজারে ড্রোন হামলায় ৪০ জন নিহত
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মোট ৪৪ জনের মতো নিখোঁজ এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
আরেকটি ভূমিধসের সতর্কতার কারণে দিনের শুরুতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খননকারী, ড্রোন ও উদ্ধারকারী কুকুরের সহায়তায় ১ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে কাজ করছেন। সোমবার দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) প্রশস্ত, ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতা এবং গড়ে ৬ মিটার (২০ ফুট) পুরুত্বের একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়লে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। তবে কী কারণে প্রথম ধসের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
সিনহুয়ার পোস্ট করা উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, একটি উঁচু পাহাড়ের অংশ পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৯০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টি বেইজিং থেকে প্রায় ২ হাজার ২৫০ কিলোমিটার (১,৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৯০০ ফুট) পর্যন্ত এর উচ্চতা রয়েছে।
উদ্ধারকারীরা তুষারপাত, বরফে ঢাকা রাস্তা এবং হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। এমন আবহাওয়া কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের অনেক অংশে ভারী তুষারপাত হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এবং জীবনকে বিপন্ন করছে।
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু