%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
অ্যামেকা: বিশ্বের সর্বাধুনিক মানবিক রোবট
মহাকাশ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, সবখানেই এক অনুগত সহকারী হিসেবে আবির্ভাব ঘটছে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক কাঠামো বা রোবটের। এর সঙ্গে মানুষের মতো অবয়ব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আসফালনে মানুষের পাশাপাশি দ্বিতীয় স্বতন্ত্র সভ্যতার প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছে রোবট। সম্প্রতি বিশ্বের সর্বাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা যেন ঠিক তারই প্রতিধ্বনি বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে শতকরা ৩০ ভাগ কাজ রোবটের দখলে চলে যাওয়ার এ যেন প্রথম পদক্ষেপ। চলুন, প্রযুক্তি জগতের এই অভাবনীয় সাফল্যের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
অত্যাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা কি কি করতে পারে
অ্যামেকার কার্যকলাপের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে তা হল তার মুখের অভিব্যক্তি। মুচকি হাসির সময় সে চমৎকার ভাবে চারপাশ তাকাতে পারে। তার অবাক হয়ে তাকানো, নাক আঁচড়ানো, এমনকি দর্শকের সঙ্গে মজা করার বিষয়টি অভূতপূর্ব। অবশ্য একদম মানুষের মতো মুখভঙ্গি দেখে অনেকের পিলে চমকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
অ্যামেকার প্রতিটি চোখে একটি করে ক্যামেরা আছে। এগুলো দিয়ে সে সামনের মানুষদের শনাক্ত করতে ও তাদের মুখ স্পষ্টভাবে ট্র্যাক করতে পারে। আচরণগত অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় সে তার কাঁধ নাড়িয়ে মাথার পাশ পর্যন্ত নিজের হাত ওঠাতে পারে। যে কোনো বস্তু শনাক্ত করার সময় অ্যামেকার গতিবিধি অন্য যেকোনো রোবটের চেয়ে বেশ প্রাণবন্ত।
যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি অ্যামেকার সিস্টেমে চ্যাটবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে। ফলে অ্যামেকা মানুষের কাছ থেকে কোনো ইনপুট ছাড়াই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। তবে এখন পর্যন্ত অ্যামেকার নীচের অর্ধাংশ অকার্যকর থাকায় সে হাঁটতে পারছে না।
আধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকার নির্মাতা
অ্যামেকার নেপথ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস নামের যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় একটি ডিজাইনার এবং মানবাকৃতির বিনোদন রোবট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান৷ রোবটের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করেছিলো ২০০৫ সালে। তারপর থেকে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা মানবাকৃতির রোবটের বিকাশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে রোবট
২০১৬ সালে উদ্ভাবিত বিখ্যাত সোফিয়া রোবটে ব্যবহৃত প্রযুক্তির অনেকটাই ব্যবহার করা হয়েছে এই অ্যামেকাতে। ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস অ্যামেকাকে ভবিষ্যত মানবাকৃতির রোবটের জন্য একটি অগ্রগামী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রদর্শন করছে, যার ওপর ভিত্তি করে অজস্র বিকাশ ঘটানো যাবে রোবটিক্সে।
তাদের প্রস্তুতকৃত অন্যান্য রোবটগুলোর মধ্যে আছে মেস্মার, রোবোথেস্পিয়ান ও কুইন। এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজ রোবট তৈরির লক্ষ্যেও তারা কাজ করছে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে শাওমি নিয়ে এসেছে বড় পর্দার টিভি
জমে উঠেছে কাতার বিশ্বকাপ-২০২২। একটার পর ঘটনা আর অঘটনের স্বাক্ষী হচ্ছে বিশ্ববাসী। সবাই যার যার মতো করে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে বিশ্বকাপের এ উত্তেজনা উপভোগ করছেন। কেউ ঘরে বসে আবার কেউ বাইরে বড় পর্দায় ফিফা বিশ্বকাপ দেখছেন। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর বড় পর্দায় দেখার মজাই আলাদা। তাইতো শেষ মুহুর্তে অনেকেই এখন বড় পর্দার স্মার্ট টিভি কেনার দিকে ঝুঁকছেন। এদের কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশের বাজারে এসেছে শাওমির সর্বশেষ প্রযুক্তির স্মার্ট টিভি।
শাওমির অনুমোদিত পরিবেশক আমায়া নিয়ে এসেছে তিনটি মডেলের এ২ টিভি সিরিজ। শাওমি টিভি সিরিজের আকর্ষণীয় দিকগুলো হচ্ছে:
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
টিভি কেনার আগে আমাদের প্রথমেই মাথায় আসে টিভির সাইজের কথা। বেডরুমের দেয়ালের সাইজের সঙ্গে মিল রেখে অনেকেই টিভি কিনে থাকেন। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এখনকার স্মার্ট টিভিগুলো সাধারণত ৩২, ৪৩, ৫৫, ৬৫, ৭৫ ইঞ্চি এমন সাইজের হয়ে থাকে। শাওমির এ২ সিরিজের তিনটি টিভি ৩২, ৪৩ এবং ৫৫ ইঞ্চি সাইজের। এ তিনটি সাইজ সময়োপযোগী। সবস্থানেই সুন্দরভাবে ফিটিং করা যাবে।
স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রেজ্যুলেশন। এখনকার স্মার্ট টিভিগুলো সাধারণত ১০৮০পি, ৪কে ও ৮কে রেজ্যুলেশনের হয়ে থাকে। এরমধ্যে ৪কে টিভি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয়। শাওমির এ২ সিরিজের ৪৩ এবং ৫৫ ইঞ্চি টিভি ৪কে রেজ্যুলেশনের। সুতরাং পিকচার কোয়ালিটি নিয়ে কোন বাড়তি চিন্তা করতে হবে না।
টিভি দেখার ক্ষেত্রে সাউন্ড বা অডিও কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হওয়া চাই। ভালো সাউন্ড সুবিধার জন্য শাওমি টিভিতে ১০ ওয়াট স্পিকার সুবিধার সঙ্গে ডলবি অডিও এনহেন্সমেন্টে সুবিধা থাকছে। পাশাপাশি টিভি সিরিজটি এইডডিআর ১০ ও ডলবি ভিশন কনটেন্টস সাপোর্ট করবে। সবগুলো মডেলের টিভি মেটাল চেসিস ও বেজেল-লেস স্ক্রিনের।
আজকাল স্মার্ট টিভি হওয়ায় সবাই টিভিতে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চান। এ২ টিভি সিরিজ অ্যান্ড্রয়েড টিভি হওয়ায় এর সব মডেলেই ইন্টারনেট সংযোগ ও গুগল প্লে অ্যাকসেস সুবিধা থাকবে। ফলে ব্যবহারকারী তার সুবিধামতো অতিরিক্ত অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। থাকবে স্মার্ট বিল্ট ইন গুগল এ্যাসিসটেন্ট ও শাওমি হোম অ্যাপ। এর মাধ্যমে সকল শাওমি স্মার্ট হোম প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও এবং ইউটিউব প্রি-ইনস্টল থাকবে।
ভাবছেন কিভাবে টিভির সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইস কানেকশন দিবেন। এ২ সিরিজের টিভিগুলোতে দুর্দান্ত কানেক্টিভিটির জন্য ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, তিনটি এইচডিএমআই ২.০ পোর্টস, দুটি ইউএসবি ২.০ টাইপ এ পোর্টস, একটি আরজে-৪৫ ইথারনেট জ্যাক, একটি ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক এবং বেশ কিছু কম্পোজিট জ্যাক রয়েছে। সুতরাং সব ধরনের কানেকটিভির জন্য কোন চিন্তা করতে হবে না।
দাম: ৫৫ ইঞ্চির এ২ সিরিজের দাম পড়বে ৬৫,৯৯০ টাকা, ৪৩ ইঞ্চির দাম পড়বে ৪২,৯৯০ টাকা, এবং ৩২ ইঞ্চির দাম পড়বে ২৫,৯৯০ টাকা। শাওমির অনুমোদিত পরিবেশন আমায়া ছাড়া অনলাইন প্লাটফর্ম দারাজে পাওয়া যাচ্ছে সিরিজের টিভিগুলো।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে সাকিবের এক্সক্লুসিভ এস#৭৫ রঙ সম্বলিত অপো এফ২১এস প্রো
বাঘ তাড়াবে আলোকরশ্মি!
দীর্ঘদিন ধরেই বাঘ আতঙ্কে রয়েছে সুরন্দরবন সংলগ্ন গ্রামবাসী। সুন্দরবন ছেড়ে বিশেষ করে রাতে মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে একের পর এক গ্রাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। হামলা চালাচ্ছে গ্রামবাসী ও গবাদী পশুর ওপর। গ্রামবাসীর পাল্টা হামলায় বাঘও প্রাণ হারাচ্ছে।
সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। এ অবস্থায় বাগেরহাটের একদল ক্ষুদে বিজ্ঞানী বাঘসহ যে কোন বন্যপ্রাণী সনাক্তকরণের জন্য এক ধরনের আলোক রশ্মি উদ্ভাবন করেছে। রাতে বাঘ বাড়িতে ঢুকলে ইনফ্রারেড আলোর রশ্মির মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে এবং এক ধরনের শব্দ বেজে উঠবে। আবার রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে উচ্চক্ষমতা সম্পূর্ণ আলো এবং শব্দ সৃষ্টি করে ওই বাঘকে লোকালয় থেকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে। বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কালিদাস বড়াল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের পাঁচ ক্ষুদে বিজ্ঞানী এই উদ্ভাবন করেছে। বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বরে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তারা এই উদ্ভাবনী প্রদর্শন করেছে। এমন উদ্ভাবনী দেখতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা বয়সের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড় লেগে ছিল।
আরও পড়ুন: নাসার স্পেসএক্স মিশনের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরছেন
ক্ষুদে ওই বিজ্ঞানীরা বলছে, বাঘ রক্ষা এবং একইসঙ্গে গ্রামবাসীকে বন্যপ্রাণী থেকে রক্ষা করতে তাদের এই উদ্ভাবন। এই আলোক রশ্মি বন্যপ্রাণী বা পরিবেশের কোন ধরনের ক্ষতি করবে না বলেও তারা জানায়।
সুন্দরবন বিভাগ বলছে, ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বাঘ শনাক্তকরণের এই উদ্ভাবন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা মতামত দিলে বাস্তবায়নের বিষয় পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
রাতে বাঘসহ বন্য প্রাণী সনাক্তকরণের উদ্ভাবক এই পাঁচ ক্ষুদে বিজ্ঞানী হচ্ছে- মো. ফারদ্বীন খান, প্রিতিরাজ বিশ্বাস, রজত মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডল ও ইব্রাহিম। এরা সবাই জেলার চিতলমারী উপজেলার কালিদাস বড়াল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী মো. ফারদ্বীন খান জানায়, বিভিন্ন সময় বাঘ সুন্দরবন ছেড়ে বনসংলগ্ন লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বাঘ গ্রামবাসীর ওপর হামলা করে। তেমনি গ্রামবাসীর হামলায় বাঘ নিহত হচ্ছে। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে এমন সংবাদ দেখার পর বাঘ এবং গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য সে ভাবতে থাকে। এরপর তারা পাঁচ সহপাঠী মিলে নানা চেষ্টা করে বাঘসহ সব ধরনের বন্যপ্রাণী সনাক্তকরণের জন্য এই আলোক রশ্মি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। বন্যপ্রাণী থেকে নিরাপত্তার জন্য তারা সেমি স্মার্ট হাউজ তৈরি করে প্রদর্শন করেছে। তারা উদ্ভাবন করে দেখিয়ে দিয়েছে যে, রাতে বাঘ বা যে কোন ধরনে বণ্যপ্রাণী বাড়িতে প্রবেশ করলে ইনফ্রারেড আলোর রশ্মির মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে এবং একধরনের শব্দ বেজে উঠবে। আবার রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে উচ্চক্ষমতা সম্পূর্ণ আলো এবং শব্দ সৃষ্টি করে ওই বাঘকে লোকালয় থেকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে।
মো. ফারদ্বীন খানের তথ্য মতে, এই উদ্ভাবনের জন্য তারা যা যা ব্যবহার করছে তার মধ্যে রয়েছে- একটি এলইডি আর সেন্সর, একটি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি, ১০০ কে রেজিস্টার, একটি বার্জার (শব্দ তৈরির জন্য), লেজার লাইট, ব্যাটারি চার্জের বিদ্যুৎ অথবা সৌর বিদ্যুৎ এবং তিন ইঞ্চি ব্যাসার্ধের চারটি গোলীয় দর্পণ (কাঁচ)। এই সব উপাদান ব্যবহার করে লেজারের মাধ্যমে আলোক রশ্মি তৈরি করেছে তারা।
এই উদ্ভাবনী প্রদর্শন করতে তাদের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬শ’ টাকা। বনসংলগ্ন গ্রামে অল্প খরচে তাদের এই উদ্ভাবনী ব্যবহার করতে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় হবে। বাঘ এবং মানুষ রক্ষা করতে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের এই উদ্ভবনী সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চায়।
সরকারি সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা এবং মানুষের প্রয়োজন হলে সুন্দরবন এলাকায় তাদের উদ্ভাবনী কার্যকারিতা তারা দেখাতে পারে বলে ফারদ্বীন জানায়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এ ধরনের উদ্ভাবনী ভাল উদ্যোগ। তবে এই আলোকরশ্মি বাঘের জন্য পরিবেশ বান্ধব কি না জানতে হবে। লেজারের আলোক রশ্মির কারণে বাঘ বা অন্য বন্যপ্রাণীর কোন ক্ষতি হতে পারে কিনা জানা দরকার। এই উদ্ভাবনী নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চাওয়া যেতে পারে।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার স্টল পরিদর্শন শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, যে কোন ভাল উদ্ভাবন সমাজের উপকারে আসে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা রাতে বাঘসহ যে কোন ধরনের বন্যপ্রাণী সনাক্তকরণের জন্য যে উদ্ভাবন করেছে তা প্রশাংসার দাবি রাখে। এর সম্ভব্যতা যাচাই এবং মাঠ পর্যায়ে এর অর্থনৈতিক ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, তাদের কাছে বাঘ সনাক্তকরণের জন্য শিক্ষার্থীদের ওই উদ্ভাবনী ভাল লেগেছে। যে কোন মানুষ তার বাড়িতে এই উদ্ভাবন ব্যবহার করতে পারে।
শনিবার বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বরে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে মোট ৫৫টি প্রতিষ্ঠান ৩৭টি স্টলে তাদের উদ্ভাবনী প্রদর্শন করে। রবিবার এই মেলা শেষ হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজ আল-আসাদ জানান, ডিজিটাল উদ্ভাবনী এই মেলা মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মেলায় ভূমি অফিসের স্টলে রবিবার ছয়জন ভূমির মালিক অনলাইনে তাদের জমির খাজনা বাবদ ২০ হাজার ১৩২ টাকা পরিশোধ করেছেন।
সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম ধানসাগর গ্রামের আমিন চৌকিদার জানান, প্রায় প্রতিবছর দুই থেকে তিন বার সুন্দরবন ছেড়ে ভোলা নদ পাড়ি দিয়ে বাঘ তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গত বছর চারবার বাঘ তার বাড়ির ভিতরে চলে আসে। বাঘের ডাক শুনে তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। বাঘের ভয়ে তাদের নির্ঘুম রাত কাটে। অনেক সময় বাঘ তাদের গরু-ছাগল খেয়ে ফেলে। মানুষের ওপর হামলাও করে। বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী পাল্টা হামলা করে। অনেক সময় বাঘ গ্রামবাসীর হাতে প্রাণ হারায়। এ ধরনের উদ্ভাবন খুশির খবর বলে মনে করেন আমিন চৌকিদার।
জানা গেছে, সুন্দরবনের মোট আয়াতন ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আয়াতনের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। আর গোটা সুন্দরবন জুড়েই রয়েল বেঙ্গল টাইগার কম বেশি বিচারণ করে থাকে। নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝে মধ্যে বাঘ বনসংলগ্ন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তৈরি হয় বাঘে মানুষে দ্বন্দ্ব। অনেক সময় গ্রামবাসীর হামলায় বাঘ প্রাণ হারাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে জরিপে সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি নির্ধারণ করা হয়। নতুন করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করতে শিগগিরই সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু হবে বলে বন বিভাগ জানায়।
বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১ সাল থেকে ২০২২ সালের এ পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে নানাভাবে ২৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুস্কৃতিকারীদের হাতে ১৪টি, লোকালয়ে জনতার হাতে গণপিটুনিতে পাঁচটি,স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আটটি এবং ঘুর্ণিঝড় সিডরে একটি বাঘ মারা গেছে। চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে ১৯টি।
আরও পড়ুন: মহাকাশযান গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে: নাসা
দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের আয়োজনে ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর 'বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২' শীর্ষক অর্ধ দিবসের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে কোরিয়ার সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। আরএমজি সেক্টর বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ।
পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধু দেশ হিসেবে পাশে রয়েছে বলে তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে এ ধরনের রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস প্রতিষ্ঠানসহ পুরো আইসিটি খাতের জন্যে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী দিনে জিটুজি, জিটুবি ও বিটুবি ম্যাচমেকিং -এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্টার্টআপ, উদ্ভাবক ও নতুন সম্ভাবনাময়ী উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ ও উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের কোলাবরেশন এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন যে পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, তিনি ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা ড্রোন প্রযুক্তি বিষয়ক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী রোড শো আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার পক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে কোরিয়ার ছয়টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউ সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের রেট গ্রহণযোগ্য নয়, ফিক্সড রেট থাকতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের রেট গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, আপনি যখন প্যাকেজ বিক্রি করবেন তার একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। বর্তমানে যে প্যাকেজ রেট তা গ্রহণযোগ্য না। মোবাইল ডাটার একটা ফিক্সড রেট থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
রবিবার বিটিআরসি প্রধান সম্মেলন কক্ষে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) পরিবীক্ষণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) অত্যাধুনিক বেঞ্চমার্কিং সিস্টেমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রাহকের যে চাহিদা তা অপারেটরেরা পূরণ করতে পারে না। তার কারণ হচ্ছে - ২০১৮ সালের স্পেকট্রাম এবং ২০২২ সালের স্পেকট্রাম এখনও রোল আউট করতে পারেনি। যার কারণে গ্রাহক সেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আমরা অপারেটরদের চাপের মধ্যে রেখেছি। তারা অন্য সময় এমন চাপের মধ্যে পড়েনি।
মন্ত্রী বলেন, ডাটা প্যাকেজ রেট সমাধান করলে অন্তত ১০টি প্রশ্নের উত্তর এড়ানো যাবে। এজন্য বিটিআরসিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহককে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভুমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে দি ওয়েস্টিন হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক আয়োজিত “ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের লঞ্চিং সিরেমনি” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আমাদের শিখিয়েছেন কাজগুলো করতে হবে আইসোলেটেড ওয়েতে নয় বরং হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে, কোলাবোরেশন এবং কো-অর্ডিনেশন মাইন্ডসেট নিয়ে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন সরকার ব্যবসা করবে না, কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাজ করলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি তার মূল তিনটি শক্তি হলো- কৃষি, পোষাক ও প্রবাসী। এই কৃষি, পোশাক ও প্রবাসী এই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোন ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে তিন কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। সেকারনে আমরা স্যালুট জানাই আমাদের এক কোটি ২০ লক্ষ ভাই বোনদের যাদের রক্ত, ঘাম ও শ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের বেতন ভাতা হয়, রাস্তাঘাট হয়, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মৌলিক চাহিদাগুলোর মূল যোগান দেয় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারাও স্মার্ট প্রসেস ব্যবহার করছে। যারা বেশি করে ডেটা প্রডিউস করছে এবং ডেটা এনালাইসিস করতে পারছে তাদের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে তা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, সোনা বা হীরার থেকেও বেশি মুল্যবান হয়ে যাবে। এবং তার বড় প্রমান আজকের ডিজিটালাইজেশন অফ বিএমইটি সার্ভিস ‘প্রবাসী’ অ্যাপ।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশ থেকে জ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভাবনী অর্থনীতির দিকে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হয় তবে প্রযুক্তিকে আমাদের পোশাক শিল্পে ব্যবহার করতে হবে, প্রবাসী কর্মসংস্থানে ব্যবহার করতে হবে এবং আমাদের কৃষিতেও ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা একটা স্মার্ট ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয় কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে যার একটি উদাহরণ হল বিএমইটি ডাটাবেজ।
তিনি বলেন, যে বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর এনালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)-এর সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের প্রতিনিধিগণ, জনপ্রতিনিধিসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: পলক
টুইটারের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্ক, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এরপরেই মাধ্যমটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও এর শীর্ষ আইনজীবীকে বরখাস্ত করেন। মাস্কের টুইটার কিনে নেয়ার চুক্তির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতে জানান।
তবে তারা চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের এই চুক্তির সমস্ত কাগজপত্র স্বাক্ষরিত বা চুক্তিটি বন্ধ হয়েছে কি না তা বলেননি। কিন্তু তারা বলেছেন যে ইলন মাস্ক মাধ্যমটির দায়িত্বে আছেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরাগ আগরওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল ও প্রধান আইনি পরামর্শদাতা বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেছেন। চুক্তিটির সংবেদনশীলতার জন্য কেউই পরিচয় জানায়নি।
কয়েক ঘন্টা পরে মাস্ক টুইট করেন, ‘পাখিটিকে মুক্ত করা হয়েছে।’
গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট ও মাইক্রোসফটের বিক্রয় মুনাফায় তীব্র মন্থর গতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুগল ও ইউটিউবের প্রধান কোম্পানি অ্যালফাবেট জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরসহ গত তিন মাসে মাত্র ছয় শতাংশ বিক্রয় মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ছয় হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ, কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়েছে।
মহামারির সময়টি যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে গত এক দশকে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট সবচেয়ে দুর্বল ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি দেখেছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে যে কোম্পানিটির কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তির চাহিদা দুর্বল হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
কোম্পাটির বিক্রয় ১১ শতাংশ বেড়ে আয় হয়েছে পাঁচ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ধীর গতির আয় বৃদ্ধি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, মূল্য ও সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ও ব্যবসাগুলো হ্রাস পাচ্ছে। যা বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা জাগিয়েছে বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে।
মার্কিন ডলারের শক্ত অবস্থার কারণে আমেরিকান বহুজাতিকদের ক্ষতি হচ্ছে। যা বিদেশে পণ্য বিক্রি করা আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে
গত ত্রৈমাসিকে অ্যালফাবেটের মুনাফা ৩০ শতাংশ কমে হয়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ ইউটিউবের বিজ্ঞাপন হতে আয় প্রথমবারের মতো কমেছে।
টানা পাঁচ ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির বিক্রয় বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটকে বাদ দিয়ে ক্রেতা হিসেবে ওরাকলকে বেছে নিল টিকটক
চীনে বন্ধ হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট
পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ চালু
দীর্ঘ সময় বার্তা আদানপ্রদানের সমস্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এর মেসেজিং পরিষেবাগুলো আবার চালু হয়েছে। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে এই বার্তা পরিষেবাগুলো কাজ করছিল না।
ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ পুরোদমে চালু হয়েছে এবং এখন তারা এই সময়ে পাঠানো সব বার্তা পেয়েছেন।
হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপে কার্যকরী।
যদিও কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবে পরিষেবাগুলো এখনও কাজ করছে না। ফোন অ্যাপটি চালু করা উচিত।
আরও পড়ুন: বার্তা আদানপ্রদান করতে না পারার অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা
বিশ্বব্যাপী অনেকেই দ্রুত মেসেজ পাঠানোর জন্য মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে।
আজকের আগে হোয়াটসঅ্যাপ আরও একবার দীর্ঘসময় বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছিল। সেসময় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিভ্রাট ঘটেছিল।
এর আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে পুনরায় সেবা দানের জন্য কাজ করছে তারা।
মেটার মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা জানি যে কিছু লোক বর্তমানে মেসেজ পাঠাতে সমস্যায় পড়েছেন এবং আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছি।’
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ সবই মার্কিন প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন।
আরও পড়ুন: ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘ড্রয়িং রুমের আলোচনার মতই ফেসবুক মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহার ভয়ংকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয় এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়া ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠককালে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ ফেসবুকের একটি বড় বাজার উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ইন্টারনেটসহ শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় ফেসবুকের বাংলাদেশে এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বার্সেলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা এখন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারছি।
মোস্তাফা জব্বার ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাহির থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর ১৬৫টি ভাষায় ফেসবুক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতি ফেসবুকের বিরল সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন।
সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যে কোনো বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে, আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি।
তিনি ফেসবুক কর্তৃক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস ব্যক্ত করেন। ইতোমধ্যে ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে বলে দিয়া মন্ত্রীকে অবহিত করেন। যে কোনো আইন করার সময় স্টেকহোল্ডার, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি- সবার বক্তব্য নেয়া উচিত। বিটিআরসি ওটিটি গাইডলাইন তৈরিতে এটি করায় ফেসবুক প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরে মন্ত্রী ফেসবুক প্রতিনিধিকে তার লেখা বইয়ের একটি সেট ও মুজিব জন্মশতবর্ষের ডাকটিকিট অ্যালবাম উপহার প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী