%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অডিও ও ভিডিও কলিং সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধা আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে গত বছরের অক্টোবরে চালু করা হয়।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাধ্যমটির একজন ডেভেলপার এনরিক ব্যারাগান তার ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে জানান, আজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য অ্যাপ হালনাগাদ করে নিতে হবে। তবে শুধু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররাই কল করতে পারবেন। আর সাধারণ ব্যবহারকারীরা শুধু কল রিসিভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জে এসব তথ্য জানানো হয়।
যেভাবে সুবিধাটি চালু করবেন
সব অ্যান্ড্রয়েড ওএস চালিত মুঠোফোনে কবে থেকে সুবিধাটি চালু করা হবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। তবে নিজের মুঠোফোনে এক্স অ্যাপ হালনাগাদ করে সুবিধাটি পেয়ে গেছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনবির এই প্রতিবেদক।
আরও পড়ুন: 'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে প্রোফাইল আইকন থেকে 'সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি' অপশনে যেতে হবে। এরপর 'প্রাইভেসি অ্যান্ড সেফটি' নির্বাচন করতে হবে। 'ডিরেক্ট মেসেজ' অপশন থেকে পেয়ে যাবেন 'এনেইবল অডিও অ্যান্ড ভিডিও কলিং' সুবিধা। এই অপশন থেকেই ঠিক কাদের থেকে কল পেতে চাচ্ছেন তাও নির্বাচন করা যাবে।
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটির খরচ প্রতি মাসে ৩ ডলার থেকে শুরু।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে বছরজুড়ে এটুআইয়ের নানা উদ্যোগ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বছর জুড়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়েই সুগম হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ। তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তি, লেনদেন ও সরকার ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় এ প্রকল্পের অধীনে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এটুআই এবং এর উদ্যোগসমূহ বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৭টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছে।
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মানোন্নয়ন করতে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এটুআই। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের দক্ষতা বাড়াতেও এটুআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য এবছর আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পায় এটুআই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবাও দিচ্ছে প্রকল্পটি। এ লক্ষ্যে এটুআইয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে সরকার এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইনও প্রণয়ন করেছে।
এ ছাড়া দেশের জনবান্ধব সেবাব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এটুআই-কে প্রকল্প থেকে এজেন্সি গঠন করতে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ বিল পাস করা হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন চালু করা হয়েছে এ প্রকল্পের অধীনে। নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড (#ZeroDigitalDivide) গ্লোবাল ক্যাম্পেইন।
'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
ক্রোম ব্রাউজারে 'ইনকগনিটো' মোড এবং অন্যান্য ব্রাউজারে একই ধরনের 'প্রাইভেট' মোড ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারে নজর রাখার অভিযোগে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ‘প্রাইভেসি’ মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে গুগল।
২০২০ সালে দায়ের করা ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ মামলায় বলা হয়েছে, গুগল ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করার সময় বলাই আছে- ইন্টারনেট ক্রিয়াকলাপে নজর রাখা হবে না।
এক্ষেত্রে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে- গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য কৌশল ‘প্রাইভেট’ ব্রাউজিং করা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ একত্রিত করা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
বাদীরা আরও অভিযোগ করেন, যারা মূলত মনে করেছিলেন তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে গুগলের এই কর্মকাণ্ড ‘জবাবদিহিহীন তথ্য’ সংরক্ষণের নামান্তর।
বৃহস্পতিবার যে সমঝোতা হয়েছে, তা অবশ্যই ফেডারেল বিচারক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
যদিও এক্ষেত্রে শর্তাবলী প্রকাশ করা হয়নি, তবে মামলাটিতে ব্যবহারকারীদের পক্ষে ৫০০ কোটি ডলার দাবি করা হয়।বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তারা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চুক্তি নিয়ে আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছেন।
নিষ্পত্তির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে গুগল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
জনাকীর্ণ শহর ঢাকায় সাঁড়াশির মতো ছড়ানো সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনের রুটগুলো। বাসা থেকে বের হওয়ার পর মেলে না গন্তব্যের কাঙ্ক্ষিত পরিবহনটি। বিশেষ করে মেগাসিটির অধিবাসীদের বিরাট অংশকেই যাত্রার জন্য নির্ভর করতে হয় বাসের ওপর। নগরীজুড়ে বিভিন্ন রুটে বাসের চলাচল থাকলেও জ্যাম এড়িয়ে সময়মতো সঠিক বাসটি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। কোন বাস কোথায় যাচ্ছে এবং একই গন্তব্যে যাওয়ার বিকল্প পথে কোন বাসটি আছে; এগুলো আগে থেকে জানা সম্ভব হলে অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। আর এই ধকলটিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে।
যে মোবাইল অ্যাপগুলোতে জানা যাবে ঢাকার বাসরুট
বাস রুট: ঢাকা সিটি
১১ এমবি’র (মেগাবাইট) এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি একদমই নতুন। ২০২৩-এর ৩ অক্টোবর সমস্ত বাসের গমন পথের তালিকা ও গুগল ম্যাপের ইন্টিগ্রেশনসহ এটি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত হয়। পিওরসফট সল্যুশন নির্মিত পরিষেবাটির সর্বশেষ হালনাগাদ হয় ১৬ অক্টোবর।
এতে আছে যাত্রা শুরুর স্থান ও গন্তব্য নির্বাচনের সুবিধা। এ সময় যাত্রী তার বর্তমান অবস্থানের কাছাকাছি স্টেশনগুলোও দেখে নিতে পারেন। ফলে স্টেশনের নাম জানা না থাকলেও কাছাকাছি যে কোনো অবস্থান থেকে তার কাঙ্ক্ষিত বাসটি ধরতে পারবেন।
গুগল ম্যাপে সরাসরি পাওয়া যায় সকল স্টেশন এবং বাস চলাচলের তথ্য। এগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে দেখার পাশাপাশি আছে ইন্টারফেসের মুড পরিবর্তনের উপায়।
অ্যাপের এই ১.১.১ ভার্সনটি অ্যান্ড্রয়েড ৫ ও তার উপরের সব স্তরে ব্যবহার করা যাবে।
গত দুই মাসের মধ্যে অ্যাপটি ৫ হাজারেরও অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ৫৪টি রিভিউ থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৪.৪।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
ঢাকা সিটি বাস রুট
২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল চালু করা এই অ্যাপের বিশেষ দিক হলো এর সাবলিল সার্চ অপশন। অর্থাৎ এখানে সীমিত অপশন থেকে নির্বাচনের সীমাবদ্ধতা নেই।
তবে ৪.২ এমবি সাইজের অ্যাপটির অতিরিক্ত গুণগত মানগুলোও বেশ আকর্ষণীয়। এগুলো হলো- ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার পথ এবং আইনি সহায়তাসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ফোন নম্বর। এছাড়াও শহরের কোন মার্কেট কবে বন্ধ থাকে তা এখানে তালিকাবদ্ধও করা আছে।
২০২৩ এর ২৮ নভেম্বর হালনাগাদ করা অ্যাপটির বর্তমান সংস্করণ ১৫। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ও তারও বেশি অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপটি ইতোমধ্যে ৫০ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার ডাউনলোড করা হয়েছে। সেভেনটি ওয়ান ল্যাব নির্মিত অ্যাপটি ২৭০টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৩.৭।
আরও পড়ুন: ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ঢাকা বাস রুট
কোডারকো নির্মিত এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আসে ২০২৩ এর ২৪ আগস্ট। শহরের লোকাল বাসগুলোর পাশাপাশি সিটিং বা কাউন্টার বাসগুলোর তালিকা থাকায় এটি একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
৫.৮ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে বাস কোম্পানি ও বিভিন্ন স্থানের নাম দিয়ে রুট দেখার সুবিধা। ২০২৩ এর ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ আপডেট হওয়ার পর থেকে এর ২.২ সংস্করণটি চালু রয়েছে। এরই মধ্যে অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ হাজারেরও বেশিবার এবং ৩৬টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৪.৩। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ এবং তার উপরের স্তরের অপারেটিং সিস্টেম।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
ঢাকা সিটি বাস রুটস
নাম অনেকটা একই হলেও এনকোসিঙ্কের এই অ্যাপটি বেশ বড় এবং সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছু সুবিধা সম্বলিত। ১৪ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে ১৫৬-এরও বেশি বাস, ২৮৭-এরও বেশি রুট তালিকা। এরই সঙ্গে কার্যকরি সার্চ অপশন আর বাসের ছবিগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে আলাদাভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে।
২০২৩-এর ২৬ মে থেকে চালু হওয়ার পর অ্যাপটির শেষ আপডেট দেয়া হয় ২৬ আগস্ট। এর মাঝেই ১১.০.০ সংস্করণটির ডাউনলোড সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলেই যে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নির্দ্বিধায় অ্যাপটি চালাতে পারবেন। ১৫টি রিভিউ থেকে অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৩.৫।
বিডি বাস রুট
৬.১ এমবির এই অ্যাপটিতে ব্যবহারকারিরা পাচ্ছেন ১৫০-এর অধিক বাসের গমন পথ দেখার সুবিধা। ১০ হাজারের অধিক ডাউনলোড সংখ্যার নেপথ্যে রয়েছে এর সহজবোধ্য ইন্টারফেস। পরিবহনগুলোর ছবি থাকার কারণে ঢাকা শহরে একদম নবাগতরাও এর মাধ্যমে পেয়ে যান সরাসরি বাস চেনার অভিজ্ঞতা।
নিউএইজডেভস বিডি বাস রুট অ্যাপ প্রকাশ করে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর। ২৭ জন রিভিউদাতার কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ২০২৩-এর ৬ নভেম্বরে সর্বশেষ হালনাগাদ হয়। অতঃপর এটি উন্নীত হয় ১.১.২ সংস্করণে। কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানো যাবে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোন বাস কোথায় যায় (ঢাকা সিটি)
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে গুগল প্লে স্টোরে আসা অ্যাপটির আরেক নাম বাসরুট ইনফো (ঢাকা সিটি)। ৬.২ এমবি সাইজের এই অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপস। প্রত্যেকটি বাস কোম্পানির জন্য এখানে মিলবে স্বতন্ত্র রোডম্যাপ।
এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার ভিত্তিতে যে কোনো দূরত্বের ন্যায্য ভাড়া বলে দিতে পারে। এর জন্য এটি সরাসরি সংযুক্ত হয় ‘ভাড়া কত? বাস ভাড়ার তালিকা’ নামক অ্যাপের সঙ্গে, যেটি মূলত গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপেরই আরেকটি ডিজিটাল পরিষেবা।
২৮ জন রিভিউদাতাদের কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৫ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার। সর্বশেষ ২০২৩ এর ১৪ আগস্ট আপডেটের পর এর বর্তমান ভার্সন ২.২। অ্যাপটি চালানোর জন্য স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকতে হবে।
শেষাংশ
ঢাকার বাসরুট জানার এই প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর মধ্যে রেটিংয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছে পিওরসফৎ সল্যুশনের পরিষেবাটি। তবে সেভেনটি ওয়ান ল্যাবের অ্যাপটি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছে। নতুনগুলোর মধ্যে ব্যবহারযোগ্যতায় কোডারকো’র বাস গমন পথের তথ্যভান্ডারটি এগিয়ে। এখানে প্রতিযোগিতায় বেশ পিছিয়ে থাকছে নিউএইজডেভসের অ্যাপটি।
বেশি স্টোরেজ ক্ষমতা এনকোসিঙ্কের সেবার জন্য একটি বড় অসুবিধা হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। তবে ভাড়ার তথ্য জানার ফিচারের জন্য সবগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে ‘কোন বাস কোথায় যায়’ অ্যাপটি।
সর্বোপরি, ঢাকার বাসরুট খোঁজার মোবাইল অ্যাপগুলো সামগ্রিকভাবে পরিবহন ব্যবস্থার ডিজিটালকরণের অভিমুখে এক বিশাল পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
রিয়েলমির ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন ক্যাম্পেইন শুরু
২০২৩ সালকে বিদায় জানানোর আর অল্প কিছুদিন বাকি। আর বছরের শেষ সময় স্মরণীয় করে রাখতে রিয়েলমি নিয়ে এসেছে তাদের দুর্দান্ত নতুন ক্যাম্পেইন– ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন!
ক্যাম্পেইনের আওতায় রিয়েলমির নির্ধারিত কিছু ডিভাইসে ক্রেতারা আকর্ষণীয় সেল অর্থাৎ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
শুধু রিয়েলমির নিজস্ব স্টোর থেকে স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত এই ছাড় চলবে।
বছর শেষের ছুটির দিনগুলো জমিয়ে উদযাপন করতে রিয়েলমি সি৫৫ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়!
যারা দ্রুত চার্জিং সুবিধা সম্পন্ন একটি ডিভাইস খুঁজছেন, তাদের জন্য ক্যাম্পেইনের বিশেষ মূল্যে রিয়েলমি সি৫৩ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসটির অনন্য চার্জিং সুবিধার কারণে মাত্র ৪৬ মিনিটের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা ১০০ শতাংশ চার্জ উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি
বিশেষ এই অফারের আওতায় আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা যুক্ত রিয়েলমি সি৫১ (৪+৬৪ জিবি)। যার মূল্য এখন মাত্র ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রসেসর যুক্ত রিয়েলমি সি৩০এস এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৮ হাজার ৯৯৯ টাকা (২+৩২ জিবি) এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকায় (৩+৬৪ জিবি)।
ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত প্রতিটি স্মার্টফোনের রয়েছে অনন্য সব ফিচার, যা তরুণ আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য সেরা আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সেবা এখন মাইগভে
ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চালু করা মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি ডিজিটাইজড সেবা চালু হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজনে এবং এসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১৪৬ সেবা এখন পাওয়া যাবে মাইগভে
মাইগভে চালু হওয়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪ সেবা হলো- গণমাধ্যমবিষয়ক প্রশিক্ষণ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের স্থাপনা ভাড়ার আবেদন এবং অনলাইন রেজিস্টেশনের জন্য আবেদন।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘সরকার নাগরিকদের ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদান করতে চায়। এজন্য দরকার একটা সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এ উদ্দেশ্যে এটুআইয়ের সহযোগিতায় সরকার মাইগভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি নাগরিক সেবাকে প্রথম পর্যায়ে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংস্থার সেবাগুলো শিগগিরই যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে ক্যাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।’
সভাপতি ও মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, ‘সেবাগ্রহীতা অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিকবান্ধব সেবা নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’
মাইগভে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্ল্যাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগভে (mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টি নাগরিক সেবাসহ প্রায় ১ হাজার ৯০০টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগভে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইগভে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
পরিবর্তিত স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ও উন্নত ডাকসেবা অপরিহার্য বরে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জলে, স্থলে-অন্তরীক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি সেবা ডিজিটাইজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, অফিস ও অফিস ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও মানুষ কাজ করতে পারছেন। তিনি মানুষের জীবনধারা সচল রাখতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো পরিস্থিতে নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশ প্রেমের মহানব্রত নিয়ে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, সততা ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তা চারা গাছে পরিণত হয়।
২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর পেছনে থেকে যে মানুষটি কাজ করে গেছেন তিনি হলেন ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) এই হার শতকরা ১০৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ০৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) তা ১৮ কোটি ৮৬ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত) এ সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
২০০৮ সালে ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস বর্তমানে তা প্রায় ৫০০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা।
স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান।
তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পলক আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আসবে সেই রূপকথার মতো দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
২০২২ সালের ৭ এপ্রিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-করার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ফ্যান ও ব্যবহারকারীদের জন্য ‘স্ক্রিন ডিসকাউন্ট’ অফার নিয়ে এলো তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তারা। এই অফারে বাছাই করা স্মার্টফোন মডেলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দেশের যেকোনো জায়গার সার্ভিস সেন্টার থেকে এই অফার উপভোগ করতে পারবেন তারা।
তবে ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ, কোনো আউটলেটে যাওয়ার আগে সেখানে ওই নির্দিষ্ট মডেলের ডিসপ্লে রয়েছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
আপনার নিকটস্থ রিয়েলমি সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন এখান থেকে দেখুন- https://www.realme.com/bd/support/services
নিম্নোক্ত মডেলগুলোর জন্য এই অফার প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
মডেলগুলো হলো- রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি, রিয়েলমি ৯আই, রিয়েলমি সি৩৩, রিয়েলমি সি২১ওয়াই, রিয়েলমি সি২৫-ওয়াই, রিয়েলমি সি৩১, রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম, রিয়েলমি সি৩৫, রিয়েলমি সি৩০, রিয়েলমি সি২৫এস, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৬আই, রিয়েলমি জিটি নিও২, রিয়েলমি সি২১, রিয়েলমি সি২০, রিয়েলমি নারজো ৫০, রিয়েলমি ৭আই, রিয়েলমি সি১৫ কোয়ালকম এডিশন, রিয়েলমি সি১৭, রিয়েলমি সি২৫, রিয়েলমি নারজো ৩০এ, রিয়েলমি সি৩০এস, রিয়েলমি নারজো ২০, রিয়েলমি সি১১, রিয়েলমি ৫আই, রিয়েলমি ৭ প্রো, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন এবং রিয়েলমি সি৩।
উল্লেখ্য, এই অফারগুলো কেবল রিয়েলমি’র অফিসশিয়াল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে রিয়েলমি অনুমোদিত কালেকশন পয়েন্ট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
একজন ক্রেতা এই ছাড় বেশ কয়েকবার গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন, যা এই অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে, সার্ভিসিংয়ের পর পরিবর্তন করা ভাঙা অংশগুলো ব্যবহারকারীরা ফেরত নিতে পারবেন না।
ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ ‘রিয়েলমি সার্ভিস বিডি’ থেকে এই অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই অফার চলবে আগামী বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে আর দেরি কেন? এখনই আপনার নিকটস্থ আউটলেটে যান আর উপভোগ করুন আকর্ষণীয় অফার।
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
বৈশ্বিক রপ্তানি ২০ কোটি ছাড়িয়ে রিয়েলমি
আরও একটি মাইলফলক অর্জন করল তরুণদের পছন্দের ব্রান্ড রিয়েলমি! বিশ্বজুড়ে ২০ কোটিরও বেশি ডিভাইস বিক্রি করে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার জয় করেছে দ্রুত বর্ধনশীল এ ব্র্যান্ডটি।
২০২১ সালে ১০ কোটি বিক্রির মাইলফলক অর্জন করার পর থেকেই সকল ক্ষেত্রে সেরা স্থান অর্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি।
সবচেয়ে দ্রুত ২০ কোটি বিক্রির এই মাইলফলক অর্জন করার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে তরুণদের পছন্দের এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড।
২০১৮ সালের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যাত্রা শুরু করে রিয়েলমি। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি টানা পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বিক্রির ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা দশ ব্র্যান্ডের মাঝে স্থান ধরে রেখে বাজারের নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত উল্লেখযোগ্য সব কৃতিত্ব অর্জন করে চলছে রিয়েলমি।
সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘সিম্পলি বেটার স্ট্র্যাটেজি’ চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি তাদের সকল পণ্যের প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্টে ‘লিপ-ফরোওয়ার্ড’ প্রযুক্তি নিশ্চিত করছে। এই স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ডিজাইন, পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে লিপ-ফরোওয়ার্ড প্রযুক্তি, ডিজাইন ও পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রিয়েলমি।
এছাড়াও, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ডিসপ্লে, ফটোগ্রাফি, গেমিং ও চার্জিং -এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন আনতে রিয়েলমি গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব লিপ-ফরোওয়ার্ড টেকনলোজি চালু করেছে ব্র্যান্ডটি।
ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হওয়া স্বত্বেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও বাহ্যিক পরিবেশের চাপ মোকাবিলা করে গত দুই বছর যাবত একটি স্থিতিশীল বৃদ্ধি বজায় রেখেছে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
এই লিপ-ফরোয়ার্ড পণ্যগুলো ব্র্যান্ডটিকে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে।
ফলে, এই উদীয়মান বাজারে একটি শীর্ষস্থানীয় অংশীদার হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।
শুরু থেকেই তরুণদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছাকাছি থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্রমাগত উন্নত করছে রিয়েলমি।
ফলে, ব্যবহারকারীদের স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি পারস্পরিক সাফল্য নিশ্চিত করছে তারা।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে ৪৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৪ সালে তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনতে কাজ করছে রিয়েলমি।
৩৩টিরও বেশি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। ৪০০ শতাংশ গবেষণাকর্মী বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণা ও প্রযুক্তি দলের সম্প্রসারণে কাজ করছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি’র পঞ্চম-বার্ষিকীর খোলা চিঠিতে রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি বলেন, “স্মার্টফোন খাতে ‘এলিভেটর-স্টাইল’ বিকাশের যুগ এখন শেষ। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো আরও চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রতিটি পদক্ষেপ রিয়েলমিকে তার পরবর্তী গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। নতুন মাইলফলকের দিকে এগোনোর পাশাপাশি রিয়েলমি এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে ক্রমাগত নতুন উচ্চতা অর্জনে কাজ করবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের চাহিদা মাথায় রেখে তাদের বিকাশের লক্ষ্যে রিয়েলমির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে নিজেদেরকে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নিতে কাজ করব আমরা।”
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০