বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: টেলিকম পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এএমটিওবি) জানিয়েছে, জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের কিছু অংশে টেলিকম পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের কিছু অংশে টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’
জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় এদিন দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ বাদে সারা দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের মতে, দেশের পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে যমুনা নদীর পূর্ব দিকের জেলাগুলোর কোথাও কোথাও ট্রান্সমিশন লাইন ট্রিপ হয়েছে।
পিজিসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, রংপুর বিভাগের মাত্র কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একের পর এক কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান জানান, বিপিডিবি এবং পিজিসিবি উভয়ের প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ওই বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে তারা গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ও অবস্থান এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
জাতীয় পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থতা বাংলাদেশের টেলিকম পরিষেবাকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা এখন দেখার বিষয়।
২০১৭ সালের ২ মে দেশের ৩২টি জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
চীনে বন্ধ হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট
টেক জায়ান্ট গুগল চীনের মূল ভূখণ্ডে এর অনুবাদ পরিষেবা (গুগল ট্রান্সলেট) বন্ধ করেছে। এমনিতেই সেখানে প্রতিষ্ঠানটির হাতে গোনা কয়েকটি পরিষেবা চালু আছে। কারণ চীনে বেশিরভাগ পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্লক করা আছে।
গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমানে একটি জেনেরিক সার্চ বার দেখাচ্ছে এবং একটি লিংক চীনা ব্যবহারকারীদের গুগল ট্রান্সলেটের হংকং পেজে নিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত মূল ভূখণ্ডে ব্লক করা।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, শনিবার থেকেই গুগলের এই পরিষেবা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এমনকি গুগলের ক্রোম ব্রাউজারে অনুবাদের যে বিল্ট-ইন সুবিধা রয়েছে তাও ব্যবহার করতে পারছেন না চীনা ব্যবহারকারীরা।
গুগল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কম ব্যবহারকারীর জন্য চীনে গুগল ট্রান্সলেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। তবে সেখানে পরিষ্কার করা হয়নি ঠিক কতজন পরিষেবাটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
চীনের সাথে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক বেশ আগে থেকেই খারাপ। দেশটির সেন্সরশীপ নীতি মেনে চলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পর ২০১০ সালে গুগল নিজেদের সার্চ ইঞ্জিন চীন থেকে সরিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে চীন দেশটিতে ইমেইল পরিষেবা জিমেইল ও গুগল ম্যাপস এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
কঠোর সেন্সরশীপ নীতি বজায় রাখতেই চীনা কর্তৃপক্ষ গুগল, ফেসবুক, টুইটারের মতো অধিকাংশ পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্লক করেছে। চীনা প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই সেই নীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় এবং কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বলে মনে করা কী-ওয়ার্ড ও বিষয়গুলো সেন্সর করতে হয়।
আরও পড়ুন: শাম্মী কুদ্দুস: গুগল এবং বিশ্ব অর্থপ্রযুক্তি শিল্পে একজন সফল বাংলাদেশি নারী
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
শিশু যখন হাঁটতে শেখে তখন তার প্রতিটি কদমে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা যায়। এই বুঝি পড়ে গেলাম! সেজন্যই হয়তো ছোট ছোট কদমে ধীরে ধীরে পা ফেলতে শুরু করে। ঠিক শিশুর মতোই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার কার্যালয়ে শুক্রবার দেখা মেলে মানব রোবটের হেঁটে আসার দৃশ্য।
মঞ্চের এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ধীর কদমে হেঁটে এসে রোবটটি দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানায়। রোবটটির নাম রাখা হয়েছে অপটিমাস।
প্রতিষ্ঠানটির কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিবসে (এআই ডে) টেসলা যে রোবটটি দেখিয়েছে তা আপাতত একটি প্রোটোটাইপ। যা ভারী বস্তু উঠানোসহ নানা কাজ করতে পারে।
হেঁটে আসা রোবটটি একটি প্রোটোটাইপ হলেও মঞ্চে পরবর্তীতে তিনজন মানুষজে তার ও অন্যান্য সংযুক্ত যন্ত্রাংশসহ রোবট আনতে দেখা যায়। যা দেখতে মোটেই মাস্কের ভাস্য অনুযায়ী রোবটের মতো নয়।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
কার্যালয়ে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে মাস্ক বলেন যে শুক্রবার তারা যে রোবটটি দেখতে পেয়েছে প্রকৃতপক্ষে এটি আরও বেশি কাজ করতে পারে।
মাস্ক অন্যান্য রোবট ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে বলেন, জাঁকজমক ও আয়োজন করে যে রোবটগুলো দেখানো হয় সেগুলোর আসলে ‘ব্রেন’ থাকে না। নিজে থাকে চলার মতো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা না থাকার কথাও বলেন তিনি। তবে অপটিমাসের মাধ্যমে তিনি কিছু এআইয়ের নমুনা দেখান।
তবে নতুন এই রোবট নিয়ে সমালোচনাও করতে দেখা গেছে। মঞ্চে দেখানো নমুনায় এআই গবেষক ফিলিপ পিকনিউস্কি সন্তুষ্ট হননি। তিনি টুইটারে লিখেছেন, এটি বেশ তামাশার এবং সম্পূর্ণভাবে ‘স্ক্যাম’।
আরও পড়ুন: ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
মাস্ক জানান, এই প্রথম রোবটটি কোনো সাহায্য ছাড়াই হেঁটেছে। টেসলার লক্ষ্য কি তা জানিয়েছেন মাস্ক। তিনি জানান, এমন রোবট তৈরি করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি যা কাজের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সক্ষম হবে। আর রোবটটি তৈরি ও বাজারজাত করা হবে অধিক হারে। যা লক্ষাধিকও হতে পারে। এর মূল্য হবে একটি গাড়ির দামের চেয়েও কম। দামের ধারণা দিয়ে মাস্ক জানান, ২০ হাজার মার্কিন ডলারের কম হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ক সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর তথ্য
শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে সাকিবের এক্সক্লুসিভ এস#৭৫ রঙ সম্বলিত অপো এফ২১এস প্রো
বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অপো এফ২১এস প্রো ডিভাইসে তার সিগনেচার এস#৭৫ কালার নিয়ে এসেছে।
এস#৭৫ কালার পরিবর্তনশীল; যেখানে গোলাপী, সবুজ ও সোনালীসহ আরও অনেক কালার শেড (ধরন) রয়েছে। রঙের এ ধরনগুলো সাকিবের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ, যা সাকিব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সাফল্য ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জন করেছেন।
এটি শুধুমাত্র সাকিবের রঙই নয়, বরং এটি যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য; বিশেষ করে, যারা তাদের জীবনে বিশেষ কিছু অর্জনের মাধ্যমে তাদের জীবনকে গৌরাবান্বিত করতে চান।
আরও পড়ুন: বাস্তবের নায়কদের সম্মানিত করল অপো
এই এক্সক্লুসিভ এস#৭৫ কালার শুধুমাত্র অপো এফ২১এস প্রো-তে পাওয়া যাবে। অপো’র নতুন এ ডিভাইসটি ০৫ অক্টোবর দেশে উন্মোচন হবে।
সাকিবের সিগনেচার এস#৭৫ রঙের সমন্বয় এমন একজন মানুষের গল্প বলে যাদের কথা ও কাজে মিল রয়েছে। এটি করার জন্য তিনি তার চারপাশ এবং জীবন থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেন।
এস#৭৫ এর প্রতিটি রঙ সাকিবকে যে বিষয়গুলো অনুপ্রাণিত করে সে বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে।
যেমন-প্রশিক্ষণ মাঠের সবুজ রঙ, ট্রফি’র সোনালী রঙ ও ফ্যানদের ভালোবাসা থেকে পাওয়া গোলাপী রঙের শেড এর সমন্বয় সাকিবেরই গল্প। ‘ইন্সপিরেশন এহেড’ প্রতিপাদ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা দিতে অপো এর প্রযুক্তিতে ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন নিয়ে আসছে, যাতে করে অপো ফোনপ্রেমীরা তাদের জীবনকে রঙিন ও নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন।
এ কারণেই, সাকিব এস#৭৫ কালার বেছে নিয়েছে, যাতে করে ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের মাঝে সুপ্ত মাল্টি ইউনিভার্স উন্মোচন করতে পারে এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
অপো’র সিগনেচার অপো গ্লো ডিজাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপো এফ ২১ এস প্রো-তে রঙের ম্যাজিকাল কম্বিনেশন নিয়ে আসা হয়েছে। অপো গ্লো ডিজাইন প্রযুক্তি ব্র্যান্ডটির নিজস্ব বিশেষায়িত উৎপাদন পদ্ধতি, যা অপো এফ২১এস প্রো’র পেছনের অংশে বিভিন্ন রঙের আবহ নিয়ে আসে। ফলে, ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোনটিকে ধরলে বিভিন্ন ধরনের রঙ দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
এ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘অপো এফ২১এস প্রো-তে নতুন রঙের সমন্বয় এস#৭৫ নিয়ে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ভাবে অনুপ্রেরণা লাভ করে। অপো এফ ২১ এস প্রো’র নতুন ডিজাইন এ বিষয়টিকে বুঝতে পেরেছে, যা বাংলাদেশের মানুষের ভেতরের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করার মাধ্যমে তাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
এ নিয়ে অপো বাংলাদেশ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, ‘অসাধারণ ক্রিকেট প্রতিভা দেখানোর জন্য সাকিব আল হাসান বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। সাকিব স্বপ্ন দেখেন এবং তা পূরণও করেন। সাকিবের মতোই অপো বিশ্বাস করে মানুষের জীবনে এমন কিছু প্রয়োজন, যা তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের এ অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।
অপো’র এফ ২১ এস প্রো’র নতুন কালার অপশন এস#৭৫ এর বিভিন্ন ধরনের রঙের সমন্বয় ব্যবহারকারীদের অনুপ্রেরণা দিবে, যা তাদের সফলতা অর্জনের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনে সাহায্য করবে।’
অপো সম্পর্কে:
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো। ২০০৮ সালে তাদের প্রথম মোবাইল ফোন 'স্মাইলি ফেস' উন্মোচনের পর থেকে গ্রাহকদের নান্দনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মিশেলে তৈরি ডিভাইস সরবরাহের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে অপো।
বর্তমানে অপো ফাইন্ড এক্স ও রোনো সিরিজসহ বিস্তৃত পরিসরের স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসছে। ডিভাইসের পাশাপাশি, অপো তাদের গ্রাহকদের জন্য অপো ক্লাউড এবং অপো+ এর মতো কালারওএস অপারেটিং সিস্টেম ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে অপো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অপো'র ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মী কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
দেশের বাজারে নতুন ‘অপো এ৭৬’ উন্মোচন
পৃথিবীকে রক্ষা: স্পেস টেলিস্কোপে ডার্টের কর্মযজ্ঞের ঝকঝকে ছবি
পৃথিবীর সুরক্ষায় গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক গ্রহাণু ধ্বংস করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) ডার্ট। গ্রহাণু, ধূমকেতুসহ যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু থেকে পৃথিবীকে রক্ষার এই কর্মযজ্ঞের ঝকঝকে ছবি দেখছে বিশ্ববাসী।
বৃহস্পতিবার হাবল ও ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে তোলা রুদ্ধশ্বাস সে ঘটনার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে অবস্থিত ডিমরফোস নামের গ্রহাণুকে সোমবার ধ্বংস করেছে নাসার মহাকাশযান ডার্ট (ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট)। সাত মহাদেশের টেলিস্কোপ অভিযানটির ওপর চোখ রেখেছিল।
এই ঘটনায় সুনির্দিষ্ট কী পরিবর্তন ঘটেছে তা বিজ্ঞানীরা নভেম্বরের আগে জানতে পারবেন না। তবে এখন তাদের হাতে যা আছে তাতেই ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা মহাকাশীয় বস্তু থেকে নিরাপদে থাকার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিষয়ক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মিশনটির নেতা অ্যান্ডি রিভকিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ এক নজিরবিহীন ঘটনার অভূতপূর্ব দৃশ্য।’
স্থিরচিত্রগুলো ডিমরফোসের মতো ছোট ছোট গ্রহ সম্পর্কে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের। ডিমরফোসে নাসার মহাকাশযান আঘাত হানার পর এর ক্ষুদ্র অংশ যে চারিদিকে ছড়িয়ে যায় তা স্থিরচিত্রে আলোর রেখা আকারে দেখা যায়।
এ সক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে নাসা।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
আমেরিকান টেক জায়ান্ট গুগল তাদের গেম স্ট্রিমিং পরিষেবা স্ট্যাডিয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। যা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে।
কোম্পানিটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত অর্থ এর ব্যবহারকারীদের ফেরত দেয়ার কথাও জানিয়েছে। যারা স্ট্যাডিয়া কন্ট্রোলার কিনেছিলেন তারা এর অর্থ ফেরত পাবেন। এমনকি স্ট্যাডিয়া স্টোর থেকে কেনা গেম বা অ্যাড-অন সেবার ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আশা করা হচ্ছে যে অর্থ ফেরতের কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
গুগল জানিয়েছে, স্ট্যাডিয়া চালানোর জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত তা এখন কোম্পানিটির ইউটিউব, গুগল প্লে ও অগমেন্টেড রিয়ালিটির মতো সেক্টরে প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভ্যাট নিবন্ধন নিল গুগল-আমাজান
এএনআই জানিয়েছে, গুগল স্ট্যাডিয়া শুরু করেছিল ২০১৯ সালের মার্চে। কিন্তু সেসময় এক্ষেত্রের শিল্পসংশ্লিষ্টরা বেশ সংশয় প্রকাশ করে। কারণ গুগলের নতুন কিছু শুরু করে তা আবার বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতা আছে। যেহেতু এটি স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের ক্লাউডের সাহায্যে খেলতে হয় এবং অপ্রতুল গেম লাইব্রেরির কারণে অনেকেই বেশ সমালোচনাও করেছিল।
আরও পড়ুন: গুগলের প্রোডাক্ট উন্নয়নে বাংলাদেশি তরুণদের সুযোগ প্রদানের আহ্বান পলকের
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কিশোর ও কিশোরীদের জন্য প্রথম বাংলাদেশি ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ (www.hasinaandfriends.gov.bd) এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস.বিডি ডোমেইন থেকে খেলতে খেলতে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ডিজিটাল সংযোগ নিয়ে জানতে পারবেন। খেলতে খেলতে তারা পুরস্কারও পাবেন। এর আগে শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য শতভাগ বাংলাদেশি কোনো লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ছিল না।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
প্রতি বছরই ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ ফেস্টিভ্যাল হবে বলে তিনি জানান।
‘আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, একজন ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ ও দেশপ্রেমিক একজন নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জানতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তার রাজনৈতিক দর্শনকে জানতে হবে এবং অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মন নিয়ে বড় হতে হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উন্নত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।
শেখ হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস গেমিং প্ল্যাটফর্ম টি অনন্য সাধারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৃজনশীল, উদার, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
যুক্তরাজ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করার সময় শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিটি দুই কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় সোমবার জানিয়েছে, কোম্পানিটির জন্য এক আইনি নথি জারি করা হয়েছে যেখানে সম্ভাব্য জরিমানার কথা উল্লেখ আছে।
নথিতে আরও বলা আছে, ১৩ বছরের কম বয়সীদের টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি যথাসম্ভব এর ব্যবহারকারীদের মা-বাবার অনুমতি না নিয়েই তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই তারা বিশেষ বিভাগের ডেটার প্রক্রিয়াকরণ করেছে।
কমিশনার বলেন, বিশেষ বিভাগের ডেটার মধ্যে জাতি ও বর্ণগত উৎস, রাজনৈতিক মতামত, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং যৌন অভিমুখিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে না টিকটক
টিকটক এর ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছ, সহজে বোধগম্য তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইনি নথিটি ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় পর্যবেক্ষণ করেছে।
তথ্য কমিশনার বলেন, মনে হয়েছে যে টিকটক যথাযথ তথ্য গোপনীয়তায় সুরক্ষা দিতে গড়িমসি করেছে।
সংস্থাটি বলেছে যে এর ফলাফলগুলো চূড়ান্ত নয় এবং এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে টিকটকের পক্ষ থেকে যে কোনো দাখিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
টিকটকে তরুণীর ছবি, চিরকুটে নির্যাতনকারীদের নাম লিখে তরুণের আত্মহত্যা !
অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার চালু করা একটি নির্দেশিকা অনুসারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের অক্টোবর থেকে কলড্রপের জন্য টকটাইম ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও টকটাইম ফেরত সংক্রান্ত অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকাটি বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
একজন গ্রাহক সকল মোবাইল অপারেটরের জন্য একই ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#)মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন বা সপ্তাহ অথবা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে যা ১ অক্টোবর কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মোবাইল অপারেটররা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) টকটাইম এবং পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য চারটি পালস (৪০ সেকেন্ড) সহ গ্রাহকদের ফেরত দেবে।
কলড্রপের ফলে ফেরত টকটাইম পরের দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘন্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়- ফেরত টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার পূর্বে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কলের জন্য কোনো টাকা কাটা যাবে না।
কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম সম্পর্কে গ্রাহককে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
একজন অপারেটর চাইলে কলড্রপ হওয়ার দিন থেকে কল মিনিট ফেরত দিতে পারে।
কলড্রপের ফেরত দেয়া টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক ১৫ দিনের সময়কাল প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাইডলাইনকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করেন। তাই অপারেটরকে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে।’
মন্ত্রী অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ২০২১ সালের 'ডন্ট লুক আপ' সিনেমাটি দেখেছেন? যেখানে দু'জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধুমকেতুর বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করে!
সিনেমাটি না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। একটু ভাবুনতো, গ্রহাণু বা ধুমকেতু প্রবল বেগে ধেয়ে এসে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে! ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় তাই না! মার্কিন মহাকাশ সংস্থাও (নাসা) বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করেছে এবং অনেক আগে থেকেই তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মহাকাশে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে বহুকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি গ্রহাণু। এটিকে লক্ষ্য করেই নাসার এক মহাকাশযান প্রতি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল বেগে তেড়ে যায়। লক্ষ্যবস্তুর সাথে বাঁধে সংঘর্ষ। বলে রাখা ভালো, এই সংঘর্ষ কিন্তু সুপরিকল্পিত।
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান ও ডিমরফোস নামক ৫২৫ ফুট চওড়া গ্রহাণুর মধ্যে সোমবার পূর্ব সময় (ইটি) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু ধেয়ে আসলে তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংস করে সজীব এই গ্রহকে রক্ষা করা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১০০ বছরে বড় আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করছে না। তাছাড়া অনায়াসে অন্যান্য গ্রহ, গ্রহাণু বা মকাশীয় বস্তুর গতিপথ মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে ছোটখাটো কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
ডার্ট মিশনকে পরিচালনাকারী মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারের (এপিএল) একজন হচ্ছেন ন্যান্সি চ্যাবট। তিনি বলেন, ‘গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে আমি সত্যিই ঘুম হারাচ্ছি না, তবে আমি এমন একটি বিশ্বে বাস করার বিষয়ে উত্তেজিত যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু এটা কি উত্তেজনাপূর্ণ নয় যে আমরা কল্পবিজ্ঞান থেকে বাস্তবতায় যাচ্ছি?’
সেই বাস্তবতাকে রূপ দেয়ার অনুশীলন হিসেবেই নাসা ডার্টকে গ্রহাণুটি ধ্বংস করার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। এই প্রথম প্রচেষ্টার মিশনটির জন্য খরচ করতে হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ