������������������
রাকিবের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানালেন মাহি
আবারো বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না বলে এক ভিডিও বার্তায় জানান এই তারকা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় নিজের সংসার ভাঙার খবর দিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে মাহি বলেন, ‘আমি ও রাকিব খুব ভালো বোঝাপোড়া থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা আলাদা থাকছি।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
তিনি আরও বলেন, ‘খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব। আমি জানি এই ভিডিওটা দেখার পরে আপনারা সবাই আমাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন, এসব মন্তব্য একটা তীরের মতো আমার বুকে বিঁধবে। কষ্ট হয়, তবে এসবে আমি কিছু বলি না। আমার পরিবারের মানুষও কষ্ট পায়।’
ভিডিও বার্তায় ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে মাহি বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। ওকে নিয়েও অনেকে বাজে মন্তব্য করেন। সে তো বাচ্চা, বুঝে না। কিন্তু আমি কষ্ট পাই। কোনো বাচ্চাকে নিয়েই আপনারা এমন মন্তব্য করবেন না। বুকটা ফেটে যায় একজন মা হিসেবে কষ্টে। আপনারা আমার ও ফারিশের জন্য দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, রাকিব সরকারের সঙ্গে ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাহি।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
‘একুশে পদক-২০২৪’ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্টজন
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
২১ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোল বিভাগে পদক পাচ্ছেন দুইজন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
তারা হলেন- মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। আর শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগে এই পদক পেয়েছেন ১১ জন।
সংগীতে পেয়েছেন- জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
অভিনয়ে- ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
নৃত্যকলায়- শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চারজন।
তারা হলেন- মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
ভালোবাসা দিবস ২০২৪: মুক্তির অপেক্ষায় যেসব নাটক
ফাল্গুন ও প্রেমের সওগাত নিয়ে আসছে ভালোবাসার মহৌৎসব। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সাদরে বরণ করে নিতে সাজ সাজ রবে মুখরিত বিনোদন পাড়া। ছোট পর্দার পরতে পরতে বসন্তের শুভাগমন বর্ণীল আভা ছড়ালেও সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের রঙে। ইউটিউব ও টিভি চ্যানেলগুলোকে কেন্দ্র করে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে মুক্তির মিছিলে শামিল হওয়া মৌলিক নাটকগুলো যেন তারই পরিবেশনা। এই উন্মাদনা টিজার, ট্রেলার ও পোস্টারের বাহনে চেপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নেটিজেনদের প্রতীক্ষা ও আলোচনায়। চলুন, সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রত্যাশিত কয়েকটি ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র নাটকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভালোবাসা দিবস ২০২৪-এর যে ১০টি নাটক দর্শকনন্দিত হওয়ার অপেক্ষায়
ভ্লগার মিতু
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ-এর প্রযোজনায় ক্লোজআপ এবার নিয়ে আসছে তিনটি ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল। সিনেমাওয়ালার ব্যানারে এই নাটকগুলো নির্মিত হয়েছে তিনজন তরুণ নির্মাতার নির্দেশনায়। তন্মধ্যে হাসিব হোসেন রাখি পরিচালিত ‘মন দুয়ারে’ সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর আগের দিন, আর পরের দিন প্রকাশিত হবে সাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পীর ‘তুমিহীনা’। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর জন্য রাখা হয়েছে রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘ব্লগার মিতু’, যার নাম ভূমিকায় রয়েছেন কেয়া পায়েল।
দেশ সেরা ভ্লগার মিতুকে নিয়ে ভ্লগ বানাতে সরাসরি একদম বাসায় এসে উপস্থিত এক ভ্রমণ ভ্লগার। এই ভ্রমণ ভ্লগারের ভূমিকায় উপস্থিত হবেন ইয়াশ রোহান।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
শুরুটা তিক্ততা দিয়ে শুরু হলেও ক্রমশ এই দুই ভ্লগারের সম্পর্ক প্রণয়ে রূপ নেয়। কিন্তু বাধ সেধে বসে গ্রামবাসী। প্রতিকূলতা আরও বেড়ে যায় যখন তাতে অনুপ্রবেশ ঘটে তৃতীয় পক্ষের।
এমনি গল্প নিয়ে এগিয়েছে নাটকের কাহিনী। এখানে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিলি বাশার, রিফাত জাহান, আনোয়ার হোসেন, ডিকন নূর, রিয়াজ রাজ প্রমুখ।
নাটকের চিত্রগ্রহণে ছিলেন কামরুল ইসলাম শুভ, আবহ সঙ্গীতে সজিব দাস এবং রঙ বিন্যাস ও সম্পাদনায় রাশেদ রাব্বি।
পাষাণ
চেহারা ঝলসানো অবস্থায় বেশ কিছু দিন ধরেই নেটিজেনদের বিস্ময়ের খোরাক যোগাচ্ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সেটি আর কিছুই নয়, মেহেদি হাসান হৃদয় রচিত ও পরিচালিত পাষাণ নাটকের শ্যূটিং।
বস্তিতে থাকা এক দম্পতি তাদের অভাবের সংসার চালাতে দুজনেই কাজ করে। স্বামী সেলুনে আর স্ত্রী বাড়ীতে থেকেই সেলাইয়ের কাজ করেন। টানাটানির সংসারে ভালোবাসার দিনকে সামনে রেখে দুজনেই মনস্থির করেন- একে অন্যকে উপহার দিয়ে চমকে দিবেন। কিন্তু তার আগে ভাগ্যই তাদেরকে সবচেয়ে বড় চমকের সম্মুখীন করে। হঠাৎ বস্তিতে আগুন লেগে ঝলসে যায় স্ত্রীর চেহারা। এর পরবর্তীতে ঘটনাকে উপজীব্য করেই এক অসামান্য প্রেম ও আবেগের গল্প বলেছে পাষাণ নাটক।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আবুল হায়াত ও আজিজুল হাকিম। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন বিকাশ সাহা। নাটকটি দর্শক দেখতে পারবেন ভালোবাসা দিবসে রাত ৮টায় আরটিভির পর্দায়।
বুক পকেটের গল্প
‘অচেনা অতিথি’, ‘কতিপয় সুখের খোঁজে’ এবং ‘তোমায় ফিরে পাবো?’ এই তিন গল্পের এক অ্যান্থলজি বুক পকেটের গল্প। কেএস এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশনের প্রযোজনায় নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। গল্প ভিন্ন হলেও চিত্রপটে রয়েছে ভালো লাগা, প্রেম ও বিরহ।
নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন মীর রাব্বী, শাশ্বত দত্ত, তাহিয়া তাজিন খান আইশা, প্রিয়ন্তী উর্বী, আবু হুরায়রা তানভীর, এবং মারিয়া হোসেন শান্ত।
শাশ্বতর চরিত্রের নাম মাহিন, আইশার চরিত্র মালিহা, মাহফুজ নামে থাকবেন রাব্বী, মারিয়ার চরিত্র মেঘলা, নবনী হিসেবে উর্বী এবং তানভীর থাকবেন সায়মন চরিত্রে।
আরও পড়ুন: বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফিতে আছেন ভাস্কর জনি, আবহ সঙ্গীতে সৈয়দ নাফিস এবং রঙ, সম্পাদনা এবং ভিজুয়াল ইফেক্টে অর্ণব হাসনাত। ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় নাটকটি মুক্তি পাবে কেএস এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে।
শিউলি ফুল
বৃষ্টি, কবিতা, প্রেয়সী, প্রেমিকের মুগ্ধ চাহনী; সব মিলিয়ে নিরঙ্কুশ প্রেমের নাটক হলেও চমকপ্রদ ক্লাইমেক্সের হাতছানি দিচ্ছে শিউলি ফুল নাটকের ট্রেইলার। মাসুম শাহরিয়ারের গল্পে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন এল আর সোহেল।
রোমান্টিক দৃশ্যে তানজিন তিশা পরিচিত মুখ হলেও অনেক দিন বাদে গম্ভীর রোমান্টিক চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন নরেশ ভূঁইয়া, আমিনুর রহমান বাচ্চু, এম কে এইচ পামির, এবং মেহেদী হাসান পিয়াল।
চিত্রগ্রহণে রয়েছেন সুমন হোসাইন, এবং গান ও আবহ সঙ্গীতে শাহরিয়ার আলম মার্সেল। নাটকটি ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ১০ টায় একযোগে সম্প্রচারিত হবে দীপ্ত টিভি, দ্বীপ্তপ্লে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, এবং দ্বীপ্ত নাটক ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
রঙ রাধিয়া
নিজের অবচেতনে রাধিয়া নামের এক কাল্পনিক মেয়ের ছবি আঁকে এক চিত্রকর। প্রদর্শনীর পর থেকে ছবিটি বেশ খ্যাতিও পেয়ে যায়। তবে সেই খ্যাতির রেশ বিস্ময়ে পরিণত হয় যখন ছবিটি সত্যি সত্যি মিলে যায় বাস্তবে রক্ত-মাংসে গড়া এক মেয়ের সঙ্গে।
এমনই চিত্তাকর্ষক গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছেন আসাদুজ্জামান সোহাগ আর তা দিয়ে নাটক বানিয়েছেন হাসান রেজাউল। চিত্রকরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান। আর রাধিয়ার বাস্তব সংস্করণ হিসেবে থাকছেন বর্তমান সময়ের উদীয়মান তারকা তানজিম সাইয়ারা তটিনীকে।
সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সাবেরী আলম, আনোয়ার শাহী, এজাজ বারী, রুবাইয়া এশা, ইহতেশাম আহমেদ এবং তমাল।
আবহ সঙ্গীতে ছিলেন আপেল মাহমুদ এমিল, চিত্রগ্রহণে বিদ্রোহী দীপন, এবং রঙ ও সম্পাদনায় অমিতাভ মজুমদার। নাটকটি দেখানো হবে এনটিভিতে ভালোবাসা দিবস রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক যত বাংলা ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ সংগ্রহে জবিতে কনসার্ট করবেন তাসরিফ খান
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনুষ্ঠেয় কনসার্টে গাইবেন তাসরিফ খান ও তার ব্যান্ড 'কুরেঘর'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের জহির উদ্দিন সাখাওয়াত ব্লাড ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত।
ওইদিন বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
'কুরেঘর'-এর পাশাপাশি মেট্রোলাইফ, ওডিডি সিগনেচার, প্রতিবিম্ব চান্দেরগাড়িসহ জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো এই কনসার্টে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, 'জহির ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই বিষয়টি চিন্তা করেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা এবং বহিরাগতদের জন্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
নাট্যকারদের মধ্যে একাত্মতাবোধ নেই: বিদ্যুৎ রায়
তরুণ নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়। প্রায় দুই শতাধিক নাটক তার রচনায় প্রচার হলেও এই মানুষ আড়ালেই রয়ে গেছেন। ক্যামেরার পেছনে যারা থাকেন তারা লাইমলাইটের বাইরেইথেকে যান সাধারণত। গ্ল্যামার দুনিয়ার চাকচিক্যের ভিড়ে এই পেছনের মানুষেরা শুধু পেছনেই থেকে যান।
বিদ্যুৎ রায়ের মাথায় নাটকের পোকা ঢুকে প্রয়াত নাট্যজন ড. ইনামুল হকের পরামর্শে। যুক্ত হোন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’ দলে। সেই থেকেই শুরু। দলটির ‘সেইসব দিনগুলি’ নাটক দিয়ে প্রথমবার মঞ্চে উঠেন বিদ্যুৎ। এরপর পথটা আরও প্রসারিত হতে থাকে। এক সময় প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি স্বনামধন্য নাটকের দল ‘দেশনাটক’ এর সঙ্গে যুক্ত হন।
থিয়েটার চর্চার সঙ্গে টিভি নাটক লেখা শুরু করেন বিদ্যুৎ রায়। তার লেখায় উঠে আসে বাস্তব জীবনের চিত্র। আবার কখনও লেখেন দর্শককে আনন্দ দিতে। তবে অনেকদিন ধরেই টিভি নাটকের বাজেট নিয়ে সংকট চলছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ নাটকের চিত্রনাট্যকার পরিচালকরা নিজেই। এমন অবস্থায় শুধু নাট্যকার হিসেবে ক্যারিয়ারকে কীভাবে দেখছেন এই তরুণ নাট্যকার।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বিদ্যুৎ বলেন, ‘নাটক লেখা যাদের একমাত্র পেশা তাদের জন্য সারভাইভ করাটা কঠিন। সবার ক্ষেত্রে না হলেও বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। কারণ আমরা মুখে যতোই প্রফেসনালিজমের কথা বলি না কেন, সত্যিকার অর্থে ততোটা প্রফেশনাল আমরা হতে পারিনি এখনও। সততার ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে অনেক।’
তিনি বলেন, ‘প্রচুর নাটক হচ্ছে, প্রচুর নাটক লেখার সুযোগও আছে, কিন্তু নাট্যকারের পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই অনিহা লক্ষ্য করা যায়। একটা নাটক তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথম ইনভেস্টমেন্ট হয় নাট্যকারের গল্প বা চিত্রনাট্য লেখার মাধ্যমে, ‘কিন্তু সব শেষে দেখা যায় তার সম্মানিটা বাকি থেকে যায় বিভিন্ন অজুহাতে। আর সম্মানির পরিমাণটাও তুলনামূলক ভীষণ অল্প। আমরা এই কালচার থেকে এখনও পুরোপুরি বের হতে পারিনি। আবার বেশিরভাগ সময় দুই লাখ টাকা বাজেটের নাটকে নাট্যকারের যে সম্মানি নির্ধারণ করা হয়, নাটকের মূল বাজেট দশ লাখে পৌঁছালেও নাট্যকারের বাজেট একই থাকে। অথচ বড় বাজেটের নাটক লিখতে নাট্যকারের কমপক্ষে কয়েকগুন বেশি মেধা খাটাতে হয়, শ্রম দিতে হয়।’
বিদ্যুৎ আরও বলেন, ‘তবে এই দায় শুধু পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো ঠিক হবে না। এর জন্য তাদের সঙ্গে সঙ্গে নাট্যকাররাও সমানভাবে দায়ী। এর কারণ হচ্ছে, নাট্যকারদের সবার মাঝে একাত্মতা না থাকা। ফলে একটা নাটকে নাট্যকারের সম্মানি যেটা হওয়া উচিত, সেটা চাওয়া হলে, অপর কোনো নাট্যকার সেটা তিন ভাগের এক ভাগ টাকায় করতে রাজি হয়ে যায়। এই সুযোগটাই পরিচালক বা প্রযোজক নিয়ে থাকেন এবং যে কারণে বড় বাজেটের নাটকেও নাট্যকারের বাজেট থাকে তলানিতে। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন এবং তাদের কাছে নাট্যকাররা কখনো প্রতারিত হন না। তবে আশা রাখি, একটা সময় এই অন্ধকার দূর হয়ে যাবে। নাট্যকাররা তাদের সঠিক সম্মানি ও সম্মান পাবে। আর নাটক লিখেই জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হবে না।’
বিদ্যুৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য একক নাটকগুলো সিগন্যাল, টাইমল্যাপস, লক্ষ্মীসোনা, চিৎকার, বাঁচি তোমার খেয়ালে, ভালোবাসার মায়াজাল, সানাই, গ্রামের বন্ধু, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন, সুমি তুমি কোথায়, দায়িত্ববোধ ইত্যাদি।
ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে লতিফ ভাইরাস, পণ্ডিতের আখড়া, ফ্যামিলি প্রবলেম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সামনে প্রচারের অপেক্ষায় লেগুনাপ্রেম, হকারের সংসার, হুইল চেয়ার, অনুভবে তুমি, চোরের সুন্দরী বউ, চাকরের ছেলে, আমি কোটিপতি হবই, মিনি ধারাবাহিক সোনার সংসার, মোরগলড়াইসহ আরও অনেক।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় জন্ম বিদ্যুৎ রায়ের। লেখালেখির আগ্রহ তৈরি হয় শৈশবে। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতমনা পরিবারে। নাট্যকার হয়ে উঠার প্রথম অনুপ্রেরণা পান বাবার কাছ থেকে। যা তাকে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে সাহস যুগিয়েছে।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
কথাপ্রধান গানের জন্য সমাদৃত দেবাশীষ সমদ্দার। গানের আঙিনায় খুব একটা নিয়মিত না হতে পারলেও তার পথচলাটা সেই নব্বইয়ের দশক থেকে।
জীবনমুখী বেশ কিছু গান তিনি উপহার দিয়েছেন যেগুলো শ্রোতাদের মন ভরিয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত জটিলতায় গান থেকে দূরে ছিলেন এই গানের মানুষ। একই বছরে পরপর হারিয়েছেন বাবা, মা, ছোট ভাই ও স্ত্রীকে।
প্রিয়জন হারানোর বিষাদে বিদ্ধ হয়ে জীবনের চরম প্রতিকূলতা পেরিয়ে গানকে আঁকড়ে ধরেই টিকে থাকার চেষ্টা করছেন দেবাশীষ। এরই ধারাহাহিকতায় দীর্ঘদিন পর হাজির হলেন ভিন্নধর্মী একটি রোমান্টিক গান নিয়ে। গানের শিরোনাম ‘এখন নামবে শ্রাবণ’।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় কণ্ঠশিল্পী দেবাশীষ সমদ্দারের এই গানের ভিডিও প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে।
আরও পড়ুন: চঞ্চল-বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভাশিস জানাতে হাজির হয়েছিলেন বরেণ্য সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদার, কন্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, সন্দীপন দাশ, অভিনেতা ও নির্মাতা তানভির হোসেন প্রবাল প্রমুখ।
‘এখন নামবে শ্রাবণ’ গানের কথা ও সুর করেছেন শিল্পী নিজেই। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। মাস্টারিং করেছেন অমিত মল্লিক।
শিল্পী তার অকাল প্রয়াত স্ত্রী টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপক, সমাজকর্মী ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (আইইডিসিআর) ড. এন. কে. নাতাশার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গানটি উৎসর্গ করেছেন।
দেবাশীষ বলেন, ‘এই গান আমার নিঃসঙ্গ জীবনের নির্যাস। গানটি শ্রোতারা শুনলে আমি তৃপ্তি পাব। বাপ্পা মজুমদারকে ধন্যবাদ চমৎকার শ্রুতিমধুর সংগীতায়োজন করার জন্য। গানটির ভিডিও থেকে অর্জিত সমস্ত অর্থ ‘প্রকৃতি নির্ভর হাসপাতাল’ এর কাজে ব্যয় করা হবে। বরিশাল বিভাগের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামে হাসপাতালটির স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।’
গানটি নিয়ে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘দারুণ কিছু কথায় সাজানো গানটি। দেবাশীষ সমদ্দার আমার খুব কাছের ছোট ভাই। অসাধারণ লেখে সে। ওর সহজ সরল কিন্তু মাদকতাপূর্ণ গলায় গাওয়া এই নিখাঁদ প্রেমের গানটি সবার অনেক ভালো লাগবে।’
গানটির ভিডিও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা রনি আহসান। ভিডিও চিত্রে দেবাশীষের সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। রাঙামাটির বৈচিত্র্যময় লোকেশনে নির্মিত গানটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন জুলকার আহমেদ সায়েম। সম্পাদনা ও রং বিন্যাস করেছেন আকতারুল আলম তিনু।
দেবাশীষ সমদ্দার এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ 'দেব সিন্ধু'তে অবমুক্ত করা হয়েছে গানটি।
আরও পড়ুন: প্লেব্যাকে প্রথমবার একসঙ্গে পার্থ, বাপ্পা ও পান্থ কানাই
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন নুসরাত ফারিয়া
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ফারিয়া।
শুক্রবার রাতে ফারিয়া বিষয়টি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টে নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুল্লিাহ, এখন আমি ভালো আছি। আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোসাবার জন্য ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন নুসরাত। তাকে দ্রুত রাজধানীর বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারিয়া। এরপর চিকিৎসক তাকে ইনজেকশন ও স্যালাইন দিলে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনম বিশ্বাসের সিনেমায় শুভর বিপরীতে ফারিয়া
জীবনে উত্থান-পতন তো থাকবেই: নুসরাত ফারিয়া
আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
হুমায়ূন আহমেদের ‘বৃক্ষমানব’, অথবা ‘ঘোড়া মজিদ’, প্রথমদিকে এই নামগুলোতেই জনপ্রিয়তা পেলেও এমন আরও অনেক নামে পরিচিত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। সফলতার একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার মাঝপথে আকস্মিকভাবে যেন যবনিকাপাত ঘটল তার জীবন গল্পের।
৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৫৫ বছর বয়সী এই অভিনয়শিল্পী।
বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থানকালে হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় সেখানে থেকে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নেওয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান- হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয়েছে আহমেদ রুবেলের। গুণী অভিনেতার এমন অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা মিডিয়া পাড়ায়।
কেমন ছিল অভিনেতা আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবন, চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: বিষাদের আবহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’
আহমেদ রুবেলের অভিনয় জীবন
১৯৬৮ সালের ৩ মে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাজারামপুর গ্রামে জন্ম আহমেদ রাজিব রুবেল ওরফে আহমেদ রুবেলের। অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল প্রখ্যাত নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীনের নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’এর মাধ্যমে। মঞ্চে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল সেলিম আল দীনের ‘হাতহদাই’।
নাটকের মানুষ হলেও চলচ্চিত্রে ডাক পেয়ে যান রুবেল। ১৯৯৩ সালে নাদিম মাহমুদ পরিচালিত ‘আখেরী হামলা’এর ছোট্ট একটি চরিত্র দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু হয়। এরপর থেকে বাণিজ্যিক ছবিসহ একে একে মোট ৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফেলেন। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি খলনায়কের ভূমিকায়ও অভিনয় করেছিলেন।
মঞ্চের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা তখনও ছিল। বনঘাসফুল নামের মঞ্চ নাটকে কাজ করার সময় তার পরিচয় হয় নাট্যপরিচালক আতিকুল হকের সঙ্গে। তার মাধ্যমেই রুবেলের অভিষেক ঘটে টেলিভিশন নাটকে।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’ নাটকের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো টিভি দর্শকদের সামনের হাজির হন। এরপরেই তিনি সুযোগ পান গল্পের যাদুকর হুমায়ুন আহমেদের নাটকে কাজ করার। ঈদ নাটক ‘পোকা’তে তার অভিনীত ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর থেকে তিনি হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত অভিনয় শিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন।
তন্মধ্যে ২০০৩ সালে ‘চন্দ্রকথা’ সিনেমায় তার কাজ মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নজর কাঁড়ে। এখানে ‘আমিন’ চরিত্রের জন্য ২০০৪ সালে সমালোচকদের বিচারে তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান। একই বছরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি ‘শ্যামল ছায়া’তেও নিজের অভিনয় দিয়ে তিনি মুগ্ধতা ছড়ান ভক্তদের মাঝে।
বিষাদের আবহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’
ঈদ ছাড়া সারা বছর সিনেমা মুক্তির দিন শুক্রবার। আর সেই দিনটিই যেন সংশ্লিষ্টদের কাছে ‘ঈদের দিন’। দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় থাকা নির্মাতা নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ মুক্তি পেল আজ (শুক্রবার)। স্বাভাবিকভাবেই পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের মনে আনন্দ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেটি যে এভাবে ম্লান হয়ে যাওয়া এক শুক্রবার আসবে সেটি কে বা জানত!
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য জীবন
‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। তবে এখন তার নামের আগে ‘প্রয়াত’ যোগ হয়েছে। সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে যাচ্ছিলেন আহমেদ রুবেল। পৌঁছেও গিয়েছিলেন নির্ধারিত স্থানে। কিন্তু লিফট দিয়ে উঠতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হোন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
একটি সিনেমা মুক্তির সময় সংশ্লিষ্টদের এতটা মন খারাপ হয়তো কখনো হয়নি। মুক্তির নির্ধারিত দিনেই দেশের ২৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’। নূরুল আলম আতিক পরিচালিত এই সিনেমায় আহমেদ রুবেল ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, তারেক আনাম খান, সুষমা সরকার, দিহান, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লি. ও সহ-প্রযোজনায় চরকি। আর সিনেমাটি উৎসর্গ করা হয়েছে আহমেদ রুবেলকে।
সিনেমা মুক্তি পেলেও বুকের মধ্যে বিষাদ ‘পেয়ারার সুবাস’ এর কলাকুশলি ও অভিনয়শিল্পীদের। গণমাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন নিজেদের অনুভূতির কথা।
আরও পড়ুন: 'আয়নাবাজি' এখন ওটিটির পর্দায়
প্রিমিয়ার শোতে আহমেদ রুবেলের ঘটনা জেনে অঝরে কাঁদেন জয়া আহসান। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে বলেন, ‘রুবেল ভাইকে নিয়ে এভাবে বলতে হবে সেটিই বিশ্বাস হচ্ছে না। পরপর দুটি সিনেমায় আমরা স্ক্রিন শেয়ার করেছি। রুবেল ভাই দর্শকের ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন। আমার মনে হয় রুবেল ভাই থাকলে নিশ্চয়ই চাইতেন না আমাদের শো বাতিল হোক। মানুষ তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে। রুবেল ভাইও আমাদের মধ্যে আছেন। শো চলবে।’
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘রুবেল সিনেমার কাজ করতে করতেই চলে গেল আমাদের ছেড়ে। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তার এ অসময়ের প্রস্থান আমাদের শূন্য করে দিল।’
তারিক আনাম খান বলেন, ‘অনেকেই জানেন সিনেমাটি রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে। একজন শিল্পী বাঁচেন কিন্তু তার কাজ দিয়ে। দর্শক পর্দায় তাকে দেখে হাসে-কাঁদে। শিল্পী বাঁচে দর্শকের হৃদয়ে। রুবেলও সেভাবেই আমাদের মাঝে থাকবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আহমেদ রুবেলের ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ সিনেমাটি। উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ট্রিবিউট ফিল্ম ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ পরিচালনা করেছেন প্রসূন রহমান। এরই মধ্যে সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’
'আয়নাবাজি' এখন ওটিটির পর্দায়
নির্মাতা অমিতাভ রেজার প্রথম সিনেমা ‘আয়নাবাজি’। ক্যারিয়ারে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বড়পর্দায় অভিষেক দিয়েই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে খরার সময় ‘আয়নাবাজি’ নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি করে। এবার ‘আয়নাবাজি’ দেখা যাবে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ এর পর্দায়।
চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমাটি ২০১৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় যা দর্শক ও সমালোচক মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। চঞ্চল চৌধুরী তার অসাধারণ অভিব্যক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও বহুমুখী চরিত্রে অভিনয়ের পারদর্শিতাকে অসাধারণভাবে কাজে লাগিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই চলচ্চিত্রে। অভিনয় শিল্পীদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটির গল্প ও সিনেমাটোগ্রাফি দিয়ে সব দর্শকের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিল।'আয়নাবাজি' তার অতুলনীয় সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা দিয়ে ৭টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। সিনেমাটি এখন হইচইতে তার এক্সক্লুসিভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মুগ্ধ করতে যাচ্ছে। এটি ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র এবং জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত একটি যুগান্তকারী চলচ্চিত্র।
এই চলচ্চিত্রটি তার অনবদ্য গল্প দিয়ে দর্শকদের মনে একটি ঘোর সৃষ্টি করে যা দর্শকদের সিনেম্যাটিক জার্নিতে একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করে যা দর্শকরা আগে কখনও দেখেননি। তাছাড়া এর অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি এবং সাউন্ডস্কেপগুলো দর্শকের আবেগকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ৭টি জাতীয় চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ২০১৬ সালে সব স্তরের দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল এই চলচ্চিত্র।