������������������������������
কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির গোড়াপত্তনের এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে গীতিকাব্য, লোকগীতি ও পালাগান। এই সৃজনশীলতা চর্চার এক মজবুত বুনিয়াদ গড়ে উঠেছিল অতীন্দ্রিয় বাউল সংগীতের মুক্তাঙ্গনে। বাংলা ভাষাভাষি বাউল সংগীতের মঞ্চে সর্বাধিক সমাদৃত নামটি হচ্ছে লালন শাহ। একাধারে ফকির সাধক, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক- এই শিল্পীর গানগুলো যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে মানুষকে। এখনো তার সৃষ্টিগুলোকে ঘিরে রচিত হয় গান, কবিতা, ও উপন্যাস; নির্মিত হয় নাটক ও চলচ্চিত্র। তার জীবনচরিতের অনুসারী ও ভক্তরা এখনো তার মাজার দর্শনে ছুটে যান কুষ্টিয়ায়। লোকজ সংস্কৃতির প্রবাদ পুরুষ ফকির লালন শাহের মাজার নিয়েই আজকের ভ্রমণকড়চা। চলুন, ঘুরে আসা যাক আধ্যাত্মিকতার এক অচীন দেশে।
লালন ফকিরের মাজারের অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে কুমারখালী উপজেলা। এই উপজেলার অন্তর্গত ছেউড়িয়া গ্রামেই অবস্থান জগদ্বিখ্যাত লালন ফকিরের মাজার।
আরও পড়ুন: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাউল সাধক লালনের আখড়ার ইতিহাস
এই ছেউড়িয়াতেই ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন বাউল গুরু লালন। কিন্তু তারপরেও জায়গাটিকে ছেড়ে যাননি তার শিষ্যরা। বরং বছরের পর বছর ধরে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা, যা উৎপত্তি ঘটিয়েছিল এই মাজারের।
এই জায়গাটিতে সাধক লালন জীবন ও আধ্যাত্মিকতার দীক্ষা দিতেন তার গুনমুগ্ধ স্থানীয় লোকজন ও ভক্তদের। শিষ্যরা ভক্তি ভরে তাকে ‘সাঁই’ বলে ডাকতেন।
প্রতিবছর শীতের সময় এখানে মহোৎসবের আয়োজন করতেন লালন। এই উৎসবে হাজার হাজার ভক্তরা গুরুর সঙ্গে বাউল গান ও দেহতত্ত্ব নিয়ে আলোচনায় শামিল হোতেন।
গুরুর প্রয়াণের পরেও থেমে যায়নি বৈঠক, বরং নিয়ম মেনে প্রতিবছরই এই সময় আয়োজন হয় উৎসবের। আর এভাবেই গড়ে ওঠে লালন অনুসারীদের আখড়া। তার শিষ্যদের মধ্যে শুধু দেশীয়রাই ছিল না। দেশের বাইরে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত বাউল ও ভক্তকুল সমবেত হতো এই আখড়ায়।
গুরুর পাশাপাশি তার প্রিয় শিষ্যদেরও সমাহিত করা হয়েছে এই মাজারে।
বর্তমান যে মাজারটি দেখা যায়, সেটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। উদ্বোধন করেছিলেন সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান। তারও ৪ দশক পর ২০০৪ সালে মাজারটির আধুনিকায়ন করা হয়। পাশেই বিশাল জায়গাজুড়ে নির্মিত হয় অডিটোরিয়াম ও একাডেমি ভবন।
আরও পড়ুন:ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
কি কি দেখবেন লালনের আখড়ায়
আকর্ষণীয় অবকাঠামোগুলোর মধ্যে অডিটোরিয়াম ও একাডেমি ভবনটি ছাড়াও রয়েছে লালনের জাদুঘর, আবক্ষ ম্যুরাল এবং একতারার ভাস্কর্য। জাদুঘরে পরম যত্নে সংরক্ষিত রয়েছে লালনের ব্যবহৃত জলচকি, একটি দরজা, ভক্তদের ঘটি-বাটি ও বেশ কিছু ছবি। জাদুঘর ঘুরে দেখতে ২ টাকা প্রবেশমূল্য দিতে হবে।
লালন মেলা
লালনের মাজারের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এখানকার পরিবেশ, যা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে লালন মেলার সময়ে। প্রতি বছর দুইবার এই মেলাটি হয়- একবার, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিকে কেন্দ্র করে দোলযাত্রা উৎসবের সময়, যেটি মূলত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে- লালন সাঁইজির প্রয়াণ দিবস তথা পহেলা কার্তিক বা ১৬ অক্টোবর উপলক্ষে।
এই দ্বিতীয়টি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মেলা, যেটি ৩ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। মেলা উপলক্ষে গোটা আখড়াবাড়ী সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজার ভরে যায় রঙিন আলোকসজ্জায়। সম্মুখে নির্মাণ করা হয় বিশাল তোরণ। মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত অংশে লালন মঞ্চের সামনে টাঙানো হয় বিশাল সামিয়ানা।
আলোচনা মঞ্চের চারপাশে মাজারের প্রধান রাস্তা ছেয়ে যায় গ্রামীণমেলায়। এখানে বিক্রি হয় নানান ধরনের গৃহসামগ্রী, গেঞ্জি, কাঠের তৈরি সাংসারিক জিনিসপত্র এবং লালনের গানের সিডি। এছাড়াও পাঁপড় ভাজা, গরম জিলাপি, শন পাঁপড়ি, আখের রস ও খই-বাতাসাসহ বসে হরেক রকম খাবারের পসরা। উৎসবের প্রতিদিন সারা রাত ধরে চলে লালন গানের আসর।
এমন জাঁকজমক উৎসবে পুরো মাজার প্রাঙ্গণ পরিণত হয় দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীদের মিলনমেলায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার লালনের আখড়ায় যাওয়ার উপায়
রাজধানী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যেতে হলে পাড়ি দিতে হবে ২৪৮ কিলোমিটার স্থলপথ। পাড়ি দিতে হবে স্থলপথে ২৪৮ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা। বাসে করে এই পথ অতিক্রম করতে হলে কল্যানপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠতে হবে কুষ্টিয়ার বাসে। এগুলো ৬ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দিবে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে। এই যাত্রায় বাস ভাড়া পড়তে নন এসির জন্য জনপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা এবং এসির ক্ষেত্রে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশা করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছা যাবে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে ছেউরিয়া।
এছাড়া কমলাপুর রেল জংশন থেকে ট্রেনে করেও যাওয়া যাবে। এখান থেকে কুষ্টিয়ার ট্রেনগুলো ছাড়ে সকাল সোয়া ৮ টা, সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত সোয়া ১১ টায়। আসন ভেদে এগুলোতে সিট ভাড়া পড়তে পারে জনপ্রতি ৩৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮২৮ টাকা।
কুষ্টিয়া শহরের আগেই পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে পড়তে হবে। স্টেশনেই পাওয়া যাবে শহরে যাওয়ার বাস বা সিএনজি। তারপর অটোরিকশায় চড়ে সোজা লালন গ্রাম ছেউরিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
কুষ্টিয়ায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
কুষ্টিয়ায় থাকার জন্য মোটামুটি ভালোমানের আবাসিক হোটেল পাওয়া যাবে শাপলা চত্বর, মজমপুর গেট, চৌড়হাস মোড়, এন এস রোড, এবং বড় বাজার এলাকায়। এগুলোতে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে রাত্রি যাপনের জন্য। এছাড়া অনুমতি নিয়ে থাকা যেতে পারে শিলাইদহ ডাকবাংলোতে।
খাবারের হোটেলের জন্য কোর্ট স্টেশন এলাকার রেস্তোরাঁগুলো বেশ ভালো। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আগত পর্যটকরা এখানকার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাইয়ের স্বাদ নিতে একদমি ভোলেন না।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
আশেপাশের কিছু দর্শনীয় স্থান
কুষ্টিয়া শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য একটা ডে-ট্যুরই যথেষ্ট। তাই লালনের আখড়ার দর্শনার্থীরা আনন্দ পুষিয়ে নিতে ঘুরে দেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা এবং গড়াই নদীর তীরে রেনউইকের বাধ।
এছাড়াও পরমাণু শক্তিকেন্দ্র ও ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মাঝে লালন শাহ সেতুর দৃশ্যটাও ভোলার নয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’
পরিশিষ্ট
কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক ভিন্ন আমেজের অভিজ্ঞতা দিবে। শুধু তাই নয়, মানুষের যাপিত জীবন যে কতটা বিচিত্র হতে পারে তা লালন মেলায় না গেলে বোঝা যাবে না। আর এজন্য লালন আখড়ায় যেতে হবে কার্তিক মাসের শুরুতে অথবা ফাল্গুনের শেষার্ধে।
এক্ষেত্রে বাউল সাধক লালন শাহের আখড়া ঘুরে দেখার সময় অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে সেখানকার পরিবেশের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিৎ। অনেক বিদেশি পর্যটকদেরও তীর্থস্থান হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানটি অনায়াসেই প্রভাবিত করতে পারে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভ্রমণের সময় একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করা দেশীয় দর্শনার্থীদের জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা: যাওয়ার উপায় ও ভ্রমণ খরচ
২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মতো। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, এই সব ঝামেলা এক নিমেষেই উধাও হয়ে যায়, যখন সেই ভিসা করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না।
আজকের নিবন্ধে জানা যাবে সেই সব দেশগুলোর ব্যাপারে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও রূপ ভিসা বিড়ম্বনা নিতে হবে না বাংলাদেশি নাগরিকদের। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করেছে হেনলি পাসপোর্ট সূচক।
চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকরা কোন কোন দেশগুলো ভিসা ছাড়া, এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ। ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন যেসব দেশে
এই অভিবাসন নীতিতে ভ্রমণকারীকে গন্তব্যের দেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের জায়গাটি হতে পারে সমুদ্র বন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট অথবা বিমানবন্দর। এই প্রবেশাধিকার প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় কোনও আবেদন করতে হয় না।
কোনও কোনও দেশে প্রবেশের সময় এই অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ফি দিতে হয়। হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নিয়ে ১৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর এই জন্য ভিসাপ্রাপ্তির সময় তাদেরকে কোনও ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। তাছাড়া এই ভাবে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
চলুন, এবার দেখে নেয়া যাক বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহকারী দেশগুলো।
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সেশেল্স
১৪. সিয়েরা লিওন
১৫. সোমালিয়া
১৬. তিমুর-লেস্তে
১৭. টোগো
১৮. টুভালু
আরও পড়ুন:
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় তথা ৯০ দিন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে- গিনি-বিসাউ, নেপাল, এবং বলিভিয়ায়। সামোয়া ও সেশেল্স-এ থাকা যাবে ৬০ দিন। কমোরো আইল্যান্ড্সে অবস্থানের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার মেয়াদ ৪৫ দিন। জিবুতি ও মৌরিতানিয়ায় থাকা যাবে ৩১ দিন । মালদ্বীপ, কেপ ভার্দে, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, তিমুর-লেস্তে, এবং কম্বোডিয়া বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ৩০ দিন, যেখানে বুরুন্ডি এবং টুভালু’র ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ১ মাসের কথা।
আফ্রিকার দেশ ‘টোগো’তে অবস্থানের জন্য পাওয়া যাবে মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
২০২৪ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইটিএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ইলেকট্রনিকভাবে তথা অনলাইনে একজন ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এক কথায় এটিও একটি ভিসা ফ্রি প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল অনুমতিটি দেশের ভেতরে থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া যায়।
এমনকি এর জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে নিজ দেশের অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেই দেশে ইটিএ কার্যকর আছে সেই দেশের অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়ে সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
২০২৪-এ দুটি দেশে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইটিএ প্রয়োজন হবে:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পূর্বে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থাকলেও এ বছরই ইটিএ সেবা নিয়ে নতুন সংযোজন হলো কেনিয়া। এখন থেকে এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমস্ত বিদেশি নাগরিক ৯০ দিনের জন্য কেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই অনুমতির সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের তারিখ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। এই সিঙ্গেল এন্ট্রির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ডাবল এন্ট্রির জন্যও ইটিএ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা ইটিএ ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে দুইবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অনুমোদন একবার হয়ে যাওয়ার পর ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় যে কোনো চেকপয়েন্ট অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
শেষাংশ
পর্যটন কিংবা ব্যবসা উভয় উদ্দেশ্যকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের থাকে হাজারও পরিকল্পনা। কিন্তু এর সবকিছুই গুড়েবালি করে দেয় সীমানা পেরনোর নিয়মনীতি। সেখানে এই ভিসামুক্ত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য এক বিরাট নিষ্কৃতি। এ দিক থেকে ২০২৪ সাল বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্যের বছরও বটে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে ভিসা ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল এবং ইটিএ সব মিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মোট ৪২ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। তাই সময় এসেছে পাসপোর্ট দ্রুত রিনিউ করে নেওয়ার। কেননা এই সুযোগ লুফে নিতে হলে পাসপোর্টটি অবশ্যই নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পেছনে এক বিরাট অবদান রয়েছে দেশের কবি-সাহিত্যিকদের। সেই সূত্রে দেশীয় ও বিদেশি সাহিত্যপ্রেমী পর্যটকদের কাছে নিতান্ত ভালো লাগার স্থান হচ্ছে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। জায়গাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনধারা এবং সাহিত্যকর্ম। রবীন্দ্র ভক্তসহ অন্যান্য ভ্রমণপ্রিয় মানুষগুলোও রোমাঞ্চিত হন বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলোর জন্মস্থানকে কাছে থেকে দেখার সময়।
চলুন, ঐতিহাসিক জায়গাটিতে ভ্রমণবিষয়ক অনুসন্ধানের পাশাপাশি এর বিশেষত্বের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুষ্টিয়ার একটি উপজেলা কুমারখালী। এর অন্তর্গত শিলাইদহ ইউনিয়নের পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বনামধন্য এলাকা শিলাইদহ গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা পদ্মা নদী কুষ্টিয়া থেকে আলাদা করেছে নদীর পাবনা জেলাকে। কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে ১৫ দশমিক ৪১ কিলোমিটার দূরত্বে অবিস্থত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি।
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচলে ১০টি মনোরম রিসোর্ট: সারাদিনের খরচ
নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
বাংলাদেশের মোট প্রাণিজ প্রোটিনের প্রায় ৩৭ শতাংশ পূরণ করে মুরগির মাংস। এক সময় কেবল বাড়ির উঠানে সীমাবদ্ধ থাকলেও এই গৃহপালিত পাখি পালন এখন মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক উৎপাদন পদ্ধতিতেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। সম্প্রতি শুরু হয়েছে নিরাপদ উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন কার্যক্রম। চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্য রক্ষায় ও পুষ্টি লাভে নিরাপদ ব্রয়লারের ভূমিকা কতটুকু।
নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী
অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত ব্রয়লার মাংস উৎপাদন বিশ্বব্যাপী ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর সেই সূত্রেই বাংলাদেশেও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি নিয়ে গবেষণা চলছে।
পশু-পাখির স্বাস্থ্য রক্ষা, ভাল পরিবেশ এবং পণ্যের গুণগত মানকে কেন্দ্র করে নিরাপদ উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এই ব্যবস্থায় পশু-পাখির সঠিক বৃদ্ধি এবং কৃষকদের লাভের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই পদ্ধতিতে পশু-পাখির খাবারগুলোতে ভেষজ সম্পূরক মানসহ জৈব-সুরক্ষিত ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়। শুধু তাই নয়, পুরো পালন প্রক্রিয়াকে অ্যান্টিবায়োটিক ও বৃদ্ধি হরমোনসহ সব ধরনের বিপজ্জনক উপাদানমুক্ত রাখা হয়। এই পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে পালন করা মুরগিগুলোকেই মূলত নিরাপদ ব্রয়লার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
নিরাপদ ব্রয়লার পোল্ট্রিতে সাম্প্রতিক সফলতা
বিকল্প ব্রয়লার উৎপাদনে সম্প্রতি যুগান্তকারী সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম এবং তার সহযোগী মো. আবু রায়হান পারভেজ। তারা তাদের গবেষণাগারে উদ্ভিদের নির্যাস থেকে কোনো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ছাড়াই ব্রয়লার উৎপাদনে সক্ষম হন।
ব্রয়লারে তারা মূলত বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের নির্যাস ব্যবহার করেছিলেন। তারা খেয়াল করেন, এগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও ভালো কাজ দিচ্ছে। উৎপাদিত মুরগিগুলো তুলনামূলকভাবে উচ্চ ওজন সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং এই ওজন বৃদ্ধিটাও বেশ দ্রুত হচ্ছে। এমনকি এগুলোর মধ্যে রোগাক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর হার ছিল অনেক কম।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলছে এই গবেষণা কার্যক্রম। এটি বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে উন্নত পোল্ট্রি শিল্পের অভিমুখে এক বিশাল পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
সোমবার বড়দিন
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন বড়দিন উদযাপন হবে।
রঙিন আলো দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং আনন্দের আদান-প্রদান এই উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এইদিনে গির্জাগুলোতে প্রার্থনা সেশনের আগে এবং পরে ক্রিসমাস ক্যারল ও স্তোত্র গাওয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একদল গায়ক ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করবেন।
পরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় দৈনিকগুলো বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
‘সব ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী, সমৃদ্ধ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘যীশু খ্রিস্টের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বিশ্বে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। মহান খ্রিস্ট বিপন্ন ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং তিনি তার জীবনধারা ও কঠোর বৈশিষ্ট্যের জন্য মানব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক 'সোনার বাংলাদেশ' গড়তে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
শীতে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন
শীত এসে গেছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আপনার চুল কোমল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ত্বকের মতোই চুলও ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে।
তাই তীব্র ঠান্ডার মধ্যে আপনার চুল স্বাস্থ্যকর রাখতে শীতে চুলের যত্নের কিছু টিপস জেনে নিন।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা:
শীতে নিয়মিত শ্যাম্পু না করলে চুলের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। শ্যাম্পু করলে স্ক্যাল্প ও চুলের সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই চুল গভীর থেকে পরিষ্কার করে এমন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। যাদের প্রতিদিন রাস্তায় বেরোতে হয়; ধুলোবালি, ঘাম, দূষণের মুখোমুখি হতে হয়, তাদের ১-২ দিন পরপর শ্যাম্পু করা উচিত।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেনো বেশি ঘুম পায়?
‘রেজ অ্যান্ড হোপ’: দৃকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস (ইউএনআরসিও) এবং দৃক পিকচার লাইব্ররির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'রেজ অ্যান্ড হোপ' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় শেষ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী, যেটি সম্ভবত পৃথিবীর সর্বাধিক যুগান্তকারী অঙ্গীকার। এ ঘোষণাপত্র সকল মানুষের জাত, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্য অভিমত, জাতীয়তা বা সামাজিক অবস্থান, সম্পত্তি বা জন্ম ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রশ্নাতীতভাবে সমান অধিকার রক্ষা করে চলেছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উদযাপনে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের আলোকচিত্রীদের এমন একটি জায়গা দিয়েছে যেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে তাদের কাজের মাধ্যমে উঠে এসেছে নারী অধিকার আন্দোলন, আদিবাসী সম্প্রদায়, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়, শিক্ষার্থী, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ আরো নানা বিষয়।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
আলোকচিত্রী এবং দূকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শহিদুল আলম আলোকচিত্রকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বহুবছর ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন এবং এই প্রদর্শনীর জন্য সারা দেশ থেকে অতীত এবং বর্তমান সময়ের অসাধারণ সব কাজ একত্র করেছেন।
দৃকপাঠ ভবনে সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটির সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আখতারসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ঢাকার রিকশা পেইন্টারদের একটি দলকে সম্মান জানিয়ে 'গ্যালারি অন হুইলস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারার ব্যক্তিগত জাদুঘরে কসমস ফাউন্ডেশনের শিল্প শাখা গ্যালারি কসমসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে রিকশা ও রিকশা চিত্রগুলোকে ইউনেস্কো তার ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান জুনিয়র, কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন, এস এ নূর আলী, মো. মনির হোসেন ও মোহাম্মদ সোলেমানসহ বিভিন্ন রিকশা চিত্রশিল্পী ও দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি ঐতিহ্যের তালিকায় এই উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তিকে সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য রিকশা চিত্রশিল্পীদের এবং কসমস ফাউন্ডেশনকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই বছর আমরা ঢাকায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী (স্বাধীনতা) কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে 'অ্যাডর্ন-এ-রিকশা'- শিরোনামের একটি অনন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের দেশের আইকনিক বাহনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের সমৃদ্ধি ও ফিলিপিনো উৎসবের রং।’’
অনুষ্ঠানটি যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে এবং ফিলিপাইনের ‘আতি আতিহান’ উৎসবের মতো বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লিও বলেন, এই অর্জন উদযাপনের জন্য বাংলাদেশেরও একটি রিকশা-থিমভিত্তিক বার্ষিক উৎসব হওয়া উচিত।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘যখন আমরা বড় হয়েছি, আমরা পেছনে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ চিত্রকর্ম সম্বলিত রিকশা দেখেছি– এবং সবসময় উপলব্ধি করেছি যে এই কাজের উল্লেখযোগ্য শৈল্পিক মূল্য রয়েছে। আমি এনায়েতউল্লাহ খান ও কসমসকে অভিনন্দন জানাতে চাই এটি উপলব্ধি করার জন্য এবং আজ রাতে আমাদের সামনে এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য। এই শিল্প আমাদের জীবদ্দশায় বহুদূরে এগিয়ে যাবে। কারণ রিকশা ও রিকশাচিত্র যানবাহনের চেয়ে বেশি, ঢাকা ও এর জনগণের সঙ্গে এর এক ধরনের অনন্য ও চিরায়ত বন্ধন রয়েছে। এটি সেই সম্পর্কের সারমর্ম, যা সহজাতভাবে কখনই ফিকে হওয়ার নয়, ইউনেস্কো একেই স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা আজ এখানে তা উদযাপন করছি।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশনের স্বনামধন্য শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমস রাজধানীর কসমস সেন্টারের গ্যালারি কসমসে প্রখ্যাত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরকে শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক শিল্পঈ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু যে যুদ্ধ তা কিন্তু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে অব্যাহত ছিল তাদের শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তাদের মধ্যে একজন ষটের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত বীরেন সোম।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী বীরেন সোম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রতিভাবান উদীয়মান চিত্রশিল্পীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শিল্প সংগ্রহশালা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এসব শিল্পী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’