বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ৫৩ রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন ৩৫ তম।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে বাতাসের গুণমান গ্রহণযোগ্য, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
চিলির সান্তিয়াগো, পাকিস্তানের লাহোর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ যথাক্রমে ১৬০, ১৪৪ ও ১৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে মোটামুটি উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল ‘ইট ভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলো’।
শীতের আগমনের সাথে সাথে নির্মাণ কাজ, রাস্তা, ইটভাটা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও জটিল রোগ সৃষ্টির কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান করে নিয়েছে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বায়ুর গুণমান সূচকে ঢাকার স্কোর ৬০