তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করছেন, আমি তাদের পুরষ্কৃত করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৫টি জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের উত্সাহ দেয়ার জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেবে। এছাড়াও দায়িত্ব পালনের সময় কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ৫-১০ লাখ টাকার একটি স্বাস্থ্য বীমা থাকবে। কেউ মারা গেলে স্বাস্থ্য বীমার পরিমাণ পাঁচগুণ বেশি হবে।’
‘তবে মনে রাখবেন, এগুলো মার্চ মাসের পর থেকে যারা জীবন বাজি রেখে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কাজ করছেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারী দায়িত্ব পালনের সময় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তিনি এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ সচিবের সাথে কথা বলেছেন।
‘আমি ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছি, আমাদের তাদের উত্সাহ দেয়া দরকার, আমরা তাদের সম্মান করতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখার নামে রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দেয়া চিকিৎসকদের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য পালিয়ে রয়েছেন, যার ফলে রোগীদের চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে, অন্যান্য সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না, তারা এসব প্রণোদনা পাবেন না।’
তবে রোগীদের আন্তরিক সেবাদানের জন্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এগিয়ে এসেছেন, অবহেলা করেননি, ঝুঁকি জেনেও কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান করেছেন।’
মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনা সদস্য এবং অন্যান্যদের তাদের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর ফলে এ পর্যন্ত আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েনি। সবার প্রচেষ্টার জন্য স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য এপ্রিল মাসকে সংকটপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেন এবং সবাইকে সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় সততা ও আন্তরিকতা বজায় রাখার জন্য আবার সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনিয়ম ও অপব্যবহার সহ্য করা হবে না।
তিনি সঠিকভাবে খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।