তিনি বলেন, এ ভাইরাসের আক্রমনে চীনে চলমান ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষেই তাদের ফেরত আনা হবে।
রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি, তবে চীনের সরকার অনুমতি না দিলে আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারব না।
তিনি বলেন, সরকার সতর্ক রয়েছে তবে, আতঙ্কিত নয়। ‘আমরা কোনো আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাই না।’
সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে চীনা সরকার ১৪ দিনের আগে কাউকে সে দেশ থেকে আসতে দেবে না, বলেন তিনি।
মন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এবং একটি সি-১৩০ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। তবে, ভাইরাসটি শনাক্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে চীনা সরকার কাউকে সে দেশ ত্যাগ করতে দেবে না। আগামী ১৪ দিন পরে তাদেরকে ফেরত আনতে হবে।’
আবদুল মোমেন বলেন, চীন ১৪ দিনের মধ্যে সে দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং শ্রীলঙ্কাসহ কোনো দেশের লোকদের ওই এলাকা ছাড়তে দেবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আলোচনা করেছি এবং সেদেশ থেকে যারা বাংলাদেশে ফেরত আসতে চায় তাদের আনতে বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের মধ্যে দলীয় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৮৬-১৭৮০১১১৬০০৫) চালু করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি চীনের উহান প্রদেশে থাকে। এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস ২৪৫ জনকে নিয়ে একটি ইমেইল গ্রুপে যোগ করেছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর থেকেই উহান শহর এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি শহরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিষয়ে আমরা একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছি। এ ভাইরাস আমাদের দেশে যেন না আসতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলদেশে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্তান্ত হয় সে বিষয়ে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’