ফেসবুক এবং ইউটিউবে ভিডিও কনন্টেন্ট সমৃদ্ধ অনলাইন সেবাটি সোমবার খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমটি কাজে লাগবে, যা দেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ভিডিও কনন্টেন্ট সমৃদ্ধ ক্লাসগুলো ধারণ করে ইউটিউব এবং ফেসবুকে প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। সেবা দুটির ঠিকানা- ‘ডিজিটাল প্রাইমারী এডুকেশন খুলনা’ এবং ‘ডিজিটাল সেকেন্ডারি এডুকেশন খুলনা’।
এ নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেল ও দুটি ফেসবুক পেজ চালু হয়েছে। এখানে খুলনার অভিজ্ঞ শিক্ষকরা প্রতিটি ক্লাস ২০ মিনিটের উপযোগী করে তৈরি করেছেন। সপ্তাহের শুরুতে ক্লাসের একটি রুটিন প্রকাশ করা হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোন দিন কখন কোন ক্লাস হবে তা জানতে পারবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের ভিডিও কনটেন্ট সরবরাহ করা হবে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভিডিও আপলোড অব্যাহত থাকবে। যার ফলে করোনাকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা এর সুবিধাটি পাবে। খুলনার বাইরে বাসেও এ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া যাবে।
শিক্ষার্থীরা এসব ক্লাসে তাদের মতামত, সমস্যা, মন্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাবে। ফলে টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রমটি একমুখী হলেও এ কার্যক্রমটি হবে দ্বিমুখী। শিক্ষার্থীদের কাছেও এটি আনন্দময় হবে।
উদ্যোক্তারা আশা করছেন, অনলাইন ভিত্তিক এ শিক্ষা কার্যক্রমটির ফলে করোনাকালের শিক্ষা ঘাটতি যেমন পুষিয়ে যাবে তেমনি শিক্ষার্থীদের কোচিং নির্ভরতাও কমবে।