গাইবান্ধা সদর উপজেলায় স্বামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ভোট করেবন। আর এ জন্য প্রথম স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেন তিনি। তবে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান স্ত্রী। আর এর জেরে ওই স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৭ নভেম্বর উপজেলার খোলাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে এবং ঘটনার দিনই দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার আট দিন পর সোমবার খোলাহাটি ইউনিয়নের বারই পাড়া এলাকা থেকে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই স্বামীর নাম ফজলে রাব্বি ও দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন ফারজানা। আর নিহত গৃহবধূর নাম রত্না বেগম।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন খোলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা ফজলে রাব্বি। ভোটের জন্য স্ত্রী রত্না বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বললে রত্না বেগম অস্বীকৃতি জানান। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, এর জেরে স্বামী ফজলে রাব্বি ও দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানা মিলে রত্না বেগমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। তারপর ঘরের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান। বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও তিনি (ফজলে রাব্বি) আশ-পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনার গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা হলে পুলিশ ঘটনার দিন দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানাকে এবং আট দিন পরে সোমবার উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের বারই পাড়া এলাকা থেকে স্বামী ফজলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৫