ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেছেন, সকল শিশুর জন্য ১২ বছরের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করাই যুক্তরাজ্যের দারিদ্র্য মোকাবিলা, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও সংঘাত কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা শিশুদের; বিশেষ করে মেয়েদের ও প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষার উন্নতির জন্য আগামী আট বছরে ৫৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বিনিয়োগ করব।’
ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে খেলাধুলা একটি শিশুর শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মেয়েদের ফুটবল দলের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
তিনি বৃহস্পতিবার মেয়েদের ফুটবল দলের জন্য একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যারা শিগগিরই কাতারে অনুষ্ঠিত স্ট্রিট চাইল্ড ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এই দলটি এমন শিশুদের নিয়ে গঠিত, যাদের সবাইকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারা এখন ঢাকার স্থানীয় শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (এলইইডিও) পিস হোমে বসবাস করছে।
এলইইডিও হলো ২০০০ সালে গঠিত একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। এলইইডিও এর লক্ষ্য শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবনধারা সহায়তার ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্বল পথশিশুদের রক্ষা করা এবং তাদের মূলধারার সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী এসব তরুণ অতিথিরা তাদের রাস্তায় থাকার সময়ের গল্পগুলো ভাগ করে নেন এবং অন্যান্য অসহায় শিশুদের ভবিষ্যত উন্নত করতে অতিথিদের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় আকলিমা খাতুন ও হালিমা আক্তারের সঙ্গে দেখা করার এবং তাদের আসন্ন বড় এই ম্যাচ সম্পর্কে পেশাদার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত।
এসময় তারা তাদের ফুটবলের দক্ষতা দেখায় এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি ‘কিপি-আপপি’ প্রতিযোগিতার জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়!
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।
এলইইডিও-এর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তার বিপদ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের রক্ষা করার জন্য তাদের সবাইকে একসঙ্গে তাদের আওয়াজ তুলতে হবে যাতে তারা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ইএনসিআরসি অনুসারে সকল শিশুরই মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ‘আমি ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এলইইডিও-এর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিল যুক্তরাজ্য