রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মিশনে আজিজুল হকসহ পাঁচজন সরাসরি অংশ নেয়। তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। মাত্র দুই মিনিটে কিলিং মিশন শেষ করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল এ তথ্য জানায়।
শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের ১৪ এপিবিএন পুলিশ তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তিনি মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় বলে স্বীকার করে। এর পরই তাকে এপিবিএন পুলিশ উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে পুলিশ শনিবার বিকাল ৫টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে নিয়ে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানা আজিজুল হকের জবানবন্দি নেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্তিক চন্দ্র জানান, গ্রেপ্তার আসামি আজিজুল হক মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ১ ইস্ট নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে তার সহকর্মীদের সাথে আলাপচারিতাকালে তাকে হত্যার মিশনে যে পাঁচজন রোহিঙ্গা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে আজিজুল হক নিজেও অংশ নেয় এবং তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। পাঁচজনের মধ্যে তারা তিনজন মুহিবুল্লাহর অফিসে ঢুকে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে। অপর দুই জন মুহিবুল্লাহর অফিসের বাইরে পাহারায় ছিল। মাত্র দুই মিনিটে হত্যা মিশন শেষ করে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী