শনিবার রাতে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মালা ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের হেলাল রাড়ির বড় মেয়ে। সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।
স্বজনরা জানান, গত ১৪ মে গভীর রাতে হেলাল রাড়ির দুই মেয়ে তানজিম আক্তার মালা (১৬) এবং মারজিয়া (৮) রাতের খাবার খেয়ে একসাথে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে করে তাদের ওপর জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়।
এতে মালার মুখমণ্ডল, দুই চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। এছাড়াও তার ছোট বোন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মারজিয়া হাত ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।
তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা গুরুতর অবস্থায় রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাদেরকে ভোলা থেকে বরিশাল পাঠানো হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর গত ২৬ মে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসিড নিক্ষেপকারী ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র মহব্বত হোসেন অনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপু স্বীকার করে, তাজিন আক্তার মালার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে জানতে পারে মালার সাথে আরো দুটি ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্য বাকবিতণ্ডা হলে দুজনের মধ্যে কথা বলা বন্ধ হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাটারি থেকে এসিড নিয়ে জানালা দিয়ে মালার ওপর নিক্ষেপ করে অপু।
এদিকে মালার পিতা হেলাল জানান, ৫৪ দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মেয়ের মৃত্যু হয়। তার মেয়ের ওপর এসিড নিক্ষেপকারী মহব্বত হোসেন অনুর ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
এদিকে মালার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে মালার মৃতদেহ ভোলায় বাড়িতে আনা হবে।