বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রের চারটি পয়েন্টে পরিবেষ্টিত ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার সব নদ-নদীতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পয়েন্ট চারটি হচ্ছে- মিরসরাই ও চট্টগ্রামের মায়ানি, তজুমদ্দিন ও ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারের উত্তর কুতুবদিয়া এবং কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর লতা চাপালী পয়েন্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার আগের চারদিন, পরের ১৭ দিন এবং পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা ২০১৭ সাল থেকে জারি রয়েছে। তবে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১১ দিন এবং ২০১৫ সালে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫ দিন।
নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশিকুল্যা রফিক, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের জনগণের পুষ্টি পূরণ ও সমুদ্রসম্পদের যথাযথ সংরক্ষণসহ মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি এবং মা ইলিশ ও জাটকা নিধনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি কারেন্ট জালসহ অবৈধভাবে মৎস্য নিধনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ওপর জোর দেন।