ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা ২২ হাজার পর্ন সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্তসমূহ অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে পুরো দেশকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট আয়োজিত শান্তি প্রতিষ্ঠা্ ও গণতন্ত্র প্রসারে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
তিনি বলেন, আগামী দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শহর-গ্রাম, নারী-পুরুষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ অপরিহার্য।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি সামনের দিনকে রোবটিক্স, এআই ও আইওটিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই হোক তাদের ডিজিটাল দক্ষতা দিতে হবে। আপনি আপনার সন্তানকে যদি ডিজিটাল যুগ থেকে পিছিয়ে রাখেন তবে সে পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকবে।
ডিজিটাল যুগের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, একটি ছুরি দিয়ে যেমন মানুষ হত্যা করা যায়, আবার জীবন রক্ষা করাও যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ভাল খারাপ দুটি দিকই আছে। খারাপটি বর্জন করার পদ্ধতিও আছে, সেটি জানা থাকলে কোন অবস্থাতেই ডিজিটাল প্রযুক্তির বিরূপ দিক রাষ্ট্র ব্যক্তি বা সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করবে না। প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবহার করে অভিভাবকরা শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিরূপ দিকটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর উপাত্ত নিয়ন্ত্রণে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার শতশত বছর অতীতের পশ্চাদপদতা অপসারণ করে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত উদ্যোগও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে আঠার বছরের শাসনের হাত ধরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। এই সময়ের মধ্যে অনেক উন্নত দেশও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের সমান্তরালে আসতে পারেনি। তিনি কোভিডকালে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এবং রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলে প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার