ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ডোগনদের গ্রামে এ হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। তবে গত মার্চে ডোগন মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফোলাদের গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৫৭ জনকে হত্যার অভিযোগের পরই তাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ছিল।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমাদু সাঙ্গহু জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে সোবামে দা এলাকার ডোগন গ্রামে হামলায় ১৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। হামলাকারীরা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে এবং পশুগুলোর গলা কেটে দিয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
মার্চে চালানো সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার জন্য অভিযুক্ত ডোগন মিলিশিয়াদের মূল কেন্দ্র সাঙ্গা এলাকায় গ্রামটি অবস্থিত।
কিছু ফোলা নেতা মার্চের হামলার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নিয়েছিলেন। তবে ডোগান মিলিশিয়া নেতা ইউসুফ তুলুবা তার যোদ্ধাদের হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
মালি দীর্ঘদিন ধরে দেশটির উত্তরে ইসলামি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চরমপন্থীরা দক্ষিণ দিকে সরে এসে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে।
ফোলাদের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট অব গ্রেটার সাহারার জিহাদিদের সাথে কাজ করার এবং ডোগানদের গ্রামে হামলা চালিয়ে চাষে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, ডোগানরা মালির সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে বলে দাবি ফোলাদের।