তাদের মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পশু পালন করা সাধারণ মানুষ, উৎপাদনকারী, খামারি ও এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জনপ্রতি দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের চাহিদা হিসাবে বার্ষিক মোট চাহিদা ৭২ দশমিক ৯৭ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি থেকে মাংস উৎপাদিত হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত হয়েছে। এর মধ্যে গরু-ছাগলের মাংস ছিল উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ।
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিদেশ থেকে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানি-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বর্তমান সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দেশীয় খামারি, উৎপাদনকারী ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশ ও কৃষিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আহকাব) সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন সভাপতি মোমিন উদ দৌলা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিএ) মহাসচিব ড. মো হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাসের (বিডিএফএ) মহাসচিব শাহ ইমরান, বেঙ্গল মিটের হেড অব কমার্শিয়াল অ্যান্ড এক্সপোর্ট সাইদুল হক ভূইয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।