বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষে আইনজীবী নওশাদ জমির এ নোটিশ পাঠান।
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইন সচিবকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ৪ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনটি ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সরকারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।
এদিকে, সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়। খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত কারণে তখন থেকে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কারাগারের ভেতরে আদালত স্থানান্তর করে।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলা বিশেষ জজ আদালত-৫-এ নিরাপত্তাজনিত কারণে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষটিকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাঠানো আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘একটি বিশেষ মামলার বিচারের জন্য ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি কক্ষকে আদালত কক্ষ ঘোষণার সরকারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৯(২) ধারার অপব্যবহার।’
নোটিশে আরো বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আদালত বসানোর স্থান বলতে বাড়ি, ভবন, ‘টেন্ট অর ভেসেল’কে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কারাগারকে বোঝানো হয়নি। যে কারণে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত কক্ষ ঘোষণা করে দেয়া সরকারের ওই বিশেষ আদেশ অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত।
সংবিধানের ৩৫ (৩) অনুচ্ছেদে একজন অভিযুক্তকে দ্রুত এবং জনসম্মুখে বিচারের মৌলিক অধিকার দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।