বিএনপি তাদের পরিকল্পনায় কাজ করছে। নয়াপল্টনে গতকালের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বিএনপি দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথসভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা সড়কে আহত অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু গণমাধ্যম সে দৃশ্য দেখায়নি। ‘তারা (বিএনপি কর্মীরা) বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি গাড়ি পোড়ানো হবে, সেই দৃশ্য দেখানো হবে না। কেন এই আচরণ?’
মিডিয়া আউটলেটগুলির একটি অংশ কেন ‘পক্ষ নিচ্ছে’ সেতুমন্ত্রী তার কারণ জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় জনসমাবেশ, কিন্তু গণমাধ্যম তা সঠিকভাবে দেখায়নি।
‘আমরা আশা করি মিডিয়া তারা যা দেখবে তা দেখাবে। আমরা সত্য দেখানোর আহ্বান জানাই,’ তিনি যোগ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার পতনের চেষ্টা করছে। আক্রমণ আমরা করবো না, তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিতে পারি না।
কূটনীতিকদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা তাদের যোগাযোগে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জনগণ নির্ধারণ করবে ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী