বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অত্যাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নিষ্ঠুর বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিবাদ দমন করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, ও গণতান্ত্রিক রীতি নীতিকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের মৃতদেহের ওপর এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে সারাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৫ শতাধিক এবং মামলা হয়েছে ১২ শতাধিক। নাম উল্লেখ করে আসামির সংখ্যা ১১ হাজার এবং অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।’
এছাড়াও বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, রাজধানী ঢাকাসহ পিরোজপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং নরসিংদীসহ সারাদেশে বিএনপি নেতাদের বাসা ও বাড়িতে প্রতি রাতেই পোশাকধারী ও সাদা পোশাকধারী সরকারি বাহিনী হানা দিচ্ছে।
তিনি সতর্ক করেন, ‘জনগণের সাথে প্রতারণার মাশুল সরকারকে দিতেই হবে। সরকার বিরোধী দলের ওপর যত জুলুম করছে ততই সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে। ’
নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘সরকার এখনও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সমাধানহীন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না, কারণ এই ধরনের নির্বাচন হলে তাদের লজ্জাজনক পরাজয় হবে। তাই একতরফা ভোটারশূন্য নির্বাচন করার জন্য শেখ হাসিনা সারাদেশে বিরোধীদলশূন্য করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ‘
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার কারণে আদালত কারাগারে স্থানান্তরের অসাংবিধানিক কাজটি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যে মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। অর্থাৎ বেগম জিয়াকে এখন বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
খালেদার প্রতি সরকারের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন রিজভী।