বৃহস্পতিবার সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারের ভেতরে ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বেআইনিভাবে সাজা দেয়ার লক্ষ্যে একটি অস্থায়ী আদালত গঠন করা হয়েছে। যাতে সাধারণ জনগণ বিচারের নামে সরকারের বেআইনি কার্যক্রম দেখতে বা বুঝতে না পারে।’
আইন মন্ত্রণালয় ৪ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন পরিত্যক্ত কারাগারের সাত নম্বর কক্ষটিকে আস্থায়ী আদালত ঘোষণা করে। পর দিন খালেদা জিয়াকে কারাগারের ওই আদালত কক্ষে হাজির করে মামলার শুনানিও করা হয়।
জয়নুল আবেদীন সংবিধানের ৩৫(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা উল্লেখ করে বলেন, ‘সেখানে আদালত বলতে একটি উন্মুক্ত আদালতের কথা বলা হয়েছে, যেখানে যে কোনো মানুষের সাধারণভাবে প্রবেশাধিকার থাকে। কিন্তু ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের যে কক্ষটিকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তা কোনো উন্মুক্ত আদালত নয় বা হতে পারে না।’
সেখানে জনগণ তো দূরের কথা, খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিদের আইনজীবী, আসামিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা খালেদা জিয়ার দলের নেতাদের প্রবেশ এবং আদালতের কার্যক্রম দেখার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমরা শুনতে পেয়েছি যে আদালত কক্ষটি ২৪ ফুট বাই ২৬ ফুট আয়তনের। নাটক-সিনেমায় যে রকম দেখানো হয় সেই আকৃতির একটি আদালত বসানো হয়েছে। যেটি গুহার মতো স্যাঁতস্যাঁতে এবং সেখানে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ারও ব্যবস্থা নেই।’
‘কারা অভ্যন্তরে গঠিত আদালতটি মোটেই উন্মুক্ত আদালত না হওয়ায় এবং সেখানে পাবলিক ট্রায়াল হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় এই বেআইনি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম চলার আইনগত কোনো সুযোগ নেই,’ যোগ করেন জয়নুল আবেদীন।
সংবাদ সম্মেলনের পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সারা দেশের আইনজীবী সমিতিতে মানববন্ধন ও ১২ সেপ্টেম্বর প্রতীকী অনশন পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এসময় সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।