করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁ পৌরসভা এলাকা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় সর্বাত্মক সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরে সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া পৌর বাজার এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম ছিল।
এদিকে, শহরের মুক্তির মোড়, বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়, তাজের মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কঠোর অবনস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন
তবে সকাল ৯টার দিকে শহরের বিহারি কলোনি বাজারে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেই চলছে বাজারঘাট। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই ছিল না মাস্ক।
বাজার করতে আসা পৌরসভার স্লইচ গেট এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসন আমাদের ভালোর জন্যই লকডাউন দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ সচেতন না হলে লকডাউন কার্যকর সহজ নয়। এর জন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’
জেলা প্রশাসক হারুণ অর রশিদ জানান, সম্প্রতি নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকা ও একই সাথে নিয়ামতপুর উপজেলাকে সাত দিনের লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া কমিটি।