করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া জেলা সদরে সাতদিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউন আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
বগুড়া পৌরসভা এলাকায় রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২৬জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলে শনিবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটিতে আরেক দফা বাড়লো বিশেষ লকডাউন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসময়ে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ঔষধ, কাঁচাবাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাসমূহ সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে।
বিধি নিষেধ চলাকালীন বগুড়া শহরে কোনও যানবহন চলাচল করতে পারবে না। এছাড় দূরপাল্লার যানবহন শুধু হাইওয়ে ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আরও এক সপ্তাহ বাড়ল লকডাউন
তবে জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন, রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পরিবহন ও ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহণ এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ সকল ধরনের গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। বগুড়া শহরের সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে।এছাড়া বন্ধ থাকবে সকল পর্যটন স্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র ।
আরও পড়ুন: করোনায় খুমেকে ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু
শিল্প-কারখানা সমূহ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিসেবা আওতাভুক্ত হবে। সকল ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল থাকবে ।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সামাজিক দূরত্ব মেনে অংশগ্রহণ করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সামাজিক দূরত্ব মেনে উপাসনা করা যাবে।
উপর্যুক্ত বিধি নিষেধ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ আইন ২০১৮ সহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।