গত ১০ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জানিয়ে রেজিস্ট্রার মৃদুলা কর জানান, অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শিশুটির জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে তার শিক্ষক ও দুই প্রতিবেশী ধর্ষণ করার পর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর মা জানান, প্রায় নয় মাস আগে এক নারীর সহকর্মীর সহায়তায় ওই শিক্ষক তার অফিস কক্ষে তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার পর তার দুই প্রতিবেশীও খালি বাসায় ঢুকে মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষণ করে।
শিশুর মা প্রতিবাদ করে বিচার চাইলে অভিযুক্তরা তাকে মারধরও করে।
তিনি জানান, গত ২২ আগস্ট বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে মামলায় ধর্ষণকারী শিক্ষক ও দুই প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ করেননি।
বরিশাল জেলা পুলিশ প্রধান সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে ভুক্তভোগীকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি শিশুটির চিকিৎসার ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ধর্ষণ মামলায় জুয়েল হাওলাদার নামে এক প্রতিবেশী বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।