বাগেরহাটে  খানজাহানের বসতবাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রাপ্ত নিদর্শন নিয়ে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনী।

খানজাহান ছিলেন মধ্যযুগীয় শহর খলিফাতাবাদের প্রতিষ্ঠাতা যেটা বর্তমানে বাগেরহাট নামে পরচিত।

শুক্রবার বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনায় খানজাহানের বসতবাড়ি এলাকায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এবং দর্শনার্থীদের জন্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাটের পৌর মেয়রকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রায় দুই মাস খনন শেষে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ৬০০ বছর আগে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্থাপত্য কাঠামো ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছে।

এই নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে  কারুকাজমন্ডিত ইট, বিভিন্ন সময়ের দেয়াল, চুনের তৈরি মেঝে, রাস্তা, ড্রেনেজ, ইটের সোলিং ও পথ। তাছাড়াও  রয়েছে পোড়ামাটির পাত্র, প্লেট, বাটি, সসার, মাটির কলসের টুকরো, তেলের বাতি, খোদাই করা ইট, টাইলস এবং পোড়ামাটির বাটি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, খননের ক্ষেত্রে তাদের তিনটি উদ্দেশ্য ছিলো। গবেষণার মাধ্যমে খননকৃত নিদর্শনগুলোর প্রকৃতি জানা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আনুমানিক বয়স নির্ধারণ করা এবং একটি সম্পূর্ণ  প্রতিবেদন প্রকাশ করা।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, খননকৃত কিছু অংশ সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান মো. জায়েদ, সাতগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মতে, ইউনেস্কো ১৯৮৫সালে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদসহ ১৭ টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে। খানজাহানের বসতবাড়িও এর মধ্যে অন্যতম।

সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামে খানজাহানের বাড়িতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর খনন কাজ শুরু হয়। .

প্রায় ১০ একরের এই জমিতে ২০০১ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ক্রমাগত খনন করে আসছে।