শেরপুরে নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী বারোমারি ধর্মপল্লীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে পাপ স্বীকার ও খ্রিষ্ট জাগের মাধ্যমে শুরু হয় বার্ষিক এ তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এতে পৌরহিত্য করেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিকার জেনারেল রেভারেন্ড ফাদার সিমন হাচ্চা।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহা ধর্মপ্রদেশের বিকার জেনারেল রেভারেন্ড ফাদার গ্যাব্রিয়েল কোরাইয়া।
খ্রিষ্ট জাগে পৃথিবীর সকল মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির জাগরণ এবং জগতের শান্তি কামনা করা হয়।
তীর্থে আগত খ্রিষ্ট ভক্তরা তাদের নানা মান্নত পূরণ করতে ঈশ্বর জননী মা মারিয়ার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর অকৃপণ সাহায্য প্রার্থনা করেন। রাতে আলোক শোভাযাত্রায় খ্রিষ্টভক্তরা নিজেদের পাপমোচনে জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে খালি পায়ে ধর্মীয় বাণী উচ্চারণ করে তীর্থস্থানের উঁচু-নীচু পাহাড়ি টিলার আড়াই কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করেন।
পরে রাতব্যাপী মা মারিয়ার ৪৮ ফুট উঁচু মূর্তির সামনের চত্বরে চলে সাক্রামেন্টের আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ শেষে দুপুরে মহা খ্রিষ্ট জাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
তীর্থোৎসবের সমন্বয়কারী বারোমারি ধর্মপল্লীর ফাদার রেভারেন্ড তপন বনোয়ারি জানান, প্রতিবছর একটি মুলসুরের ওপর ভিত্তি করে বারোমারি ধর্মপল্লীতে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব উদযাপিত হয়।