মঙ্গলবার রাতে ভোলা র্যাব ক্যাম্প থেকে পরিবারের সদস্যরা তাদের ফেরত নিয়ে যান। বিধান মজুমদার ও তার পিতা বিনয় ভূষণ এবং ভোলা র্যাব অফিসের কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিধানের বাবা বিনয় ভূষণ মজুমদার জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মোবাইলে বিধান জানান তাকে র্যাব অফিস থেকে যেন নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তিনি রাতে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আশরাফুল টুলু ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ভোলা মোল্লা পট্রি এলাকার র্যাব ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে ভোলা র্যাব অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আনা হয়েছিল ও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিধান মজুমদার জানান, তাকে চোখ বেঁধে র্যাব অফিসে আনা হয় এবং বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আইডি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার পর বিধানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মা জুয়েলার্স থেকে বিধান মজুমদার ও তার চাচাতো ভাই সাগরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
চরফ্যাসন দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, বিধান ও সাগরের ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক যুবকের শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে গত রবিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও আন্দোলনরত স্থানীয়দের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু ও প্রায় ২০০ জন আহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সেখান থেকে আল্লাহ ও মহানবীকে কটূক্তি করে বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো মেসেজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।