বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে ঢাকাগামী এমভি ‘মানামী’ লঞ্চ থেকে তাদের আটক করা হয়।
তবে তাদের পরিচয় জানানো হয়নি।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ভিডিও ফুটেজের সাথে ওই চার যুবকের চেহারার মিল পাওয়া যায়নি। ‘প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজন্য ভোর ৫টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়,’ বলেন ওসি।
পুলিশ জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বরিশাল লঞ্চ ঘাটসহ গমনাগমনের সকল পথগুলোতে নজরদারি চলছে, যাতে বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার কোনো আসামি পালিয়ে যেতে না পারে।
বৃহস্পতিবার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়।
গত বুধবার বরগুনা জেলা শহরে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও রাব্বী আকনসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
পুরো হত্যার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দুর্বৃত্তরা রিফাতকে নির্বিচারে কোপাচ্ছে। অন্যদিকে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।
হামলাকারীরা তাকে সরিয়ে দিয়ে রিফাতকে কোপাতে থাকে। পরে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।