সিলেট নগরীর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মঙ্গলবার এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শিশির মনির আদালতের রায় বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে প্রবাসীর স্ত্রী, ২ শিশু হত্যায় আটক ৬
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিশু আবু সাঈদ অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় কনস্টেবল পুতুল, ওলামা লীগ নেতা রাকিব, পুলিশ সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম এই চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে শিশু হত্যায় চাচির যাবজ্জীবন
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে আসামিরাও আপিল আবেদন করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ জুন দিন ধার্য করা হয়।
আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র এবং রায়নগর দর্জিবন্দের বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়া বাজারের খশিলা এলাকায়।