লকডাউন
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৪৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে করোনায় মৃত্যু ৫, বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে ৪৩৮ মামলা
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা জরিমানা ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিচ্ছেন।
জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে।
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের ১৩তম দিনে বুধবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
বাগেরহাটে লকডাউন অমান্যে ৭৮ জনের শাস্তি
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড ও ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আর পড়ুন: ঝিনাইদহে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর পাশাপাশি ৬৮ জনের কাছ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
ভোগান্তি উপেক্ষা করে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝেও কলকারখানা খোলার ঘোষণায় মহাসড়কে বেড়েছে মানুষের চলাচল। শনিবার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক, ভ্যান বিকশা যোগে টার্মিনালে এসে হাজির হচ্ছে তারা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। কাজে যোগ দিতে ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ ছোট ছোট যানে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এসময় যানবাহন না পেয়ে অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
যশোর থেকে ঢাকাগামী রাশেদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা যশোর আসছি। আগামীকাল থেকে অফিস খোলা। অফিস তো যেতেই হবে। সেই কারণে বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে সিএনজি, অটোরিকশা করে যেতে হচ্ছে। ফ্যাক্টরি খোলা ঠিক আছে। তবে গাড়িগুলো যদি খুলে দিত তাহলে আমাদের ভোগান্তি কম হতো।‘
একই এলাকা থেকে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন,’ আমি আসছি অভয়নগর যশোর থেকে। এখন যাব ঢাকা। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী আছে। এখন যাব কি করে? ১০ টাকার ভাড়া ১’শ টাকা নিচ্ছে। তাও গাড়ি পাচ্ছি না। খুবই বিপদে আছি।‘
আরও পড়ুনঃ ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে আসা নাজমুল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সরকার জনগণের কথা কখনো চিন্তাই করে না। আমাদের কথা যদি ভাবতো তাহলে গাড়ি চালু করতো। গাড়ি বন্ধ করে গার্মেন্টস খুলে দেওয়া কোন ভাবেই উচিত হয়নি। মানুষের কথা ভাবেন দয়া করে। এভাবে ভোগান্তি দেওয়া ঠিক না।‘
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ট্রাফিট ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে টার্মিনালে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তারা ছোট ছোট যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বাগেরহাটে লকডাউনে ৬৩ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া একজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছে অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে লকডাউন অমান্যে ৭১ জনের জরিমানা
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের নবম দিনে শনিবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন জেলার সকল উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুরে লকডাউনে ফুটবল খেলাসহ আইন ভঙ্গে আটক অর্ধশতাধিক
চাঁদপুর শহরে কঠোর লকডাউনের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও বিধিনিষেধ অমান্য করে ফুটবল খেলার খেলোয়ার, নদীর পাড়ে ও মোলহেডে অযথা অবস্থানের কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক যুবককে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন এর কাছে আক্কাছ আলী রেলওয়ে হাই স্কুল মাঠ থেকে ৫০ জন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ৭ মৃত্যু
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দীন ও সদর মডেল থানা ফোর্সকে সাথে নিয়ে নিজেই এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়া, অযথা ঘোরাফেরা বন্ধ করা, দোকানপাট খোলা না রাখা, জনসমাগম নিষিদ্ধসহ জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ‘বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী’ চলমান রেখেছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
আরও পড়ুন: নড়াইল পৌরসভায় যত্রতত্র গতিরোধক, বাড়ছে দুর্ঘটনা
তিনি বলেন, ‘জনসমাগম বন্ধ করতে শহরের প্রেসক্লাবেরর পিছনে নদীর পাড়ে, বড় স্টেশন পর্যটন কেন্দ্র মোলহেডে আকস্মিক টহল অভিযান করি। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়। এছাড়া রেলওয়ে আক্কাছ আলী স্কুল মাঠে প্রায় শতাধিক লোক জড়ো কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে খেলার আয়োজন করায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্টের পরও বহালের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা আরও দশ দিন আগেই মন্ত্রীসভার বৈঠকে বিধি নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কিভাবে এই সংক্রমণ সামাল দিব? রোগীদের কোথায় জায়গা দিব? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা লকডাউন বিধি নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রতিদিন ২শ’র ওপর মৃত্যু, একদিনে শনাক্ত ১৩, ৮৬২
খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের এক কোটি বা তদূর্ধ্ব মানুষকে প্রতি মাসে টিকা দেয়ার চিন্তা আছে। কিছু টিকা আমাদের হাতে রয়েছে, বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এর মধ্যেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রাখছি। তবে এই পরিকল্পনা ফিক্সড বা নির্ধারিত কিছুই না। যেকোনো সময়ই অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হতে পারে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি চলছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আমরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি। আগামি ৬ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত বলবেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: সপ্তম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৬৮
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমে বিশৃংখলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় পরিসরের টিকা দিতে গেলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হতেই পারে। আমরা এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহায়তা চেয়েছি। মন্ত্রী মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি মিটিং করবেন। শুধু আইন প্রয়োগকারী বাহিনী দিয়েই আমরা এত বড় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো না। সবার সহযোগিতা লাগবে।
খুরশীদ আলম আরও বলেন, গ্রামপর্যায়ের তাপমাত্রায় যে টিকা রাখা যাবে, সেগুলোই আমরা দেব। বিশেষ করে সিনোফার্মের তিন কোটি টিকা গ্রামপর্যায়ে দেয়ার কথা ভাবছি।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা
ঈদযাত্রায় ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭৩
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেয়া কঠোর লকডাউন ঈদুল আজহার জন্য শিথিল করা হয়েছিল। বিধি নিষেধ শিথিলের মাঝে মাত্র আটদিন গণপরিবহন চালু ছিল। তবুও এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৪৭ জন। আর সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ২৬২ দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ২৯৫ জন নিহত এবং ৪৮৮ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরে নিহত ২শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।
ফের বাড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
সারা দেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় এবং কঠোর লকডাউন থাকায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা শিক্ষার্থীদেরও সংক্রামিত করতে পারে, এটা জেনেও সরকার তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে না। শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর দেড় বছর পেরিয়ে গেছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এতে তাদের পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার আহবান জানিয়েছে ইউনিসেফ-ইউনেস্কো।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে বৃহস্পতিবার আরও ২৩৯ জন মারা গেছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ২০ হাজার ২৫৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া একই সময়ে আরও ১৫ হাজার ২৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন সিস্টেম’ চালু করার কথা ভাবছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
লকডাউন লঙ্ঘন: সপ্তম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৬৮
দেশব্যাপী ১৪ দিনের লকডাউনের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার বিধি নিষেধ লঙ্ঘনের জন্য রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ৫৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৬ জনের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে তিন লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা আদায় করেছে। আর ট্রাফিক বিভাগ ৪৩১ গাড়ি থেকে জরিমানা হিসাবে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা রাস্তায় বের হওয়ার কোনও বৈধ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম।
তবে প্রতিদিন গ্রেপ্তার, জরিমানা এবং রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু সত্ত্বেও মানুষ বাড়িতে থাকতে চাইছে না। লকডাউনের মাঝেও রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজট দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
অনেক বেসরকারি অফিস তাদের নিজস্ব কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল। লকডাউনে অনেককেই রিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রতিটি যানবাহন চেক করছি। যারা প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং লকডাউনের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে একদিনেই শনাক্ত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ২৩০ জনের। গত দিন সর্বোচ্চ মৃত্যুর পর গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। এর মাধ্যমে দেশে করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
লকডাউনের মধ্যে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আসছে মানুষ
করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি নিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ মানছে না সরকারি আইন কানুন। আর তাদের সহায়তা করছে আরেক শ্রেণির সুবিধাবাদী মহল।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড থেকে মাইক্রোবাসে করে শত শত মানুষ ঢাকায় পাড়ি দিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্বরোডের একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঘরমুখো মানুষের চাপেও যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সরজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে মাইক্রোস্ট্যান্ডে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে তিন/চার গুণ বেশি ভাড়া নিয়ে ঢাকায় যাত্রী পাঠাচ্ছে। কোন ধরনের সরকারি নিয়ম কানুনের ধার ধারছে না। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য
এ ক্ষেত্রে ওই প্রভাবশালী মহলটি ৫০ শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকে। যাত্রীদের মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে উঠতে তাদের ৫০০/৬০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম জানান, এভাবে যাত্রীর চলাফেরা নিষেধ। বিশ্বরোড় মোড়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে