লকডাউন
লকডাউন লঙ্ঘন: ফরিদপুরে ৫ দিনে ৬৩৬ মামলা
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন লঙ্ঘন করায় ফরিদপুরে ১ থেকে ৫ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত ৬৩৬ মামলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মামলার বিপরীতে দণ্ডপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৬০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জেলার ১৫ জন নির্বাহী হাকিম এই মামলাগুলো করেন। এসময় তারা মানুষকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালান।
আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তাসলিমা আলী জানান, কঠোর লকডাউন চলাকালে সরকারি দেয়া বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ১৫টি ভ্রাম্যামাণ আদালত জেলার নয় উপজেলাতে পরিচালনা করা হয়। এসময় আদালতকে সহায়তা করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহীর সদস্যরা।
তিনি জানান, ১৫ জন ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা এবং কারণ ছাড়া ঘোরা ফেরা করার’ অভিযোগে দণ্ডাদেশ দেয় ।
সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকাকালে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এছাড়াও লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলায় ১২টি স্থায়ী চেকপোস্ট ও ২৯টি মোবাইল টিম বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ২৮২
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৫৫ নমুনা পরীক্ষার করে ১৬৩ জনের শনাক্ত হয়েছে আর এই সময়ে করোনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৫ জন এবং করোনা সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ২৮৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
করোনা: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১২৭
বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা চার হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। বাগেরহাটে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯২ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে তিন দিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৯ থেকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রন্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
জেলার প্রতিটি উপজেলায় এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ১৮ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৯৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনকে অর্থদণ্ড এবং ৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার অপরাধে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
এদের মধ্যে একজনকে ১৫ দিন এবং আটজনকে তিন দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারকরা। এসময় ৯৬ জনকে ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে বিভিন্ন অলিগলিতে মানুষজন ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা তাদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, জেলার সর্বত্রই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। জেলার প্রবেশদ্বারে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নানা ভাবে কাজ করছে।
লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বরিশালে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গত চার দিনে বরিশাল জেলায় ৪৯৯ জনকে ৭ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, বরিশালে কঠোর লকডাউন অমান্য করায় গত রবিবার চতুর্থ দিনে বরিশাল জেলায় ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫০টি মামলায় ১৫০ জনকে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করে।
এর আগে গত ৩ জুলাই লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশালে ২১ ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮০ মামলায় ১৮০ জনকে ৩ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করে। এছাড়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বরিশালে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং লকডাউনের প্রথম দিন ১ জুলাই ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন: বাগেরহাটে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৪৯ জনের জরিমানা
আর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
কুমিল্লা নগরীতে সরকার ঘোষিত প্রথম সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল। সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছেন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলার নির্বাহী প্রশাসন ৩৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় ২৬৮টি মামলায় ২৭৯ জনকে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
এসময় ১৯২ জনকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার প্রদান করা হয়।
সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীতে ও উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশি টিম টহল দিতে দেখা গেছে। দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
এর আগে দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, গত ৩০ জুন ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
চট্টগ্রাম, ৫ জুলাই (ইউএনবি)- লকডাউন চলাকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক চিকিৎসককে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম।
জরুরি পরিষেবার আওতায় পড়া একজন চিকিৎসককে জরিমানা করায় ওই ইউএনও-কে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কেএম আল-আমীন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন ‘কেমন চলছে’ দেখতে বেরিয়ে চট্টগ্রামে আটক ২১
এর আগে গত শুক্রবার ব্যক্তিগত চেম্বারে যাওয়ার পথে ফরহাদ কবির নামে ওই চিকিৎসককে সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও নজরুল ইসলাম। ওই সময় তিনি চিকিৎসককে জরিমানার সঙ্গে জেল দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
ওই চিকিৎসক নিজের ফেসবুকে পোস্টে লিখেন, ‘ধন্যবাদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার! লকডাউন অমান্য করে রুগি দেখতে চেম্বারে যাওয়ায় এক হাজার টাকা জরিমানা সাথে ছবি তুলে নিয়েছে পত্রিকায় দেয়ার জন্য!
নোটঃ আমার হেলমেট ছিল না বাইক চালানোর সময়।’
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পৌরসভার নাছির ফার্মেসি এবং মক্কা ফার্মেসিতে নিয়মিত চেম্বার করি। ঘটনার দিন আমি চেম্বার শেষ করে ফিরছিলাম। ওই সময় একজন ইমার্জেন্সি রোগী আসার বিষয়ে ফোন পেয়ে মাঝপথ থেকে আবার চেম্বারে যাচ্ছিলাম। তখন সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোডের মুখে ইউএনও’র সঙ্গে দেখা হয়।’
এ সময় ইউএনওর সঙ্গে থাকা লোকজন সিগন্যাল দিলে আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার পরিচয় দেই।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নতুন রোগী হাসাপাতালে
ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পর ইউএনও কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনারা লকডাউন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমরা লকডাউন সফল করতে পারি না বলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আর এখন আপনারা লকডাউন মানছেন না।’
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে চিকিৎসক হয়রানির অভিযোগে বিএমএর নেতারা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপের দাবি করেন। পরে সাতকানিয়ার ইউএনও নজরুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়।
এই বিষয়ে কথা বলতে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উনার মুখে মাস্ক ছিল না, মাথায় হেলমেট ছিল না। তাছাড়া তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তার কোন পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি। তাই ওনাকে আইন মোতাবেক জরিমানা করা হয়েছে। চিকিৎসক নেতারা অভিযোগ করেছে আমি দুর্ব্যবহার করেছি। অথচ কোন প্রকার দুর্ব্যবহার করা হয়নি।’
লকডাউন অমান্য করায় চাঁদপুরে গরুর হাট ভেঙে দিল প্রশাসন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউন অমান্য করে জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুরে রবিবার সাপ্তাহিক গরুর বাজার ভেঙে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।তাছাড়া, লকডাউনের সময় এই হাট বসার অপরাধে বাজার কমিটিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
গরুর হাট বসার খবর পেয়ে আজ বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা হক এক অভিযান চালিয়ে গরুর বাজার ভেঙে দেন। তার নির্দেশে এক ঘন্টার মধ্যে এ হাট খালি করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক ইউএনবি কে জানান, সরকার ঘোষিত লকডাউন অমান্য করে সাপ্তাহিক গরুর বাজার বসানোর অপরাধে বাজার কমিটিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ হাট বন্ধ থাকবে। এ সময় সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সঙ্গে ছিলেন।
লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানীতে ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪৯৬টি গাড়িকে জরিমানাসহ মোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১২ লাখ ৮১হাজার টাকা। সাতদিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে। এই সময় ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে চলাচলকারী গাড়ির কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা আদায় করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কাবস্থান থাকা সত্ত্বেও লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা আগের তিনদিনের তূলনায় বেশি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১ জুলাই থেকে সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। এটি চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন : ভোলায় ৪৩৮ জনকে জরিমানা
লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
শেরপুরে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে তৃতীয় দিনেও মাঠে বেশ তৎপর ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার দুপুরে শহরের মোবারকপুর এলাকায় বিধিনিষেধ অমান্য করে চালু রাখায় নুরানী তালিমুল কোরআন মোয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে একটি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসাথে মাদ্রাসাটি খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এর পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেরপুর সদর এসিল্যান্ড তনিমা আফ্রাদ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় মাদ্রাসাটির দায়িত্বরত হারুন-অর-রশীদকে দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ২৬৯ ধারা অনুয়ায়ী ১০ দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের জন্য মাদ্রাসাটি সিলগালা ঘোষণা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার, শেরপুরে সেনাবাহেনীর দায়িত্বরত মেজর মো. ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে পরিচালিত নুরানী তা’লীমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশ-এর সিলেবাসে শহরের মোবারকপুর এলাকায় এ মোয়াল্লেম কেন্দ্রটি ২ বছর ধরে চলছে। ভয়াবহ করোনার মাঝেও সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাদ্রাসাটি চালু রাখা হয়। সেখানে একটি কক্ষে ছোট ছোট শিশুদের এবং আরেকটি বড় হলরুমে প্রায় শতাধিক বয়স্ক ব্যক্তিকে নুরানী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদাত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করে অযথা ঘুরাফেরা ও মাস্ক না পড়ার দায়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ জনকে আটক করা হয়। এদিন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি দল শহরের আনাচে-কানাচে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরে মোটর সাইকেল টহলের মাধ্যমে করোনা সচেতনা সৃষ্টি ও লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকরের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান, খাবার গেল এতিমখানায়
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করার দায়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৩৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে ১৩১টি মামলায় ৮০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবারও লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, ২ প্ল্যাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেইসাথে পুলিশের টিমও কাজ করছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বাইরে বের হতে না পারে, সেই দিক নিশ্চিত করা হচ্ছে।’