যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ডলি খাতুন নামের এক নারীকে গলাটিপে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে। আর নিহত ডলি খাতুন মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা করাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়া জজ কোটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় একই উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে কামালের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর থানার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরী পান। চাকুরি পাওয়ার পর থেকে ডলি খাতুনের ওপর তার স্বামী কামাল নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে তার স্ত্রী ডলির কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে কামাল তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ডলির পিতা বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিনে মিরপুর থানায় ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ, তার পিতা সন্টু কবিরাজ এবং মা আমেনা খাতুনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ডলিকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসাদুজ্জামান কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কার।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন
শিক্ষক হত্যা মামলা: খুলনায় ১৭ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদাণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার আসামির উপস্থিতিতে খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ গাজী (৪৫) খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা নেই। বাবা রাজমিস্ত্রির সহকারী এবং তিনি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেন। সেই সুবাদে তার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে ও আট বছর বয়সী ছেলেকে বাড়িতে একা থাকতে হয়।
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি কিশোরীকে বাসায় ডেকে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আসামি ওই কিশোরীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাবা বাড়ি আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। তিনি মাসুদের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে উল্টা তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে কিশোরীর বাবা ২০১৬ সালের ২০ জুন বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন। খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান একই বছরের ১১ ডিসেম্বর মাসুদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহউদ্দিন সুইট জানান, ২০১৪ সালের ১৫ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলবার, আট রাউন্ড গুলি ও আটটি সর্টগানের গুলি উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নূর হোসেনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে আলাদা অভিযোগে মামলা দায়ের করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সেই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে তিন মাস পর অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদলত বিচার প্রক্রিয়ায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামি নূর হোসেনকে দুটি ধারায় আলাদাভাবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে, আদলত একই সাথে মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আরও দুটি মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। অস্ত্র মামলায় সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারসহ দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া মাদক মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন একজন পুলিশ সদস্য।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি নূর হোসেনকে গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয়।
পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে ২০০৩ সালে এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবদুস সালামের ছেলে নুরুল আলম, জালাল আহমেদের ছেলে হেলালুদ্দীন ও টেকনাফ উপজেলার কাশেমের ছেলে মমতাজ মিয়া। আদালতে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা হয়েছিল।
সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের ২০২১ সালের আদেশ অনুসারে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ হলো একজন অপরাধী ৩০ বছরের জন্য কারাগারের থাকতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কক্সবাজার আদালত উক্ত মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে খালাস দিয়েছেন কারণ তিনি বিচার চলাকালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
আদেশ অনুসারে, ২০০৩ সালে ৩ এপ্রিল তারিখে পাহাড়ি এলাকা থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ফেরার সময় ধর্ষণের শিকার হয় প্রায় ৯ বছর বয়সী শিশুটি। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধের বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
গত ১ জুলাই প্রধান আসামিসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিয়ায় চায়না খাতুন (১১) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার দায়ে চাচাসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির চাচা সাদ্দাম হোসেন (৩৩) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আকবর আলী (৪৪)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইদের ফাঁসাতে সাদ্দাম হোসেন তার আপন বড় ভাই জহুরুল প্রামাণিকের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বাকপ্রতিবন্ধী চায়না ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সাদ্দাম তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে হত্যা করেন। পরে বেড়া খারুয়া চরে নিয়ে চাকু দিয়ে চায়নার গলা কেটে সেখানেই লাশ ফেলে রেখে আসে। তার এ নৃশংস হত্যাকান্ডে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী সহযোগিতা করেন। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সকালে বেড়া খারুয়া চর থেকে চায়নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সাদ্দাম ইউপি সদস্য আকবর আলীর প্ররোচনায় আপন ভাতিজি চায়নাকে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এ নির্মম হত্যাকান্ডের অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন ও আকবর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা দু’জন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন কারাগারে
২০১২ সালের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তাকে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালত-৫ এর বিচারক আলরাম কাজী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তাঁর স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার এজাহারে ৪ নম্বর আসামি ছিলেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ মামলার রায়ে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ
বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে (৩৫) বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বন্দরের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১২ সালে আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস (২২) হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আযহা উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। শুক্রবার রাতেই তার বর্তমান কর্মস্থল কক্সবাজারের টেকনাফে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলা বন্দরের বাসিন্দা তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, আলাউদ্দিন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) লেখাপড়া করতেন এবং তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা হরতালের সময় বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস। কোন কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিৎকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজিৎ এর ভাই উত্তম দাস ঢাকার সুত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ জন আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।
২১ জন আসামির মধ্যে আট জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে আপিল করা হলে হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা এবং দুই জনকে খালাস প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪ নং আসামি ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রামে ইয়াবা উদ্ধার, পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৪
শিক্ষক হত্যা মামলা: খুলনায় ১৭ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনজীর আহমেদকে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ১ নং কলোনীর আনোয়ার হোসেন ও একই এলাকার আশরাফ আলী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর এ রায় ঘোষণা হলো।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার অন্য ছয় আসামির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, বাদশা শেখ, সোহেল, রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন মুকুল, আহাদ ও একেন্দার ওরফে এসকেন।
চার্জশিটের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত খুলনার মানুষ সব সময় চরমপন্থীদের আতঙ্কে দিন পার করত। এরই মধ্যে তারা মুনজীর মাষ্টারের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, ১৫ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
রংপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, ১৫ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন
রংপুরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৫ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
রবিবার (২৬ জুন) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রংপুর নগরীর এরশাদ নগর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আসাদুল ইসলাম, আউয়াল মিয়ার ছেলে রঞ্জু মিয়া ও কেডিসি রোড এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বাবু মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মামলার মূল আসামি বাবু মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ মে নগরীর তাজহাট টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন বস্তি থেকে রিকশাযোগে মর্ডান মোড়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী ( তৎকালীন বয়স ২৪)। পথে বাবু মিয়া ও তার সহযোগীরা রিকশার গতি রোধ করে তাকে তুলে নিয়ে নগরীর কৃষি খামারবাড়ি সংলগ্ন একটি জঙ্গলে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে বাবু মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম তদন্ত সাপেক্ষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রবিবার দুপুরে আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ২
রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
রংপুরে ২০০৪ সালে স্বামীর সামনে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রসিকিউশন অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে এক দম্পতি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাড়িতে ফেরার সময় আসামিরা পীরগঞ্জ উপজেলায় তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ওই নারীর স্বামীকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে লাঞ্ছিত করে।
এরপর দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে পীরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় এবং তৎকালীন অভিযুক্ত দুই আসামিকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এস আই) ইকবাল বাহার দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।