যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার হবিগঞ্জের নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (১) এর বিচারক সুদীপ্ত দাশ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনু মিয়া (৩০) বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি দিনমজুরের স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মনু মিয়া। বিষয়টি কাউকে জানালে তার স্বামী ও তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে এলে ঘটনার বিষয় জানায় ধর্ষণে শিকার গৃহবধূ। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মনু মিয়াকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে মনু মিয়াকে তার ভাই উস্তার মিয়া ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে এঘটনা দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি রাত ১টায় মনু মিয়া ওই গৃহবধূর বসত ঘরের সিদ কেটে প্রবেশ করে ভয় দেখিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নিজে বানিয়াচং থানায় মনু মিয়া ও উস্তার মিয়াকে আসামি করে এজহার দায়ের করে। তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় বাদীপক্ষের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করা হয়।
চট্টগ্রামে দুই বোনকে এসিড নিক্ষেপ, ভাই-বোনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে দুই বোনের ওপর এসিড নিক্ষেপের মামলায় আপন খালাতো ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, শারমিন ফারজানা লতিফ ওরফে সাকি (৩৩) ও তার ছোট ভাই মুহাম্মদ ইফতেখার লতিফ ওরফে সাদী (৩০)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তসলিম উদ্দিন বলেন, দুই বোনকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ভাই সাদিকে ৫০ হাজার টাকা এবং বোন সাকিকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার জয়নগর এলাকায় আপন দুই বোন-মুনতাহা কারিনা ও সালসাবিল তাসনিমকে লক্ষ্য করে এসিড ছুড়ে মারে। তাদেরই আপন খালাতো বোন শারমিন ফারজানা সাকি নিজের আগে বিয়ে ঠিক হওয়া এবং বোনের সৌন্দয্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ঘুমন্ত দুই বোন মুনতাহা কারিনা ও সালসাবিল তাসনিমকে এসিড মারে। এতে দু’বোনের শরীর এসিডে ঝলসে যায়। ঘটনার সময় দুই বোনের বয়স যথাক্রমে ২০ ও ১৬ বছর ছিল।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বাবা আনোয়ারুল মুবিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মোট সাক্ষী ছিল ২২ জন।
পড়ুন: জানিপপের চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাবিতে সংঘর্ষ: ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ জনের আগাম জামিন
চট্টগ্রামে দুই ভাই হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ (৩১ মে) মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত মহানগর পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ, বাদশা আলম, ফারুক মিয়া ও মো. সেকান্দর।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে পূর্বশত্রুতা এবং আধিপত্য বিস্তারের জেরে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া এলাকায় ইক্যুইটি রেডিমিক্স কারখানার ভেতরে নিয়ে হারুন ও তার ফুপাতো ভাই জাহিদুলকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় হারুনের বাবা মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় মামলাটি পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত মহানগর পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালতে রায় ঘোষণার সময় চার আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ এই মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হুমায়ুন কবির (২৪) হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান মন্ডল এই রায় দেন। এসময় অভিযুক্ত দণ্ডিতরা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
হত্যার শিকার হুমায়ুন কবির ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিংলাই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি মুদি দোকানদার ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণী আটক
মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ (১২ বছর) আগে ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট রাতে হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করে ইটভাটায় ইট চাপা দিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় পরদিন ২১ আগস্ট ফুলবাড়ী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম বাবু।
চাচা সাইফুল ইসলাম তার সম্পত্তি ভাতিজা হুমায়ুন কবিরকে লিখে দেয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেন চাচি নার্গিসের পরিবারের স্বজনরা। অভিযুক্তদের মধ্যে চাচির সহোদর রেজাউল করিম বাবু'র আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ১৬ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রেজাউল করিম বাবু, শরিফুর ইসলাম এবং আতোয়ার রহমান আতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করেন বিচারক। এছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে গোলাম রব্বানী, একরামুল, সাহেদ আলী এবং জাহাঙ্গীর আলমকে। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডিতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
ভারতে গণধর্ষণের দায়ে সাত বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুতে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে একটি বিশেষ আদালত সাত বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শুক্রবার বিশেষ আদালত আরও দুইজনকে যথাক্রমে পাঁচ বছর ও ২০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
গত বছর এ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্র থেকে দু’জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে অপরাধের জন্য ৯ মাসের সাধারণ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং অন্য একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে ।
এক আইনজীবী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলায় অভিযোগভুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জন ও ধর্ষণের শিকার নারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী।
গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয়। পরবর্তীতে, বেঙ্গলুরু পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্তকারীদের শহরে একটি আন্তঃসীমান্ত মানব পাচারের র্যাকেট বের করতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার, যশোরে নারীর যাবজ্জীবন
ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
ঝালকাঠির রাজাপুরে মেহেদী হাসান মনিব শুভ নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বুধবার বিকাল ৩টায় বরিশাল বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহামুদুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হল- জসীম খান, হেলাল ফকির, ফয়সাল ফকির ও বেলাল ফকির। তারা সকলে রাজাপুরের বড়ইয়া এলাকার বাসিন্দা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্পেশাল পিপি মামুন চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ রাতে বন্ধুর সঙ্গে পিকনিকের কথা বলে রাজাপুরের বড়ইয়ার এলাকার নিজ বাসা থেকে বের হয় নিহত শুভ। এরপর গভীর রাতে তার বাড়ির পেছন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তির পর শুভ তার বাবা আব্দুল্লাহ আল মাহাবুবকে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। রাজাপুর থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আনার পথেই মৃত্যু হয় শুভর।
এই ঘটনায় শুভর বাবা মাহাবুব বাদী দ্রুত বিচার আইন রাজাপুর থানায় ২৮ তারিখ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেন।২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজাপুর থানার ইন্সপেক্টর মো. মাঈনুদ্দিন ও আবুল কালাম আজাদ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। এসময় পাঁচ আসামিকে মামলা থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের মৃত হানিফ দর্জির ছেলে জুয়েল আহসান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ঠোটারপাড়া গ্রামের শুকুর মন্ডলের ছেলে আলমগীর এবং একই উপজেলার চরদিয়াড় গ্রামের মৃত শফি বিশ্বাসের ছেলে বজলু বিশ্বাস।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রিপল মার্ডার: কুষ্টিয়ায় ৩ আসামির আমৃত্যু, ৮ আসামির যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আলমগীর ও বজলু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ জুন বিকালের দিকে ভেড়ামারা উপজেলার ১২ দাগ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে আসামিদের প্রাইভেট কার থেকে ২১৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে হাইওয়ে ও বিশেষ অভিযানে দায়িত্বরত পুলিশ। এ ঘটনায় সেদিনই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এম এ কুদ্দুস। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) টেবিল ৩(খ) ধারার অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় দুজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ট্রিপল মার্ডার: কুষ্টিয়ায় ৩ আসামির আমৃত্যু, ৮ আসামির যাবজ্জীবন
প্রায় ১৩ বছর আগের কুষ্টিয়ার আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন আসামিকে আমৃত্যু ও আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের অনুপস্থিতিতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদরের পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সদ্দার, একই উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে কফিল উদ্দিন কালু ও শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়া সদরের করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকাম উদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরাল ওরফে নুরুল, একই উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মন্ডলের ছেলে খাকচার মন্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালে ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরের ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের দেওয়ালে সঙ্গে একটি চটের ব্যাগের মধ্য থেকে স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্য থেকে তাদের দেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিহত তিন ব্যক্তি ও আসামিরা সবাই জাসদ ও গণবাহিনী এই দুই দলের সদস্য।
কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার দুপুরে মামলার রায় দেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪) ও তসলিম উদ্দিন (৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু (৪১), মনির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪) এবং ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০)। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আট আসামিকে রায় শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামসুদ্দোহা রুবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারে শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীকে (২২) তার দোকানে আসামিরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে নিহত নুরনবীর বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিলেও আসামিরা তাতে সন্তষ্ট ছিল না। এরই জেরে আসামি রাশেদ নুরনবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তারই দোকানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি মামলার রায়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোখলেসুর রহমান ৯ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি চিলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এতে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আদালত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাতে এমন অন্যায় কাজ করতে মানুষ দ্বিতীয়বার ভাববে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ঘুষের মামলায় সহকারী প্রকৌশলীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নাটোরে মাদক মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ইসাহাক আলী। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
এবিষয়ে সরকারি কৌসুলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ইসাহাকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাত হাজার ছয়শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে লালপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ইসাহাকের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন