যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় মাদক কারবারি মো. কাদের বিশ্বাস (৪০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
আসামি মো. কাদের বিশ্বাস যশোরের চৌগাছার মোহাম্মদপুরের করিম বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) মো. আলমগীর সিদ্দিকী ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৯ সালের সদর উপজেলার সিতারামপুর সেতুর পাশে একটি বাস তল্লাশি করে আসামি মো. কাদের বিশ্বাসের কোমর থেকে তিন লিটার ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষে বিজ্ঞ বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার রায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সামসু মিয়া নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
মৃত সামসু মিয়া কালীগঞ্জ উপজেলার সেনপাড়া এলাকার জাফর আলীর ছেলে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের-২ সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের-২ সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ২০০৩ সালে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় সামসুর। ভোরে কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, সামসু মিয়া গ্রেপ্তারের পর ২০০৬ সালে তাকে কাশিমপুর কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩-এর বিচারক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
দণ্ডিত ব্যক্তি সবুজ মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা দহপাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় সবুজের বাবা-মাসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এপিপি আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সবুজ মিয়া তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারপিট করে বালিশ চাপায় গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কোহিনুরের বড় ভাই লিটন বাবু মামলা করলে ১১ বছর পর আদালত এই হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিনের দুই ছেলে জসিমউদদীন (৩৪) ও সালাউদ্দীন (৩৬) বহরা, গ্রামের আজিজুর রহমান উরফে ফরিদ মেম্বার (৫২), আক্তার মিয়া (৪৪) ও রফিজ উদ্দিন (৪৫)।
২০০৬ সালের ২১ মার্চ রাত অনুমান সোয়া ৯টায় কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড় থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আফজালুর রহমান (৪৮) বহরা গ্রামে তার বাড়িতে ফিরছিলেন।
তিনি ডরাছড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে আসামিরা জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সখিনা বেগম বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা করেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে আইনজীবী সাইফুল আলম বলেন, তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী তপন সিং।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বরুড়ায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায়ে দেন।
মো. শহিদুল্লাহ বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২৫ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যায়। তখন শহিদুল্লাহর সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাতের বেলায় শহিদুল্লাহকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এইসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এই ঘটনায় ২২ মে নিহত আসামির ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে অভিযোগ পত্র দেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
রংপুরের পীরগাছায় গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ব্রেলভী হোসেন সুমন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার রাধাকৃষ্ণ গ্রামের মোশাররফ হোসেন মানিকের ছেলে ব্রেলভী হোসেন সুমন এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
একপর্যায়ে ওই বাড়ির নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় গোপনে মোবাইল ফোনে গোসলের ভিডিও ধারণ করেন।
সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সুমন।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ধর্ষণের সময় বিষয়টি তাদের এক নিকটাত্মীয় দেখে ফেলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ওই বৈঠকে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান সুমন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি পীরগাছা থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়া পরে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ আগস্ট সুমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রায় চার বছর মামলার বিচারকাজ চলার পর রবিবার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মা জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজেদের বাড়িতে জবেদা খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে মুকুল হোসেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়।
এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার দিন রাতে মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরে জুলফিকার আলী মামুন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিহত জুলফিকার লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ঢাকা শহরে পান বিক্রি করতেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও জামাতা রাকিব হোসেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দুই আসামি জুলফিকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম। মামলায় নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও জামাতা রাকিব এবং সহযোগী হিসেবে শাহ আহাম্মদসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলায়েত উল্যাহ।
তিনি শাহিনুর ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ৩ নম্বর আসামি শাহ আহাম্মদকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !
নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নাটোরে একটি হত্যা মামলার রায়ে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, দণ্ডপ্রাপ্ত উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় জোসনা খাতুন উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন বেলাল।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনিসুর রহমান জানান, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার একটি আম বাগান থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে জোসনার ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র লাশের কাছে পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জোসনার স্বামী বেলাল। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক পলাতক বেলাল ও তার স্ত্রী জোসনাকে ওই দণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
নাটোরে ইসলামী আন্দোলন কর্মীর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ভোলা মণ্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
এ রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- আব্দুল মান্নান, সানোয়ার হোসেন শাহাজ হোসেন ওরফে ইদা, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, দুলু মিয়া, শাহাজাহান আলী, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব , আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, আনিসুর ওরফে আনিসুর রহমান, দেলোয়ার, রিয়াজ ওরফে রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল ওরফে রেয়াজ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা ও কুয়াতপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে ভোলা মণ্ডল টাকার বিনিময়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিতেন। গত ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতে আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। আসামিদের মারধরে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মণ্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন