যাবজ্জীবন
রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) নামে এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ধীরগঞ্জহাট রহমতপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে সাগরী বেগমের (২১) সঙ্গে বিয়ে হয় রফিকুল ইসলাম অপুর।
বিয়ের সময় আজিম উদ্দিন যৌতুক হিসেবে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর রফিকুল আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সাগরীকে চাপ দিতে থাকেন। সাগরী এতে রাজি না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় সাগরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত অপু।
এ ঘটনায় আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম অপু এবং তার মা, বাবা, ভাই ও ভাবিসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রায় পাঁচ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার এর রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন বিচারকাজ চলার পর স্বামী অপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কৃষক মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নিহত মানিক মিয়া চরআলগী গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া, লিঙ্কন, এমদাদুল হক, মাজেদুল হক ও রইসউদ্দিন।
তাদের মধ্যে শফিকুল পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই হোসেনপুরের সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে একই গ্রামের মানিক মিয়াদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াবিবাদ ও দরবার সালিস হলেও বিরোধ কমছিল না। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে কৃষক মানিক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের হাজিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। আসামিরা তাকে কুপিয়ে মরাত্মকভাবে জখম করে। পরে মুর্মূষু অবস্থায় তাকে গফরগাঁও উপজেলা হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুদিন পর ৪ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই আনিছুর রহমান সাতজনের নাম উল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যার ১৮ বছর পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সদরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম পর্যায়ক্রমে রায় দুটি ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার মা গীতা রানী মহন্ত।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ গৃহবধূ রুবি রানী মহন্ত ও তার বাবা তপন চন্দ্র মহন্তকে মারধর করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রুবির বাবা পালিয়ে বাঁচলেও রুবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় রুবির বাবার দায়ের করা মামলায় বিচারক রুবির স্বামী দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও শাশুড়ি গীতা রানী মহন্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তা বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর একই আদালত নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অপরাধে ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। ২০১২ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার জালাবাদ গ্রামের প্রতিবন্ধী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী গ্রামে যাওয়ার সময় মাঝখানের ফাঁকা মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করেন ওয়াজেদ। পাশের পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার ওয়াজেদ আলী। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুলের দুই কর্মচারী খুনের মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং কাজলশাহ এলাকার উজ্জ্বল মিয়া।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ এলাকার শাকিল আহমেদ।
রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ, এস এম তাপু মিয়া ও রাসেল আহমদকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত একজনের ভাই মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
সোমবার (৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে আসে।
পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিগ্রামের সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক ফয়সালকে একা পায় তারা। পরে তার পথরোধ করে নলকূপ স্থাপনের পাইপ বসানোর লোহার হ্যান্ডেল ও রড দিয়ে মাথায়-মুখে আঘাত করে।
এরপর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফয়সালকে হত্যা করে পাশের ইউসুফ হাওলাদারের দোকানের পেছনে লাশ লুকিয়ে রাখে। পরে ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় ঘাতকরা।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
পরে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেন। এঘটনায় আরও এক আসামি সৈয়দ মৃধা খলিলকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম।.
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই আসামিকে বিভিন্ন ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মহানগরীর কোতোয়ালী থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি আহমদ মিয়ার বাড়ির আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. হাছান। তিনি বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু মৃধা পাড়া জহির সওদাগরের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অপর আসামি আবু বক্কর খান রাজু ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জাহাঙ্গীর কলোনীর মো. আসসাফ আলীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার বারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামি হাছান ও রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাছান উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসি পরিচালনা করতেন।
২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিকশায় করে এসে চার ছিনতাইকারী তাদের উপর হামলা করে। এসময় কাজলকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাজলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী।
এদিকে কাজলকে বাঁচাতে তার ভাই উজ্জ্বলকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। এসময় দুই ভাইয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান।
এই ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা জজ আব্বাস উদ্দীন ও নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের সাহাদুলের ছেলে সাজাদুল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর মণ্ডলের ছেলে রব্বুল মণ্ডল, গোলাম মোস্তফার ছেলে রিপন মিয়া ও ফজলুলের ছেলে মাহাবুল। এর মধ্যে রব্বুল ও রিপন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার আওয়াল গাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রূপালীর সঙ্গে একই গ্রামের সাজাদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়।
২০০৯ সালের ২০ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি রূপালীকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে নদীর পাড়ে তাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়েরের পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রাম থেকে ১ হাজার ৪৫০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকের মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১৯ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাটির নিচ থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার জাহিদ খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খানজাহানআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে পথেরবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কামরুল হুদা নাঈম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর সাজা হওয়ার পর থেকে জাহিদ ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিলেন।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ পরিদর্শক পলাশ কুমার দাস জানান, জাহিদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান এবং ২০০৪ সালে যশোরের অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর লাশ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
জাহিদ হাসান ভারতে চার বছর পলাতক থাকেন। বাংলাদেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। সর্বশেষ তিনি পুনরায় খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় ভিন্ন একটি গ্রামে আত্মগোপন করে থাকেন এবং তার নিজের নামসহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করেন।
একইসঙ্গে বেশভূষার কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করতে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
ভারতে ‘পাচারকালে’ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নাটোরের এক গৃহবধূ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২