শাবিপ্রবি
দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭০'র নির্বাচনে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। আর একাত্তরে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই অপারেশন সার্চ লাইটের নামে মাটিতে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘দীর্ঘ নয়মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানিদের শেষ ষড়যন্ত্র ছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা। জাতিকে মেধাশূন্য করতে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পথ বেছে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ৯৫১ জন শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের জীবনদানকে নতুন প্রজন্মের উচিৎ কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা।’ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে স্বনির্ভরভাবে নেতৃত্ব দানে তরুণ প্রজন্মের সর্বদা কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: ‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবি হবে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাস: উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহম্মদ মহিবুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও চেতনা-৭১ এ মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য
পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য
মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাক্ষদর্শী হিসেবে বলব যে, পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা। মুক্তিযুদ্ধকালীন এই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে বর্বরতা-নিষ্ঠুরতা পাকিস্তানি আর্মিরা চালিয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: প্রসঙ্গ জেনোসাইড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, জেনোসাইডের কথা বললে, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী নির্মমভাবে গণহত্যার ছাপ রেখেছে। অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মাটির সঙ্গে মেশানোর চেষ্টা করেছে। এই গণহত্যায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক কাউকে বাদ রাখেনি। সবচাইতে বেশি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সারাদেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে সঠিক গবেষণার অভাবে এই হত্যাকাণ্ডের চিত্রগুলো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও সত্য ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা হচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি সত্য ইতিহাস জেনে বড় হচ্ছে।উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিরোধী ছিল, তাদের পরিবারের লোকেরাই আজকে দেশের উন্নয়নের বিরোধীতা করছে।বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে জেনোসাইড গবেষক হাসান মোরশেদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান। এছাড়াও সেমিনারের আহ্বায়ক ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার সরকার।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ’র উদ্বোধন
শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বিক সুবিধায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রশাসন।
মশা নিরোধের উদ্যোগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশা নিরোধের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। মশার উপদ্রব কমানোর জন্য ফগার মেশিনে নিয়মিত ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। মশা নিধনের জন্য আরও কিছু ফগার মেশিন ক্রয় করারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মসজিদে নামাজের স্থানের অপ্রতুলতার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে এবং তা নিরসনে ইতোমধ্যে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নামাজের জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদসহ তিনটি মসজিদ রয়েছে। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এ ছাত্রদের হল এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে। উক্ত এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট ৩২০০ বর্গমিটারের একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। মসজিদ নিমার্ণের জন্য ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। মসজিদ নির্মাণ শুরু করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
ক্যাম্পাসে টং দোকান, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, ক্যাম্পাসে টং দোকানের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এবং ঝড়-বৃষ্টিতে টং দোকানগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়াসহ তিনটি ফুডকোর্ট এবং হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় তিনটি খাবারের দোকান ইতোমধ্যে চালু আছে। কর্মচারীদের জন্য স্বল্প পরিসরে ১টি স্টাফ ক্যান্টিনও চালু করা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে আইআইসিটির ভবনের ক্যান্টিনও চালু করা হবে।
ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে উপযুক্ত স্থানে শীতকালীন ছুটির পরে আরও কয়েকটি ফুডকোর্ট চালু করা হবে। শীতকালীন ছুটির পর নতুন পুরাতন সবক’টি খাবারের ফুডকোর্ট ও ক্যাফেটেরিয়া চালু হলে স্বল্প মূল্যে খাবার পরিবেশন নিশ্চিত হবে। ফলে সব উৎকন্ঠার অবসান হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে উপযুক্ত স্থানে শীতকালীন ছুটির পরে আরও কয়েকটি ফুডকোর্ট চালু করা হবে। শীতকালীন ছুটির পর নতুন পুরাতন সবক’টি খাবারের ফুডকোর্ট ও ক্যাফেটেরিয়া চালু হলে স্বল্প মূল্যে খাবার পরিবেশন নিশ্চিত হবে। এছাড়া সবক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব এবং তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তাই সারা বিশ্বের মতো করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখতে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবি হবে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাস: উপাচার্য
শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ’র উদ্বোধন
শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ’র উদ্বোধন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাবি প্রেসক্লাব’র উদ্যোগে ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ-২০২১’ শুরু হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করছেন।
রবিবার দুপুরে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় আমরা ভালো করতে পারলে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের মধ্যে যে মেলবন্ধন তৈরি হবে তা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সফলতাসহ বিভিন্ন অবদান দেশের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে শাবি প্রেসক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহের আয়োজন করায় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লা আল মাসুদ এর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহসিন আজিজ খান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিবুল আলম, প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান খান, প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট জায়েদা শারমিন, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর অতিরিক্ত পরিচালক ইশরাত ইবনে ইসমাইল, সহকারী প্রক্টর শফিউল হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সজিব কুমার মহন্ত, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, শাবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি তাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল, শাবি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রাজীব হোসেন, কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম রুদ্র, হাসান নাঈম, রাশেদুল হাসান ও স্পোর্টস সাস্টের সাধারণ সম্পাদক শাফায়েত জামিল সৌরভসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
পড়ুন: ‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবি হবে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাস: উপাচার্য
‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবি হবে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাস: উপাচার্য
শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘টোটাল সাস্ট’ প্রকল্পে শাবিপ্রবিকে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাসে পরিণত করার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।রবিবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিষয়টি জানান উপাচার্য।প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘তথ্য ও প্রযুক্তি সেক্টরের কাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতোমধ্যে আমরা সিলেটের আইটি পার্কে ৪০০০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ নিয়েছি; যার লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা ও গবেষণায় উদ্ভাবনী কাজ করা। ক্যাম্পাসে একটি ইনোভেশন হাব তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া শাবিপ্রবিকে পেপারলেস ডিজিটাল ক্যাম্পাসে পরিণত করতে ‘টোটাল সাস্ট’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধু প্রতিষ্ঠার দিক থেকে প্রথম নয়, ইনোভেশনসহ সব কাজেই আমরা প্রথম।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাউপাচার্য আরও বলেন, ‘এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রমকে সফল করতে ভূমিকা রাখবে। আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সব ধরণের উদ্ভাবনী কাজে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ‘মোবাইল গেইম অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’র পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের গেম ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। সেখানে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বিজনেস হয়। এতে আমাদের অংশগ্রহণ এখনও আশানুরূপ নয়। সরকার এজন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ার জন্য কাজ করছে। আশা করি, শাবিপ্রবির তরুণরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মুমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (আইআইসিটি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শাবিপ্রবির গেম ডেভেলপমেন্ট ল্যাবের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ফরহাদ রাব্বী ও শেডো হোয়াইট এনিমেশনের সিইও ফয়সাল আহমেদ।সাস্ট এসোসিয়েশন অব কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম) স্টুডেন্ট চাপ্টার এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণে সহযোগিতায় ছিলেন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান মার্স সলিউশন লিমিডেট ও শেডো হোয়াইট লিমিটেড।
শাবিপ্রবিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টার থেকে কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথমদিন টিকা নিয়েছেন ৩৪০ জন শিক্ষার্থী।বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন, আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন ৩৪০ জন শিক্ষার্থী। রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আগে আসলে আগে পাবে ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। যারা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন দিয়ে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা সবাই টিকা নিতে পারবেন। তবে ১৪ নভেম্বর যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের একমাস পূর্ণ না হলে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে না।উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ওইদিন থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী টিকা নেন। পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর বিশেষ ব্যবস্থায় আরও ৩১৭ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণের প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
পরিবেশ দূষণরোধে প্লাষ্টিকের যথাযথ ব্যবহারে উদ্দেশ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইডেন অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সহযোগিতায় সারাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শাবিপ্রবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইভেন্ট রিপ্রেজেন্টটেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিউল হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারিকর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো.শফিকুল ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার, প্রভাষক মিজানুর রহমান, প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিংশ শতাব্দীকে বলা হয় প্লাস্টিকের যুগ। এই প্লাস্টিক একটি অপচনশীল উপাদান। বর্তমানে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রী শেষ গন্তব্য হয় জলাধারে, নদী আর মহাসাগরে যা জলজ প্রাণীর ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতির জন্য, জীববৈচিত্র্যের জন্য, সর্বোপরি মানুষের শরীরের জন্য প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকর নিত্যনতুন গবেষণায় তা বেরিয়ে আসছে। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয় এইজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান হলেন অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ডি’এর অর্থনীতি বিভাগের গবেষণা কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিদায়ী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জোয়ার্দার এবং নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহতদায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। আমাদের এইসব শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি গবেষণার মান অনেক ভালো। আশা রাখছি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নতুন বিভাগীয় প্রধান আরও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, বিভাগীয় প্রধান পদটি আমার জন্য একটি নতুন সংযোজন। এই বিভাগটি আমার। বিভাগের সার্বিক কল্যাণের জন্যে আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো। এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা ও দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরুউল্লেখ্য, অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে শাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শাবিপ্রবি ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রায় দুইবছর শিক্ষকতা করেন।
অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, দুইবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে শাবিপ্রবির ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বেও কর্তব্যরত আছেন।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
আহত সায়মা আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, শনিবার রাতে ট্রেনে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছান সায়মা আলম। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পৌঁছানোর পর সিলেট নগরীর বিজিবি গেইট সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকায় ছিনতাইকারী তার বাম পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ওসমানী মেডিকেলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর বলেন, ‘রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমীন আমাকে দুর্ঘটনার খবরটি জানান। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম দ্রুতই ব্যবস্থা নেন। আহত শিক্ষার্থীকে দ্রুতই ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা সশরীরে তার খোঁজ খবর নিয়েছি। সে এখন সুস্থ আছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধনের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
প্রক্টর জানান, এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
দীর্ঘ সাতমাস বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় টেকনাফের দমদমিয়া থেকে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন জেটিতে পৌঁছে। জাহাজ থেকে নামতেই পর্যটকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দারা।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মৌসুমের শুরুতে কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজ কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন্স- টেকনাফ নৌরুটে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ জাহাজে করে প্রথম দিন ৩১০ জন যাত্রী সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছেন এবং তারা বিকালে যথারীতি সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের উঠা-নামার সুবিধার্থে দ্বীপের জেটি সংস্কার করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে এ পথে চলাচলকারী অন্যান্য জাহাজও অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রতীরে ডলফিনের খেলা, বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে পর্যটকদের
এদিকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের খবরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা টেকনাফ ছুটে আসেন। কিন্তু প্রথম দিন একটি মাত্র জাহাজে ধারণ ক্ষমতার কারণে অনেক পর্যটক টিকিট না পেয়ে প্রবাল দ্বীপে যেতে পারেননি।
তবে প্রথম দিনে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সুযোগ পাওয়া পর্যটকদের খুশির শেষ নেই। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী তাবাসসুম জান্নাত বলেন, ‘কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরুর খবর পেয়ে পরিবারের সবার সাথে চলে এসেছি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। প্রবাল দ্বীপের সৌন্দর্য্য উপভোগ করবো সবাই।’
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আসার খবরে দ্বীপের হোটেল মোটেলগুলো আগে থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। পর্যটন শিল্পে যুক্ত ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের সেবা দিতে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে যাদের জীবন জীবিকা পর্যটক নির্ভর তারা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, মৌসুমের প্রথম দিনে দ্বীপে আগত পর্যটকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেছি। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া কোথাও যেন পর্যটকরা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ায় প্রথমদিনে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাত্রা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না এবং যাত্রীদের কাছ থেকে টিকেটের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হচ্ছে না। আমরা চাচ্ছি পর্যটকরা দ্বীপে আসুক, ভ্রমণ করার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিক। অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে আরও বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: বগালেক, দার্জিলিং পাড়া হয়ে কেওক্রাডং মানেই হারিয়ে যাওয়া রূপকথার রাজ্যে