শাবিপ্রবি
নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে এই টাকা বুলবুলের পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ জায়গায়ই ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশিন ক্যামেরা (সিসিটিভি) আছে। যেসব জায়গায় এখনও ক্যামেরা নেই দ্রুত সেসব জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে।
এ সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অতি দ্রুতই এই হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
এই হত্যার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
পড়ুন: শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় ৩ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে: পুলিশ
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় ৩ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে: পুলিশ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যা মামলায় তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন কামরুল হোসেন (৩০)। কামরুল টিলারগাঁওয়ের গোলাপ মিয়ার ছেলে। তিনি আশপাশের এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় অভিযুক্ত কামরুলকে সঙ্গে নিয়ে টিলারগাঁও এলাকায় তার বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় কামরুলের ঘরের সানসেটের ভেতর থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (চাকু) ও নিহত বুলবুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা জোর তদন্তে নামি। তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহজনক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করি। তার মধ্যে একজন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও দুজন জড়িত থাকার তথ্য দেন। এই তিনজনকে ব্যাপকভাবে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই।
আজবাহার আলী বলেন, গ্রেপ্তার কামরুলকে নিয়ে তার বাড়িতে আসলে তার দেখানো মতে বুলবুলের মুঠোফোন উদ্ধার ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে কেন বুলবুলকে হত্যা করেছে, তাদের কি উদ্দেশ্য ছিল, মূল মোটিভ ছিল কি, আরও কেউ জড়িত কি-না, কার সম্পৃক্ততা কতটুকু বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।
গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ (২২)। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্ধুদের নিয়ে টিলায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতকারীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে বুলবুল নিহত হন। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে বুলবুল মারা যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের সঙ্গে থাকা নারী বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দুর্ঘটনাস্থল গাজী কালুর টিলা জায়গায় ওই নারীকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে চারটায় নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোডের যাত্রী ছাউনী থেকে উদ্ধার করে তাকে।
বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের বরাতে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, বিকাল চারটার দিকে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালে তিনি তার রুম থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় রুমে ফিরে না আসায় তার রুমে থাকা সহপাঠীরা আশেপাশে খুঁজে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায় তিনি এক ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেছেন ও খতিয়ে দেখতে পুলিশকে অবগত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এবং সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের 'নিউজিল্যান্ড' নামক টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. বুলবুল আহমেদের নিহতের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্ধুদের নিয়ে টিলায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে বুলবুল নিহত হন। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে বুলবুল মারা যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়।
তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা।
পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী নিহত
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী নিহত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এলাকায় ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশ্ববর্তী ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকালে বুলবুল ও তার বন্ধুরা নিউজিল্যান্ড এলাকায় ঘুরতে যান। ওই একই এলাকায় ঘুরতে যাওয়া অন্য শিক্ষার্থীরা ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন তিন সদস্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ‘বুলবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন এবং সেখানে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে ইতিমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে এই প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
ঈদের ছুটিতে হলে অবস্থানরত ইসলাম ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রীতিভোজের আয়োজন। প্রীতিভোজে শাবিপ্রবির ৫টি আবাসিক হলের অন্তর্গত শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ হলের বিভিন্ন স্টাফ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অমিত সাহা বলেন, বাড়ি ছেড়ে ক্যাম্পাসে আমার প্রথম ঈদ উদযাপন। পবিত্র ঈদের দিনে প্রশাসনের এতো সুন্দর একটা আয়োজন আমাদের জন্য আনন্দঘন ছিল। এছাড়াও শিক্ষকদের আমাদের প্রতি আন্তরিকতায় মনে হয় নাই যেন পরিবারের বাইরে ঈদ কাটানো হচ্ছে। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই শাবিপ্রবি প্রশাসনকে যে এতো সুন্দর একটা আয়োজন এর জন্য।
প্রথম ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাত জানান, পবিত্র ঈদুল আযহায় বিভিন্ন কারণে অনেকেই আমরা বাড়িতে যেতে পারি নাই। অনেকের বাড়ি দূরে হওয়ায় এবং ঈদের পরপরই আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো আবার শুরু হবে। ক্যাম্পাসে এই আমার প্রথম ঈদ। আমরা যারা বাড়িতে যেতে পারিনি তাদের মন খারাপ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মন খারাপের মাঝেই যাতে আমাদের একটু হলেও ভালো লাগে এর জন্য কর্তৃপক্ষ আমাদের পাঁচ হলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন করেন যা নিঃসন্দেহে অনেক প্রশংসনীয়। আমরা সবাই মিলে ঈদের দিনে একসাথে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া তে খাওয়া দাওয়া করি। ধন্যবাদ শাবিপ্রবি প্রশাসনকে এতো সুন্দর একটা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে একটু হলেও ঈদের পারিবারিক আনন্দ এনে দেয়ার জন্য।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগেই আমরা প্রতিটি হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সাথে মিটিং করি। ঈদের ছুটিতে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে এই বিষয়টি মাথায় রেখেই শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রীতিভোজের আয়োজন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে তাদের বাড়িতে যেতে পারেনাই এই ঈদের ছুটিতে। ক্যাম্পাসে এই আয়োজনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি পারিবারিক ঈদ আনন্দ ভাগ করে নেয়ার সকলের সুযোগ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সতঃস্ফূর্ত ও আনন্দের সাথে এই ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছে।
পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
যাত্রাপথে ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনন্দ নেই: বিএনপি
শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন তিন সদস্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন তিন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ইউনুস আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজ্জাদুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আশিকুজ্জামান, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান সৌরভকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁহারা বিধি মোতাবেক দায়িত্বভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে নতুন তিন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় আটকে পড়া শাবিপ্রবি ছাত্রীদের উদ্ধারে বিজিবি
আকস্মিক বিপর্যয় সামলে উঠেছে শাবিপ্রবি
কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
মধ্য রাত থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোড, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, মেয়েদের দুই হল, প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। আর যেসব জায়গায় কোমড় পানি ছিল তা এখন হাঁটু পানিতে চলে এসেছে।
শিক্ষাভবন ‘বি’, চেতনা-৭১’র সামনে, শিক্ষক কোয়ার্টারের সড়ক, সিরাজুন্নেসা চৌধুরি হলের সামনে হাঁটু পানি রয়েছে। তাছাড়া আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক। তবে পানি কমে গেলেও চারপাশের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও দুর্গন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
মেয়ে শিক্ষার্থী যারা হল ছাড়তে পারিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকৃত হোস্টেল আমির ও ফজল কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ইতোমধ্যে বন্যার পানি অনেকটা নেমে গেছে। আজকে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এই পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকছে কিনা তার জন্য কমপক্ষে আরও দুই দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আমরা চারদিকে খোঁজখবর রাখছি। সবাই চারদিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে। হলের চারপাশের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছনতার পরেই শিক্ষার্থীদের হলে উঠার আহ্বান জানাবো।
আরও পড়ুন: বন্যায় আটকে পড়া শাবিপ্রবি ছাত্রীদের উদ্ধারে বিজিবি
গত ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বন্যার পানির কবলে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ সকলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বন্যায় আটকে পড়া শাবিপ্রবি ছাত্রীদের উদ্ধারে বিজিবি
বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। চারদিকে পানিবন্দি হয়ে আবাসিক হলে আটকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় আবাসিক হলে অবস্থানরত ছাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকালে জকিগঞ্জ-১৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির তিন টনের দুটি ট্রাক ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছায়।
১৯ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে দুটি ট্রাকে ২০ জন বিজিবি সদস্য মালামালসহ ছাত্রীদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল থেকে মালামালসহ ছাত্রীদের ট্রাকে করে গোল চত্বরে নিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। সেখান থেকে বাসস্ট্যান্ডগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রীদের তুলে দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
বন্যা পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) সকল ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, টানা ভারী বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও বন্যার পানির কবলে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকলের সর্বিক নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে শুক্রবার সকালে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হেয়েছে। আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
সিলেটে ২৯০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা