শাবিপ্রবি
শাবির প্রক্টর আলমগীর কবিরকে অব্যাহতি
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবার সরিয়ে দেয়া হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রক্টর আলমগীর কবিরকে।এই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে।বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে সই করেছেন রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে প্রক্টরের পদ থেকে আলমগীর কবিরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীন
শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনা পারভীন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রথম নারী ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ আদেশ তার যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ চলাকালে স্প্লিন্টার লাগায় অসুস্থ রয়েছেন অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছুটিও চেয়েছেন।
অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল অফিসে যাওয়ার পর কখন যোগদান করবো তা নিশ্চিত করবো।
আরও পড়ুন: সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ দাবি মেনে নেয়া সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শাবিপ্রবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর কাজটা অন্যরাও করতে পারতেন যেটা জাফর ইকবাল করেছেন। তিনি একজন পুরোনো অধ্যাপক। তাঁকে ধন্যবাদ। ছাত্ররা তাঁর কথা মেনে নিয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেয়া।’
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ বডির পদত্যাগসহ তিন দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা সাতদিন অনশনও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন শিক্ষার্থীরা। পরে বুধবার সকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাদের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা অপরাধ করেননি উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
এছাড়া এ ঘটনার পর পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সেখানে যাওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সমস্যা শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে তিনি বলেছেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ ভিন্ন বিষয়।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে গভর্নমেন্ট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ভিসি চলে গেলে আরেকজন ভিসি আসবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা থেকে গেলে তাদের কোনো লাভ হবে না। তাই সমস্যার সমাধান করা দরকার।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবির এই পুরো বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকটা দিন তাদের সঙ্গে নানাভাবে আমরা সম্পৃক্ত থেকেছি। নানা ভাবে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অনশন যারা করছিলেন এবং যারা আন্দোলন করছিলেন সবাই মিলে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি- আমাদের যে শিক্ষার্থীরা যারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে রয়েছে সেটি তারা তুলে নিবেন এবং আন্দোলনের ইতি এখানেই টানবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থে এখন আর আন্দোলন করবেন না শিক্ষার্থীরা। তবে তারা যে অর্থে আন্দোলন করেছেন সেই কারণগুলো আমরা অ্যাড্রেস করব এবং সমাধান করব। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার সবাই একপক্ষ। এখানে দুই পক্ষ বলে কিছু নেই। আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। তারা একটু গুছিয়ে উঠুক। যারা আন্দোলনের কারণে অসুস্থ হয়েছে তারা সুস্থ হয়ে উঠুক। কিছুদিন পর আমরা সেখানে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা চাইলে আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে পারি। ’
এসময় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবিতে যে সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তা যৌক্তক।কিন্তু এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একটি দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করবো। তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, আমরাও তাদের আস্থার প্রতিদান দিব। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আন্দোলন ভাঙচূরসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখানে তেমন কিছু ঘটেনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে গত সাত-আটদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এ জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কারণ ও সমস্যা সকল বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এতে যেই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু সমস্যা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। আমরা তা খুঁজে বের করে সমাধান করার সুযোগ পেলাম। সবাই মিলে সেসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
যে সমস্যাগুলো নিয়ে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সে সমস্যা কিন্তু শুধু শাবিপ্রবির একার নয় বলে মন্তব্য করেন
শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও একই সমস্যা রয়েছে। আমাদেরকেই মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সুষ্ঠুভাবে চলে, যেন সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে সেটি আমাদের জন্য জরুরি। শুধু শাবিতে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনসহ নানা ধরনের সংকট রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা হবে। আমরা চাই সকল সমস্যা সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে। শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। আমরাও তাদের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যাব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি শাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর নামে মামলা হয়েছে। তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো যদি কেউ আটক থাকে তবে সেটি আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমাধান করবো। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য
উপাচার্যকে সরানো হবে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একজন উপাচার্যকে সরালে আরেকজন উপাচার্য আসেন। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ পান। তাই তাকে সরাতে হলে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাকে রাখা হবে না সরানো হবে সেটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সকলের প্রচেষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো হয়েছে। আমরা আশা করি তারা তাদের অবরোধ তুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন। এ জন্য বর্তমান সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। একটি দুঃখজনক। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনশনের অষ্টম দিন আজ সকালে অনশন ভেঙেছেন। তারা অনশন ভেঙেছেন, এ কারণে তাদের সাধুবাদ জানাই।যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা তাদের সকল দাবি বাস্তবায়ন করব। যে বা যারাই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘যে কারণে আন্দোলন করেছে সে সকল দাবির পক্ষে আমরা সমস্যার সমাধান করব। আমরা আনন্দিত সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবেন’ তিনি আরও যোগ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা যখন চাইবে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে। তারা চাইলে আমি সিলেটে যেতে পারি। অনশন ভেঙেছে। এখন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ করা হবে। শুধু শাবিপ্রবিতে নয়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসন হলসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় কিছু মামলা হয়েছে, পেছনে যা কিছু ঘটেছে থাকবে না। তাদের কোনো কিছুতেই এর কোনো প্রভাব থাকবে না। মামলা থাকবে না। সমস্যার যখন সমাধান হচ্ছে, যারা এগুলো করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো।
উপাচার্য থাকলেন কি থাকলেন না এতে তাদের সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা সমস্যা সমাধান করবো। এটার তো অন্য পদ্ধতি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা দেখবো আমাদের পক্ষে কি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
জামিন পেলেন শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে টাকা দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সিলেট মহানগর মেট্রোপলিটন-২ আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া এই জামিন আদেশ দেন।জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান।ি
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
শাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় সোমবার ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের বিশেষ দল। মঙ্গলবার তাদেরকে সিলেটে আনা হয়।সিলেটে আনার পর নগরের জালালাবাদ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।শিক্ষার্থীরা হলেন- হাবিবুর রহমান স্বপন, রেজা নূর মঈন দীপ, নাজমুস সাকিব দ্বীপ, এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে অবস্থান কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বুধবার বেলা ১২টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি রাহুল দাস, সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাকিন, সদস্য নুসরাত জাহান মীম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সুজয় শুভ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সদস্য জয়দেব সাহ প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন উপচার্য নির্বিচারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তার পদত্যাগের জন্য আজ শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তখন শিক্ষকদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল যে, খবরদার! তোমরা এটা করতে পারবা না। একজন শিক্ষকও সেটা করেননি। একজন শিক্ষকের এরকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাশিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সমস্ত তরুণ প্রজন্ম তোমাদের পেছনে। সমস্ত মানুষজন তোমাদের পেছনে। তোমরা সুস্থ হও। উদাহরণ তৈরি করো। যে উদাহরণ বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করবে।’শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘দানব’ বলেছেন। সেই ‘দানবের’ কাছে আপনারা শিক্ষার্থীদের রেখে যাচ্ছেন। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শুনেন, ছাত্রদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। কে, কাকে, কার কাছে রেখে যাচ্ছি, সেটা সময়েই বলে দেবে।’উপাচার্যের অপসারণ সংক্রান্ত দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন দাবিদাওয়া মেনে নেবেন বলেছেন, তখন দাবির মধ্যে এই দাবিটাও তো পড়ে। কিন্তু সরকারেরও তো নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য তাদের হয়তো একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সেলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, ওদেরকে অনশন থেকে বের করতে পারি কিনা।’আন্দোলনে বহিরাগতদের কোনো ইন্ধন ছিল বা আছে কিনা, এরকম এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি দেখেছি যে, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কোনো উচ্চভিলাষ নাই। পুলিশ ওদের গায়ে এরকম নির্মমভাবে হাত তুলেছে, কাজেই ওদের মনের ভেতর একটা ক্ষোভ হয়েছে, সংঘত কারণেই। সেজন্যই তারা এই আন্দোলনটা করছে। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র বাড়াবাড়ি নাই, অহেতুক কোনো দাবি নাই। ওদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক দাবি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিউপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে যখন নাকি অবসরে চলে যাই, তখন একটা চিঠি লিখে উনাকে দিয়ে যাই। সেই চিঠিতে আমি বলে দিয়েছিলাম অনেকগুলো। আমি সেখানে লিখেছিলাম স্পষ্ট করে, আপনি যদি এগুলো না করেন, ছাত্রদের এখন যে ক্ষোভ আছে, তা বিক্ষোভে রূপ নেবে। একদম অক্ষরে অক্ষরে আমার কথাটা ফলেছে।’‘মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ অভিহিত করে শিক্ষার্থীরা একে ‘তালেবানি সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা তো অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কাজগুলো বন্ধ হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রেংথ ছিল, আমাদের এমন কোনো সংগঠন নাই যেটা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। সেটা যখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তখনই বোঝা গেছে, এই মানুষটা আর যাই হোক, উনি একাডেমি বুঝেন না।’শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোর চারটায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এর অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পানি খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান। টানা সাতদিন ধরে অনশন করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। আন্দোলনরত ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মুখে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙানো হয়।বুধবার ভোর ৪টার দিকে ড. জাফর ইকবাল দম্পতি ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিক্যাম্পাসে এসে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
‘১০ হাজার টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কি না। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’
শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
শাবিপ্রবির ছাত্র আন্দোলনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানায় ওই মামলা করা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
এর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শাবিপ্রবি'র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলেন সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। সেখানে তিনি আধাঘণ্টা অবস্থান করেন। এসময় এমপি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি নেই। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে আসেন সব সমস্যা সমাধানে। তিনি চাইলেই এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।’শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল