দারাজ
বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই রেকর্ড সংখ্যক সি২৫ওয়াই বিক্রি করে নতুন রেকর্ড গড়লো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। দারাজের ক্যাম্পেইনে মাত্র পাচঁ মিনিটেই চার হাজার ইউনিট রিয়েলমি সি২৫ওয়াই বিক্রি হয়েছে।
৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, পাচঁ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি ও ১৮ ওয়াট কুইক চার্জার সমৃদ্ধ চমৎকার এ ফোনটি ব্যবহারকারীদের দিবে নিরবচ্ছিন্ন স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। এ ফোনে আছে শক্তিশালী ইউনিসক টি৬১০ প্রসেসর, ৪জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা।
ক্রেতারা এ ফোন কিনতে পারবেন মাত্র ১৩ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রিয়েলমি সি২৫ওয়াই টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়েবিলিটি সার্টিফাইড স্মার্টফোন। ২০টিরও বেশি এক্সট্রিম টেস্ট উত্তরণের পর এই সার্টিফিকেট পেয়েছে স্মার্টফোনটি।
রিয়েলমি সি২৫ওয়াই কেনার জন্য নিকটতম রিয়েলমি ব্র্যান্ড শপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন -https://cutt.ly/realme_Brand_Shop
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি নিও ২
বাংলাদেশে জিটি সিরিজের সেরা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
প্রতারণা এড়াতে আসল ওয়েবসাইট ভিজিটের আহ্বান দারাজের
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেবা প্রদানে নতুন রেকর্ড করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শপিং ডে’তে অংশগ্রহণ করতে পাঁচটি দেশে দারাজের প্ল্যাটফর্মে ভিজিট করেছে এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ক্রেতা।
দেশ পাঁচটি হলো: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার।
ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের বিক্রির তুলনায় ১৫০ শতাংশ বেশি।
দারাজের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বিয়ার্কে মিকেলসেন এ বিষয়ে বলেন,‘আজকের সফলতায় আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে,ক্রেতারা দারাজ থেকে কেনা পণ্যের গুণগত মানের ওপর আস্থা রাখেন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। একইসাথে,এর মাধ্যমে এসএমই ব্যবসায়ীরা কীভাবে অনলাইনে তাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন,সে বিষয়টিও উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন,‘এ পাঁচটি বাজারের ছোট-বড় সকল শহরের আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছেন,যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। এর মাধ্যমে এটিও বোঝা যায় যে,এ অঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ই-কমার্স পৌঁছে গেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
ক্যাম্পেইনের প্রথম অর্ডার ডেলিভারি হয়েছে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এবং আড়াই লাখ অর্ডারের পণ্য ইতোমধ্যে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ক্রেতাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরে মিকেলসেন বলেন,‘এবারের ১১.১১ সেলে আমরা আরও উদ্ভাবনী ও পার্সোনালাইজড ক্রেতা অভিজ্ঞতা প্রদানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিক্রির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে ইতিবাচক ফিডব্যাক পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
এ সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন,‘এমন অভাবনীয় সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সারাদেশ থেকে মানুষ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আস্থা রাখার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দারাজ সবসময় ক্রেতা-কেন্দ্রিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ক্রেতাদের মানোন্নয়নকে আমরা প্রাধান্য দেই। এজন্য ক্রেতাদের অর্ডার করা পণ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি আমি দারাজের সকল কর্মী,বিক্রেতা,ডেলিভারি কর্মী এবং এ ক্যাম্পেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের সহায়তায় জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
২ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি পণ্যে বিশেষ ছাড় দেয়ার মাধ্যমে ক্রেতাদের চমৎকার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে দারাজের ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও আলীবাবা গ্রুপের অঙ্গসংগঠন দারাজ বাংলাদেশ এ বছর চতুর্থবারের মতো আয়োজন করলো এই ১১.১১ ক্যাম্পেইন।
পুরো বিশ্বের পাশাপাশি বৃহত্তম এই শপিং ফেস্টিভালটি দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশ যথা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মিয়ানমার ও পাকিস্তানে আয়োজিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১.১১ ক্যাম্পেইনের আওতায় দারাজ বিভিন্ন রকমের ভাউচার, সেরা ডিল, ফ্ল্যাশ সেল এবং অন্যান্য অনেক আকর্ষণীয় ফিচার উপভোগের সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল রাত ১২ টায় চ্যানেল আই এর ‘দারাজ ১১.১১ শো’ তে এই ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখযোগ্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে মিস্ট্রি বক্স, সারপ্রাইজ ভাউচার, শেক শেক, সেলার ডাবল টাকা ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেল এবং ১১’ও ক্লক ডিল।
১১.১১ এর সবচেয়ে সেরা পাঁচটি ডিল - ১৪,৯১৮ টাকায় রিয়েলমি সি২৫এস – ৪ জিবি/১২৮ জিবি, ১১,৯৯০ টাকায় অ্যামাজফিট জিটিএস ২ স্মার্ট ওয়াচ, ২৪,৪৯০ টাকায় শার্প ওয়াশিং মেশিন, ৫৩,০১০ টাকায় শার্প (SJ-EK341E) টপ মাউন্ট রেফ্রিজারেটর- ২৭২ লিটার সিলভার, ৭,৯০০ টাকায় স্যামসাং মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
আরও পড়ুন: দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
পেমেন্ট পার্টনার ছাড়
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ক্রেতারা পেমেন্ট পার্টনারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা উপভোগের সুযোগ পাবেন। এ বছরের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘বিগত সকল বছরে দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আমরা অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছি। আমরা আশাবাদী যে, এবারের ক্যাম্পেইনটিও আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। এই বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ছাড়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের চমৎকার অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবো বলে আশা করছি।’
ক্যাম্পেইনের ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে থাকছে এপেক্স, ডেটল, এস্কয়ার ইলেকট্রনিক্স, লাক্স, রিয়েলমি এবং স্টুডিও এক্স। প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে বাটা, ডেকো, ফ্যাব্রিলাইফ, হারপিক, লোটো, মোশন ভিউ, পিঅ্যান্ডজি এবং প্যারাসুট ন্যাচারালে শ্যাম্পু। ক্যাম্পেইনের গোল্ড স্পন্সর হচ্ছে ব্রুনো মোরেটি, ফ্যানটেক, ফোকাল্যুর, গোদরেজ, হায়ার, লি কুপার, লজিটেক, রিবানা, রঙন হারবাল, এসএসবি লেদার, টিপি-লিংক এবং ট্রান্সসেন্ড। এছাড়াও, ক্যাম্পেইনের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিঞ্জ, এক্সট্রা গিফিট কার্ড, ট্যুরিজন, নভেম ইকো রিসোর্ট, রবি এলিট, মাইজিপি ও মাইবিএল।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজের একদিনের বৃহত্তম অনলাইন মেলা ১১ নভেম্বর
ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
চার শতাধিক কাস্টমার অ্যান্ড পার্টনার সাপোর্ট এক্সেকিউটিভ নিয়োগসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ (১১.১১) এর প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ সহায়তা মধ্যে দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
এবিষয়ে দারাজের চিফ কাস্টমার অফিসার ফারহানা রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আমাদের সিগনেচার সেল ক্যাম্পেইনে আমাদের ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের সকল চেষ্টা করছি। এ বছরের ১১.১১ -এ, আমরা আমাদের ক্রেতাদের সহজ ও আনন্দদায়ক কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নতুন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে, আমরা আমাদের এই বহুল প্রত্যাশিত ইভেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ঝামেলামুক্ত ডেলিভারি, অভিযোগের দ্রুততর সমাধান এবং সামগ্রিকভাবে শীর্ষস্থানীয় সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দারাজের একদিনের বৃহত্তম অনলাইন মেলা ১১ নভেম্বর
এই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির পাশাপাশি, ১১.১১ ক্যাম্পেইন, ট্র্যাকশন এবং প্রিপেমেন্ট অফার-সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতাদের সহায়তা প্রদান করবে দারাজের নিজস্ব স্মার্ট চ্যাটবট ‘দাজ’।
দারাজের একদিনের বৃহত্তম অনলাইন মেলা ১১ নভেম্বর
আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ও বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ চতুর্থ বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে বিগেস্ট ওয়ান ডে সেল ক্যাম্পেইন ইলেভেন ইলেভেন (১১.১১)। এই ক্যাম্পেইনটি আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
দারাজের প্যারেন্ট কোম্পানি, আলিবাবা গ্রুপ ২০০৯ সালে প্রথম এ ক্যাম্পেইন শুরু করে, যা বাংলাদেশে প্রথম আয়োজিত হয় ২০১৮ সালে। আন্তর্জাতিক এই ক্যাম্পেইনটি ২০১২ সালে আমেরিকার ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও সাইবার মানডেকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিং ইভেন্টে পরিণত হয়।
দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আকর্ষণীয় ছাড়সহ থাকবে আড়াই কোটিরও বেশি পণ্যের সমাহার যেখানে ক্রেতারা উপভোগ করবেন একটি পরিপূর্ণ অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতা! মিস্ট্রি বক্স, সারপ্রাইজ ভাউচার, এক টাকা গেম, গেজ অ্যান্ড গেট ইট ফ্রি, বিগ বাই উইন, থাউজেন্ডস টাকা ডিসকাউন্ট, শেক শেক- সেলার ডাবল টাকা ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেল, বিগ বাই উইন, ১১’ও ক্লক ডিলস ও অ্যাড টু কার্ট গিভওয়েসহ এ ক্যাম্পেইনে রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার।
ক্যাম্পেইনের ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে থাকবে এপেক্স, ডেটল, এস্কয়ার ইলেকট্রনিকস, লাক্স, রিয়েলমি এবং স্টুডিও এক্স। প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকবে বাটা, ডেকো, ফ্যাব্রিলাইফ, হারপিক, লোটো, মোশন ভিউ, পিঅ্যান্ডজি এবং প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু। গোল্ড স্পন্সর থাকবে ব্রুনো মোরেটি, ফ্যানটেক, ফোকালুর, গোদরেজ, হায়ার, লি-কুপার, লজিটেক, রিবানা, রঙন হারবাল, এসএসবি লেদার, টিপি-লিংক ও ট্রান্সসেন্ড।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ক্রেতারা পেমেন্ট পার্টনারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা উপভোগের সুযোগ পাবেন। এ বছরের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
আরও পড়ুন: দারাজে নতুন রেকর্ড করল রিয়েলমি `জিটি মাস্টার এডিশন’
এছাড়া দারাজ ‘মেইক আ উইশ’ নামক আরেকটি ক্যাম্পেইন চালু করবে যা চলবে আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের অধীনে বিজয়ীরা ফেসবুকে তাদের ১১.১১ এর প্রিয় মুহূর্ত শেয়ার করে তাদের ইচ্ছা পূরণ করার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, ক্রেতাদের জন্য রয়েছে এক টাকা গেমের মাধ্যমে একটি দক্ষতা-ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ওশান মোটরস লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিলভার রঙের টয়োটা এক্সিও কার (২০১৬)- হাইব্রিড গাড়ি, স্পিডোজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জিপিএক্স- মোন ১৬৫ (রেড) মোটরসাইকেল, টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ সিসি ৪ভি মোটরসাইকেল (এসডি) এক্সকানেক্ট (কার্ব)- ব্লু ও টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল রেস এডিশন (এসডি)- রেড জিতে নেয়ার সুযোগ।
এ বছরের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেরা ডিলের সঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়তে তৈরি রয়েছে দারাজের প্রায় ৪০ হাজার সেলার। এ বারের ক্যাম্পেইন পূর্বের সকল রেকর্ড ভাঙবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘বিগত সকল বছরে দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আমরা অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছি। আমরা আশাবাদী এবারের ক্যাম্পেইনটিও আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। দারাজের ক্রেতা ও ফ্যানরা চমৎকার এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত ছাড় ও অফারে সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: বাজার সম্প্রসারণে কাজ করবে রিয়েলমি-দারাজ
দারাজে নতুন রেকর্ড করল রিয়েলমি `জিটি মাস্টার এডিশন’
বাজারে আসার পরই ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রিয়েলিমি জিটি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ ফোন জিটি মাস্টার এডিশন। জনপ্রিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজে মাত্র ৩০ মিনিটেই বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ইউনিট জিটি মাস্টার এডিশন-যা এখন পর্যন্ত দারাজে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্মার্টফোনটি দু’টি ভিন্ন রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে-ভয়েজার গ্রে ও ডে-ব্রেক ব্লু এবং এর বর্তমান বাজারমূল্য মাত্র ৩৩,৯৯০ টাকা। তবে, ৫ অক্টোবর দারাজের ফ্ল্যাশ সেল অফারে ক্রেতারা এ ফোন কিনতে পেরেছেন মাত্র ৩০,৯৯০ টাকায়।
ফ্ল্যাশ সেলে ব্যাপক সাড়া ফেলা এ স্মার্টফোনটির সবগুলো ইউনিট বিক্রি হয়ে যায় মাত্র ৩০ এ অফারে ক্রেতারা আরও উপভোগ করেছেন ৬ মাসের জন্য ওয়ান-টাইম স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট ওয়্যারেন্টি, আকর্ষণীয় জিটি মাস্টার এডিশন টি-শার্ট ও নির্দিষ্ট ব্যাংক কার্ডের ওপর ২৪ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা।
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন দেশের সর্বপ্রথম ফ্ল্যাগশিপ ৭৭৮জি ফাইভজি প্রসেসর সমৃদ্ধ স্মার্টফোন। এ ফোনে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৮জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। জিএসএম অ্যারেনা অনুযায়ী, ফোনটি ব্যবহার করে সুপার স্মুথ অনুভূতি পাওয়া যায়। এর দ্রুত রিফ্রেশ রেট, টাচ স্যাম্পলিং রেট ও ফ্ল্যাগশিপ গ্রেড চিপসেট সত্যিই অনবদ্য।
পড়ুন: দুবাই গিয়ে সরাসরি আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ দিচ্ছে ‘অপো’
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন মোবাইলটি ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত জাপানি শিল্প ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়া। ফোনটির পিছন সাইডে চমৎকার একটি ‘স্যুটকেস’ আদল ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা তরুণদের নতুন কিছু করতে উৎসাহিত করবে। স্মার্টফোনের ডিজাইন সম্পর্কে আনবক্স থেরাপি জানিয়েছে, ‘নতুন রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন স্মার্টফোনটি ডিজাইন করেছেন ফুকাসাওয়া। তিনি ট্রাভেল স্যুটকেসের আদলে মোবাইলটি ডিজাইন করেন এবং এর পিছনের চমকপ্রদ ক্লাসিক ডিজাইন ব্যবহারকারীদের মাঝে ভ্রমণ পিপাসার উদ্রেক করবে।’
সুপার অ্যামোলেড ফুলস্ক্রিন সমৃদ্ধ রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশনে ব্যবহারকারীরা পাবেন অত্যন্ত স্মুথ ও দ্রুত গতির পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা। এছাড়াও এ ফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা ও ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা থাকায় তারা চমৎকার প্রফেশনাল স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ ছবি উপভোগ করতে পারবেন।
আগামী ১৩ অক্টোবর বিকাল ৫টায় দারাজ ফ্ল্যাশসেল চলাকালীন সময় সম্প্রতি অবমুক্ত হওয়া রিয়েলমি সি২১ওয়াই আকর্ষণীয় দামে কেনা যাবে। ফ্ল্যাশসেলের সময়, আগ্রহীরা এই ফোনটি বাজার মূল্যের চেয়ে আরও এক হাজার টাকা কমে মাত্র ১১,৪৯০ টাকায় কিনতে পারবেন।
পড়ুন: বাজারে এল রিয়েলমির ফ্ল্যাগশিপ কিলার জিটি মাস্টার এডিশন
বিশ্বব্যাপী ৫জি পণ্য সরবরাহে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি
মুন্সিগিরি: চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে অমিতাভ রেজা’র আরেকটি অসামান্য চলচ্চিত্র
২০১৬ এর আয়নাবাজি’র পর আবারও একসাথে কাজ করলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। এবার তাঁরা একদম ওয়েব সিনেমা নিয়ে হাজির। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি’তে শুভ মুক্তি পেলো ওয়েব সিনেমা মুন্সিগিরি। তার দুইদিন আগে প্রকাশিত মুভিটির ট্রেইলার সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বেশ সাড়া ফেলে দেয়। অবশ্য অমিতাভ রেজা’র এই প্রথম ওয়েব চলচ্চিত্রটির জন্য আরও আগে থেকেই দর্শকদের পাশাপাশি গোটা সিনেমা পাড়াও অপেক্ষায় ছিলো। চলুন, এই চরকি অরিজিনাল ফিল্মটির ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুন: ‘পরাণ’: সত্য কাহিনীর ওপর নির্মিত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প
মুন্সিগিরি’র মুল চরিত্রে যারা আছেন
আয়নাবাজি’তে আয়না খ্যাত চৌঞ্চল চৌধুরীকে এবার দেখা যাবে একজন গোয়েন্দা পুলিশ অফিসার হিসেবে মাসুদ মুন্সি নামে। বর্তমানে নতুন ধারার বিনোদন ওয়েব কন্টেন্টগুলোতে ব্যস্ত এই তারকার অভিনয় শুরু হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে মঞ্চাভিনয়ের মাধ্যমে। টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে সফল এই অভিনেতা ভক্তদের কাছে মনপুরা’র সোনাই ও আয়নাবাজি’র আয়না নামেই অধিক পরিচিত। দেবী’র পর থেকে হুমায়ুন আহমেদের কালজয়ী চরিত্র মিসির আলী’র জন্য চঞ্চল চৌধুরী ছাড়া আর কারও কথা ভাবাই যায় না।
মুন্সিগিরি’তে চঞ্চলের সহশিল্পী হিসেবে থাকছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা এবং ‘দেবী’ সিনেমার নিলু খ্যাত শবনম ফারিয়া। এছাড়াও আছেন গাজী রাকায়েত ও শহীদুজ্জামান সেলিম-এর মত বর্ষিয়ান অভিনেতা।
আরও পড়ুন: সমালোচনার মুখে ইউটিউব থেকে ‘ঘটনা সত্য’ সরিয়ে নিলো সিএমভি
মুন্সিগিরি নিয়ে পরিচালক অমিতাভ-এর ভাবনা
২০২১ এর ১৪ জানুয়ারি চঞ্চল চৌধুরী ও পূর্নিমার সাথে মুন্সিগিরি ওয়েব সিনেমার পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরীর চুক্তি সাক্ষরিত হয়। মুলত একটি বিশাল প্রজেক্টের সূচনা হিসেবে নির্মিত হতে যাচ্ছে মুন্সিগিরি।
এই সিনেমাটিকে ওয়েব সিনেমা সিরিজে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নির্দেশক অমিতাভ। এরই ধারাবাহিকতায় সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা বানানোর কথা ভাবছেন তিনি। বিশ্বমানের চলচ্চিত্রগুলোর মত মুন্সিগিরির ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে অমিতাভের টীম।
নতুন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি’র কর্ণধার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনিও মুন্সিগিরি প্রজেক্ট নিয়ে বেশ আশাবাদী। এই চরকি ও দারাজ-এর ব্যানারে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুন্সিগিরি’র প্রযোজনায় ছিলেন অমিতাভ রেজা’র বোন মাহজাবিন রেজা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ ‘বলি’: অভিনব চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
মুন্সিগিরি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য
ঔপন্যাসিক শিবব্রত বর্মানের ‘মৃতেরাও কথা বলে’ উপন্যাসের আলোকে মুন্সিগিরি’র গল্প লিখেছেন নাসিফ আমিন।
একজন সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনকে কেন্দ্র করে এগিয়ে গেছে এর কাহিনী। কেসটি সমাধান করার জন্য মৃত কর্মকর্তার স্ত্রী সুরাইয়ার কাছ থেকে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় তথ্য বের করার চেষ্টা করতে থাকেন অফিসার মাসুদ মুন্সি।
রহস্যের পাশাপাশি একজন নিষ্ঠাবান ডিবি পুলিশের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি বিশেষ আলোকপাত করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। স্ত্রী পারভীন সুলতানা ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজের সংসার ও কর্তব্যের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর মাসুদ মুন্সি। এই সূত্রে শিকার ও শিকারীর এক দারুণ রোমাঞ্চে জড়িয়ে যেতে থাকে তার টীম।
আরও পড়ুন: থটস অফ শামস: মজার সব চরিত্রে এককভাবে অভিনয়কারী প্রতিভাবান কন্টেন্ট নির্মাতা
ঔপন্যাসিক শিবব্রত নিজে সিনেমাটি দেখে পরিচালকের প্রশংসা করতে যেয়ে বলেন,‘বাংলা চলচ্চিত্রে অমিতাভ এমন এক গোয়েন্দাকে হাজির করেছেন, যিনি শোবার সময় মশারি টাঙান।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি
২০২১ এর ১২ জুলাই বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রায় ২০০ টি কন্টেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। বছর জুড়ে প্রতিটি মাসে একটি করে চরকি অরিজিনাল সিনেমা উপভোগ করতে পারবে গ্রাহকগণ। মুন্সিগিরিও অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এই লিস্টে।
এছাড়া ইতোমধ্যে মুক্তি পাওয়া চরকি অরিজিনাল ওয়েব সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- আদনান আল রাজীব-এর ইউটিউমার, কামার আহমাদ সাইমন-এর নীল মুকুট এবং মিজানুর রহমান আরিয়ান-এর নেটওয়ার্কের বাইরে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার মহোৎসবে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ১০ পদের মিষ্টি
ভবিষ্যতে চরকি’র দর্শকরা মুন্সিগিরি’র সিক্যুয়ালগুলোও উপভোগ করতে পারবেন তাদের প্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটিতে।
পরিশিষ্ট
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র পরিবেশনের ধারা পবির্তনের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের ধরন। সেই সুবাদে নতুনত্ব আসছে বাংলাদেশি সিনেমার তথাকথিত মূলধারায়। সৃজনশীল কাজের আসল রূপকারগণ এখানে যেমন সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন, চলচ্চিত্রকর্মীরা ঠিক তেমনি সুযোগ পাচ্ছেন নিজেদেরকে মেলে ধরার। ‘মুন্সিগিরি’ রহস্য সিনেমাটি সেই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বিনোদনে এক সক্রিয় শিল্প, যার বদৌলতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা সাক্ষী হতে যাচ্ছে আরো অভিনব পরিবেশনের।
আরও পড়ুন: হৈচৈ বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিশ্বজুড়ে বাঙালির কোটি প্রাণের স্পন্দন
ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের গৃহীত পদক্ষেপসহ তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তা-ও জানতে চেয়েছেন।
ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীদের পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিট আবেদনগুলোর শুনানি মূলতবি করে এ সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে এসব বিষয়ে জানাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির একটি রিট দায়ের করেন। এই রিটে কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে।তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার এই তিনটি রিটের ওপর এসব রিটে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত অনলাইন বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তিনটি রিট একই ধরণের হওয়ায় আদালত একসাথে শুনানি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
দারাজের ৭ম বর্ষপূর্তি সেলে বিক্রির শীর্ষে ‘রিয়েলমি’
সম্প্রতি দারাজের সপ্তম বর্ষপূর্তি সেলে সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে রিয়েলমি। এই ক্যাম্পেইনে রেকর্ড সংখ্যক রিয়েলমি ফোন বিক্রি হয় যা একে সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে এলো রিয়েলমির প্রথম ল্যাপটপ ‘রিয়েলমি বুক স্লিম’
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিয়েলমি জানায়, এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ও অনুরাগীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ফোনে আকর্ষণীয় অফার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সি২১ (৩/৩২), সি২১ (৪/৬৪), সি২০এ, সি২৫ এস (৪/৬৪), সি২৫ এস (৪/১২৮), রিয়েলমি ৮ প্রো ও নারজো ৩০ রয়েছে। এছাড়া রিয়েলমি ফ্যানরা সাত শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে ফোন কেনার সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি প্রি-পেমেন্টে আরও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি জিটি সিরিজের দুটি চমৎকার স্মার্টফোন বাজারে
দারাজের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সেলাররা ও সহযোগীরা আমাদের প্রিয় অংশীদার যাদের সাথে আমরা বাজারে শীর্ষস্থানীয় হওয়ার আনন্দ সবসময়ই ভাগাভাগি করে নেই। রিয়েলমির মতো ব্র্যান্ডের নতুন পরিচিতির কোন প্রয়োজন নেই এবং গতবারের মত এবারও রিয়েলমি দারাজের সপ্তম বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইনে ‘টপ সেলিং’ ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’