বজ্রপাত
২৪ ঘণ্টায় বন্যায় ২৪ মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এর তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮।
অধিদপ্তরের মতে, ২৪ ঘণ্টায় শুধু সিলেট বিভাগেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ২০ জন, বজ্রপাতে দুজন এবং ডায়রিয়ায় একজন মারা গেছেন।
মোট ১৮৫ বন্যাকবলিত উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ২৯টি, রংপুর বিভাগে ১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার কারণে মোট ৮৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে দুই হাজার ছয়টি মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত মানুষদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারার আগ্রাসী রূপ: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিহত ১
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস!
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকার হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস!
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে বজ্রপাতে মো. করিম ও মো. ইয়াছিন নামের দুই জেলে নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লার পাড়া গ্রামে এ সময় আরও দুই জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ইমতিয়াজ (২৫) ও মো. করিম (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে ওই গ্রামের জাকের উল্লাহ’র তিন ছেলে রমিজ উদ্দিন(৩৬), ইমতিয়াজ, আক্কাস (২২) এবং দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাঁচার ছাবের আহমদের ছেলে মো. করিম মাছ ধরার নৌকায় কাজ করারত অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক নেছার আহমদ আহতদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মো. ইমতিয়াজ ও মো. করিমকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত সহোদর দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন।
নিহত মো. করিম রবিবার সকালে উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া এলাকায় ভগ্নিপতির মাছ ধরার নৌকায় জালের কাজ করতে যায়। সেখানে বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছে বলে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদ জানিয়েছেন।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতের আঘাতে দুই জেলে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে শুক্রবার বজ্রপাতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরে একদিনে বজ্রপাতে নিহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলার কাঁকরহাটি গ্রামের সৈয়দ মিয়া (১২), স্বাধীন (১১) ও শাওন (৭) ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া ময়মনসিংহ সদরের বালাপাড়ায় একটি জলাশয়ে মাছ ধরারকালে বজ্রপাতে দুই জেলে নিহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতরা হলেন- একই এলাকার আবু বক্কর (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
আরও পড়ুন: রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
এছাড়া একই দিনে সকালে ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামে বজ্রপাতে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হয় গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীতে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৫০) সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের কাটাঙ্গার চরের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে। আহতরা হলেন-শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল (২৮) ও শামীম (৩২)।’
কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত সজিব সরকার (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
লালমনিরহাটে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে হাতীবান্ধা উপজেলার আব্দুল মতিন (৫২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার।
বগুড়ায় ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তোজবেল হোসেন (৭০) ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বলে জানিয়েছেন এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় শুক্রবার ভোররাতে বজ্রপাতে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শওকত আলী একই এলাকার এবং কায়দা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শওকত তার ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে পুকুরের পাড় মেরামত করতে যায় যাতে পানিতে থাকা মাছ ভেসে না যায়। এ সময় শওকতের ওপর বজ্রপাত হয়।
তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর নবম শ্রেণির ছাত্র শাকিলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এদিন দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়াঁ (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন (১১) ও বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাওন (৮)।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
অন্যদিকে, দুপুরে ময়মনসিংহ সদরের দড়ি কুষ্টিয়া বালাপাড়া এলাকায় বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান হাসেন আলীর ছেলে আবু বক্কার (৪০) ও পচা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়া একই দিনে সকালে ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামে বজ্রপাতে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হয় গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
রাজধানীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
যমুনায় বজ্রপাতে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ২
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ইটবাহী নৌকায় বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বর্ণি গ্রামের কাছাকাছি নৌকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৫০) সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের কাটাঙ্গার চরের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে।
আহতরা হলেন-শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল (২৮) ও শামীম (৩২)
আরও পড়ুন: রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজের ইট নিয়ে নৌকায় করে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল বর্ণি গ্রামে যাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে ওই গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছলে প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে নৌকার ওপর বজ্রপাত হলে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হন।
এই সময় শ্রমিক সাইফুল ও শামীম আহত হন। পরে নৌকায় থাকা অন্য শ্রমিক ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে দুপুর ২টার দিকে ব্যবসায়ী রাজ্জাক মুন্সীর লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
খুলনার রূপসা নদীতে বজ্রপাতে এক ট্রলার মাঝি নিখোঁজ এবং আরও এক মাঝিসহ সাত যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ মতি শিকদার (৪৫) পূর্ব রূপসার রেল মসজিদ পার্শ্ববর্তী মাঝি পাড়ার সলেমান শিকদারের ছেলে।
আহতদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মাঝি সংঘের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন শেখ (৫৫), বাগমারা গ্রামের নিজামের ছেলে নাজমুল হাসান রানা (২২) ও মতি মাঝির ছেলে রাকিব (১৫) এবং পূর্ব রূপসা আড্ডা গলির মোবারক শেখের ছেলে খোকন মাঝি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রূপসার ঘাট মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ব্যাপারী জানান, ট্রলার মাঝি মতি শিকদার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে ট্রলারে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে পশ্চিম রূপসা ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় পশ্চিম রূপসা ঘাট থেকে খোকন মাঝি ট্রলার নিয়ে পূর্ব ঘাটে আসছিল। এ সময় ট্রলারের কাছে বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে। এতে কানের পর্দা ফেটে খোকন মাঝি, মতি শিকদারের ছেলে রাকিব ও যাত্রী নাজমুল হাসান রানাসহ ৭ যাত্রী গুরুতর আহত হন। এ সময় ট্রলার মাঝি মতি শিকদারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে মতি শিকদারের ছেলে রাকিবসহ অন্যান্য যাত্রীদের উদ্ধার করা হলেও মতি শিকদারের সন্ধান মেলেনি। বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
খবর পেয়ে রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম ও থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিখোঁজ মতিকে উদ্ধারে রূপসা নদীতে ফায়ার সাভির্সের ডুবুরি দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের আঁখিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খায়রুল ইসলাম (৪৮) ও মেরিনা বেগম (৩৭)।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের বাগানে তারা দুই জন আম কুড়াতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
রাজধানীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর দক্ষিণখাঁন কাওলা এলাকায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাহাত আহমেদ বাঁধন (১৯) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বামভুইয়া পাড়ার মো. নুরুন্নবীর ছেলে।
বাঁধনের ভাই রাকিব জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কাওলা ট্রান্সমিটার মাঠে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে অচেতন হয়ে পড়ে বাঁধন। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে তাকে প্রথমে স্হানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রাত ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমিতে কৃষি কাজে গিয়ে বজ্রপাতে মিল্লাত হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
মিল্লাত হোসেন উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বেপারি বাড়ির মোস্তফা কামালের ছেলে।
শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, মিল্লাত হোসেন সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ধানের বীজ বপন করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভারী বৃষ্টি ও প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলে এলাকার লোকজন সাদ্দামকে মাঠে সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে স্বজনরা দ্রুত নিকটস্থ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু