শোক দিবস
যথাযথ মর্যাদায় প্যারিসে জাতীয় শোক দিবস পালিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
শোক দিবসের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠানের ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েছিল তা নয়, তারা বঙ্গবন্ধুর বংশধর ও নিকটাত্মীয়দের ও নির্মূল করতে চেয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি, হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা ধরনের অপপ্রচার করা হয়।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। বাংলার মানুষকে কীভাবে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া যায় তাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, 'শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ'। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সরদার ফজলুল করিমকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'ঘাতকের বুলেটের আওয়াজ থেকে জন্ম নিয়েছিল লক্ষ মুজিব যা ঘাতকেরা অনুধাবন করতে পারেনি।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেবা
শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা করেন। আলোচকবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আঠারো জন শাহাদাতবরণকারী সদস্যের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোক দিবসে ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডাইরেক্টর মো.জয়নাল আবেদীন ও প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম,ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. ওমর ফারুক খান।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন ব্যাংকের শরীআহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
ব্যাংকের ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম, প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, পিএইচডি, সৈয়দ আবু আসাদ, ডা. তানভীর আহমেদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ইসলামী ব্যাংক ও সান্তাহারে সোনালী ব্যাংক লকডাউন
এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাংকের ১৬টি জোনের উদ্যোগে সকল শাখার অংশগ্রহণে পৃথক পৃথক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ
ক্যানবেরায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার করোনা মোকাবিলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ সেদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। তারা তার প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব বিধায়, এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
ফরিদপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সকাল ৭টায় শহরের থানার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
এরপর স্থানীয় ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর পৌরসভা, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। এর আগে ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
এসময় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ.কে আজাদ, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, শামিম হক প্রমুখ।
এছাড়া বিকালে জেলা যুবলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের আয়োজন বিশাল মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছে দেশবাসী।
জাতির জনকের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে (পুরাতন) বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরবর্তীতে জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল জাতির পিতাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। পাশাপাশি বেজে ওঠে করুণ সুর।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াকে জড়ানো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা: ফখরুল
এরপর ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে চলে যান। সেখানে শায়িত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তার তিন ভাই- ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং দশ বছর বয়সী শেখ রাসেল ও পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফুলে পাপড়ি ছড়িয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান।
১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং পেশাজীবী সংগঠন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ জনসম্মুখে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি টিভি ও রেডিও স্টেশনগুলো বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।
শোক দিবসে আ’লীগের দুই গ্রুপের কর্মসূচি নিয়ে নাটোরে উত্তেজনা
জাতীয় শোক দিবসের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে নাটোরে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের পক্ষের লোকজন এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আয়োজন করছে। উভয় পক্ষই শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করছে। এ অবস্থায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আ‘লীগ নেতা মোহাম্মদ উল্যাহ মারা গেছেন
এদিকে, শনিবার দুপুরে কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান রমজানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সম্মেলনে শোক দিবসের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে এমপি শিমুলের বিরুদ্ধে সংঘাত উস্কে দেয়ার অভিযোগ এনে তার নিন্দা জানায় বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনসহ অন্যান্য নেতারা।
শোক দিবসে বিটিভির অনুষ্ঠান ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত’ শিরোনামে একটি তিন পর্বের শিশুতোষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছে।
আবৃত্তি, গান, ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ, অ্যানিমেশন, নাটক দিয়ে এই অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন, জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহফুজা খানম।
মো. সাখাওয়াত হোসেনের গ্রন্থনায় অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করছেন সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নী।
আরও পড়ুন: অচিরেই চালু হচ্ছে বিটিভি’র শিক্ষা চ্যানেল
প্রযোজক সাদিকুল নিয়োগী পন্নী স্বাক্ষরিত বিটিভির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মাহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সমগ্র ভারতে বিটিভির সম্প্রচার শুরু
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ১৩ আগস্ট শুক্রবার, দ্বিতীয় পর্ব ১৪ আগস্ট শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ও তৃতীয় পর্ব ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় প্রচার করা হবে।
কটকা ট্রাজেডি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস আজ
কটকা ট্রাজেডি স্মরণে শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
চীনে করোনায় মৃতদের স্মরণে শোক পালন, বাংলাদেশের সহানুভূতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের উহানসহ বিভিন্ন শহরে মৃতদের স্মরণে শনিবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত শোক দিবসে গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে’।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যারা প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ‘শহীদ’ হয়েছেন তাদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে শনিবার দেশজুড়ে তিন মিনিটের নীরবতা পালন করেছে চীন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার চীনের সাধারণ মানুষ ও সরকারের পাশে রয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় এই সময়ে চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব প্রদর্শনের জন্য চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
এসময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ‘মহান দেশ’ চীনের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন ড. মোমেন।
চীনের সব বড় শহরগুলোতে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এর মূল কেন্দ্র ছিল উহান শহর, গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
চীনে শনাক্ত হওয়ার পর ইতোমধ্যেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে শুধু চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫১১ জন।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ১৬০ জনে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৪ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৮ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৯ হাজার ৩৯১ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন (৭৯ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৯ হাজার ১৬০ জন (২১ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।