প্রেসিডেন্ট
আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওইদিন দিনগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে দুই নেতা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ফোনকলের সময় উপস্থিত থাকার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার ভাই শেখ সাইদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উভয় নেতা স্মরণ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশি জনগণ, সরকার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামের পরিবারের সদস্যদের এবং তার নিজের পক্ষে ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে আনামের মুক্তি লাভের লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টা এবং সফল আলোচনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি দেশটির গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের সফল উদ্যোগের ফলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম সম্প্রতি ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি লাভ করেন।
তিনি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল-কায়েদার বন্দিদশা থেকে আমানের সফল মুক্তির আলোচনা তার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি শান্তি-নির্মাণকারী এবং দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সক্ষমতা প্রদর্শন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই ধরনের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যমান শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই শান্তিপ্রিয় দেশের মধ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ করবে।তিনি আশাপ্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আগামী বছরের মার্চে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।সেই লক্ষ্যে, তিনি এই মাইলফলক অনুষ্ঠানটি উদযাপনের জন্য যৌথভাবে স্মারক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।তিনি এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।প্রধানমন্ত্রী কপ২৮ আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণকেও অভিনন্দন জানান। তিনি কপ২৮ এর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার দেশে সবুজায়নকরণে প্রেসিডেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর একটি সফল সমাধান খুঁজে বের করতে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ প্রদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট তাদের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে এই শ্রমিকদের অবদানের প্রশংসা করেন।শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণের জন্য অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী খুন
ইকুয়েডরের আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানী কিতো’য় আয়োজিত একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গাড়িতে উঠার সময় ফার্নান্দোকে গুলি করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে সক্রিয় আন্তর্জাতিক অপরাধ সংগঠন মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেলের দলের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ফার্নান্দোর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের গুলিতে একজন সন্দেহভাজন মারা গেছেন এবং পুলিশ কিতোতে অভিযান চালিয়ে ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের গোলাগুলির ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। যার মধ্যে অফিসার ও একজন কংগ্রেস প্রার্থী রয়েছে।
মৃত্যুর আগে তার সর্বশেষ বক্তৃতায় ফার্নান্দো জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি দেশের দুর্নীতির মূলোৎপাটন করবেন এবং দেশের ‘চোরদের’ আটক করবেন।
ফার্নান্দো এসময় জানান, তিনি মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেলের সহযোগীদের কাছ থেকে একাধিকবার মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ১১৬
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি আমার আদর্শ এই ধরনের গোষ্ঠীর জন্য হুমকি। তবে আমি ওইসব দুর্বৃত্তদের ভয় পাই না।’
আগামী ২০ আগস্ট ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। মোট আটজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন।
জনমত সমীক্ষায় পাঁচ নম্বরে ছিলেন ৫৯ বছর বয়সী ফার্নান্দো। তার দলের নাম বিল্ড ইকুয়েডর মুভমেন্ট।
ফার্নান্দো ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম কণ্ঠস্বর। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার সরকারের সময় (২০০৭-২০১৭) তিনি বেশ সক্রিয় ছিলেন।
তিনি একজন স্বাধীন সাংবাদিকও ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করেছিলেন এবং পরে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রার্থী অটো সোনেনহোলজনার বুধবারের হত্যাকাণ্ডের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা শোকাহত, কান্নার সাগরে ডুবে যাচ্ছি এবং আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে চাই না। আমরা দাবি করছি আপনারা (সরকার) কিছু করুন।’
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো বলেন, ‘ফার্নান্দোর স্মৃতি এবং তার লড়াইকে সম্মান জানাতে সব দোষীদের ধরে শাস্তি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
লাসো বলেন, ‘হত্যাকারীরা’ রাস্তায় একটি গ্রেনেড ছুঁড়েছিল, কিন্তু এটি বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি ধ্বংস করে।
গুইলারমো লাসো বলেন, ‘এই ধরনের সংগঠিত অপরাধীদের সাহস বেড়ে গেছে। এবার সর্বশক্তি নিয়ে তাদের মোকাবিলা করবে আইন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের নিয়ে আমি জরুরি বৈঠকে বসব।’
চলতি মাসেই বন্দর নগরী মান্তার মেয়রকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর সহিংসতা রোধে প্রেসিডেন্ট লাসো ২৬ জুলাই দুটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
ফার্নান্দোর নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার প্যাট্রিসিও জুকুইল্যান্ড বলেন, ফার্নান্দো কমপক্ষে তিনবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। যা তিনি কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন। এই অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘ইকুয়েডরের মানুষ কাঁদছে। রাজনীতির কারণে এভাবে যেন আর কারো মৃত্যু না হয়।’
তিনি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও মাদক পাচারকে দায়ী করে সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্নেল এডিসন রোমো বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ফার্নান্দোকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধী সংস্থার জন্য হুমকি’ করে তুলেছিল।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের ফলে অন্য প্রার্থীরাও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
সিটিজেন রেভুলোশনারি পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রানার লুইসা গনজালেজ বলেন, ‘যখন তারা (দুর্বৃত্তরা) আমাদের একজনের নাগাল পায়, তখন তারা আমাদের সবারই নাগাল পেয়ে যায়।’
ইকুয়েডরে মাদক ভয়াবহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক পাচারকারীরা দেশের উপকূলীয় বন্দরগুলো ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে সেখানে সহিংস অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেছে ৪০০টিরও বেশি
পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনির ১৯ বছরের কারাদণ্ড
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক এবং কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ আগস্ট) উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তার এই সাজা ঘোষণা করেন একটি রুশ আদালত।
নাভালনি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগে ৯ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
অন্যদিকে, নাভালনি তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে তাকে আজীবন কারাগারে রাখার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এবং তার ঘনিষ্ট সহযোগীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
পঞ্চমবারের মতো ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। এর ফলে তৃতীয় দফায় তার কারাবাস আরও দীর্ঘ হলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইনফর্মেশন টেলিগ্রাফ এজেন্সি অব রাশিয়া (ইতার-তাস) জানায়, নাভালনি জালিয়াতি ও আদালত অবমাননার অভিযোগে বর্তমানে সাজা খাটছেন। চলমান সাজার সঙ্গে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড যোগ করেছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: বিষ প্রয়োগে অসুস্থ রুশ নেতা নাভালনিকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি প্রেরণ
নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা আগে থেকেই এই ধরনের রায় দেওয়ার বিষয়টি অনুমান করেছিলেন।
এমনকি নাভালনিও তাকে জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ কারাদণ্ড হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
প্রসিকিউশন তার ২০ বছরের কারাদণ্ডের দাবি করেছিল।
প্যারোল লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মস্কোর পূর্বাঞ্চলের পেনাল কলোনিতে রুদ্ধদ্বার কারাগারে তার বিচার এবং সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলার শুনানি ও সাজা ঘোষণা করতে বিচারক ১০ মিনিটেরও কম সময় নিয়েছে। অথচ এ ধরনের মামলার রায় ঘোষণায় রাশিয়ায় সাধারণত কয়েক ঘণ্টা, এমনকি সারাদিন কেটে যায়।
পৃথক কক্ষে থাকা সাংবাদিকদের কাছে শুনানিটি সম্প্রচার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাজা নিয়ে দলের দেওয়া পোস্টে নাভালনি মন্তব্য করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সংখ্যা কোনো ব্যাপার নয়।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-রাশিয়া নয়া সম্পর্ক: এক দেশভিত্তিক সম্পর্ক আর নয়
তিনি লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দির মতো আমিও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছি। আজীবন অথবা এই সরকারের শাসনকাল পর্যন্ত আমাকে সাজা খাটতে হবে।
নাভালনি তার সমর্থকদের ‘মনোবল না হারানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন।’
রায় ঘোষণার বিষয়টি এপিকে নিশ্চিত করেছেন নাভালনির মুখপাত্র ইয়ারমিশ।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়াও নাভালনিকে ৫ লাখ রুবল (প্রায় ৫ হাজার ২০০ ডলার) জরিমানা করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, কঠোর সাজা সত্ত্বেও নাভালনি আশাবাদী এবং ‘তিনি যা করছেন সে ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।’
নাভালনির নতুন সাজাকে ‘একটি অন্যায় বিচারের অন্যায় উপসংহার’ বলে নিন্দা করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। একই সঙ্গে অবিলম্বে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘কয়েক বছর ধরেই নাভালনির মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ক্রেমলিন। সর্বশেষ এই গোপন বিচার করে এবং কথিত প্রমাণের ভিত্তিতে তার আইনজীবীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে রুশ কর্তৃপক্ষ আবারও তাদের মামলার ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করেছে। এর মাধ্যমে যারা সরকারের সমালোচনা করার সাহস করে তাদের জন্য দেশটিতে থাকা আইনের শাসনের অভাবকেও ফুটিয়ে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ!
৪৭ বছর বয়সী নাভালনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চরম শত্রু। কারণ তিনি সরকারি বিভিন্ন দুর্নীতির কথা প্রকাশ করেছেন এবং ক্রেমলিন বিরোধী বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে জার্মানিতে নার্ভ এজেন্ট বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হয়ে মস্কোতে ফিরে আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালে রুশ কর্তৃপক্ষ নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন এবং রাশিয়াজুড়ে এর অফিসগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ককে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে বেআইনি ঘোষণা করে তার বিচার শুরু করেন।
নাভালনির মিত্ররা বলেছে, চরমপন্থার অভিযোগগুলো ২০১১ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের সমস্ত কার্যকলাপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, নাভালনির নতুন সাজা ‘রাশিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারিক হয়রানি এবং আদালতের আজ্ঞাবহ রায়ের বিষয়ে নতুন করে গুরুতর উদ্বেগ জাগিয়েছে’।
এ ছাড়াও তিনি নাভালনির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জেট্রোর প্রেসিডেন্টের বৈঠক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর প্রেসিডেন্ট কাজুশিজি নবোতানির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ জুলাই) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জেট্রোর প্রেসিডেন্টের বৈঠক
বৈঠকে তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কীভাবে যৌথভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও বৈঠকে জাপানি বেসরকারি খাত ও বাংলাদেশি আইটি ফার্মগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়ানো এবং স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ বিষয়ও আলোচনা করা হয়।
জেট্রোর প্রেসিডেন্ট কাজুশিজি নবোতানি জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাপানের অটোমোটিভ প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং জাপানি আইটি সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে আইটি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিতে আগ্রহী৷
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ জাপানের আইটি খাতের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে জাপানি বিনিয়োগ আনতে জেট্রোর সহযোগিতা কামনা করেন।
জেট্রোর প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কর্তৃক আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বাস্তবায়িত বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ সময় আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনসহ জেট্রোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র হস্তান্তর
তুরস্কে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল এবং দ্বিতীয় সচিব ও দূতাবাসের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ওউজহান এরতুরাল ও রাষ্ট্রচার প্রধান রাষ্ট্রদূত আহমতে জমেলি মরিওলু।
এসময়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানান এবং এরদোয়ান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং সৃষ্ট মানবিক এ সংকট সমাধানে তুরস্কের সরকার ও নেতৃত্ব সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়াও তিনি তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও উচ্চপর্যায়ে উন্নীতকরণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পর্যটন ও সামরিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্ককে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে এরদোয়ানকে জানান।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-কে তুরস্কে স্বাগত জানান।
এরদোয়ান জানান, ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকারের ও জনগণের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়াও বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক আঙ্কারস্থ আনিতকবির-এ প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুক-এর সমাধীস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বুকে ব্যথা নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউদেল
নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউদেল মঙ্গলবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে ফের কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ ৭৮ বছর বয়সী পাউদেলকে কার্ডিয়াক চেকআপের জন্য কাঠমান্ডুর শহীদ গাঙ্গালাল ন্যাশনাল হার্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্রটি এএনআইকে জানিয়েছে, ‘বিভিন্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি।’
হাসপাতাল এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয় অবশ্য তার হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি বা তার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা জানায়নি।
আরও পড়ুন: নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেল হাসপাতালে ভর্তি
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘সকালে প্রেসিডেন্ট বুকে ব্যথার কথা জানান এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের ২৫৪ নম্বর ভিআইপি কেবিনের ৬ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে।’
মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তির আগে পাউদেল শনিবার সর্বশেষ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন।
গত এপ্রিল মাসের শুরুতে পাউদেলকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এআইআইএমএস) চিকিৎসার জন্য শ্রী এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
নেপালের প্রেসিডেন্ট দিল্লিতে যাওয়ার আগে চারদিন কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে (টিইউটিএইচ) চিকিৎসা নিয়েছিলেন। চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ভর্তি হওয়া রামচন্দ্রকে চার রাত পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ১৩ মার্চ নেপালি কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রাম চন্দ্র পাউদেল নেপালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নেপালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল
তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানসহ তুরস্কে ছয়দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এসময় তার সঙ্গে ফার্স্টলেডি ড. রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (ফ্লাইট নং বিজি ২০৮) মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন ইউএনবিকে জানান, রাষ্ট্রপতি ৩ জুন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। যেখানে বিশ্বের ৭৭ টি দেশের নেতারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ন্যাটো ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান এবং ফটো সেশনে যোগ দেন। এসময় উভয় রাষ্ট্রপতি কুশল বিনিময় করেন।
এছাড়া টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন তুরস্কের নেতা এরদোগান।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে (আঙ্কারার সময়) ঢাকার উদ্দেশে তুরস্কের আঙ্কারা এসেনবোগা বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
যেখানে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানউল হক, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ওয়া তুঙ্গা কাগলি এবং আঙ্কারার ডেপুটি গভর্নর মুরাত সোয়লু এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
১ জুন রাতে আঙ্কারায় গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আঙ্কারার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
প্রস্তাবিত বাজেটে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তুরস্কের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শুক্রবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছেছেন। আগামী আগামী ৩ জুন শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকা প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ফোনে ইউএনবিকে জানান, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে (তুরস্কের স্থানীয় সময়) ভোর সাড়ে ৪টায় আঙ্কারা এসেনবোগা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক সাহাবুদ্দিনকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূত ওইয়া তুঙ্গা চাগলি, তুরস্কেও প্রটোকল প্রধান গোনেচ আচিকোলু সহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ‘শেরাটন আঙ্কারা হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার’-এ অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতির সফরসূচি অনুযায়ী সেখানে (তুরস্কের স্থানীয় সময়) বিকাল ৫টায় আঙ্কারায় প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে তিনি এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি সফরকালে আঙ্কারার কানকায়া প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। এছাড়াও তার উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার ৬ দিনের সফর শেষ করে আগামী ৬ জুন ভিভিআইপি বিমানে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন: রাষ্ট্রপতি
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রবিবার তার দেশের রানঅফ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করেছেন। এ নিয়ে তিনি ক্রমবর্ধমান শাসনকে তৃতীয় দশকে প্রসারিত করলেন।
সংবাদ সংস্থাগুলোর অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায় প্রায় ৯৯ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ফলাফলে তিনি এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ শতাংশ ভোট আর প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তার প্রথম মন্তব্যে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে তার বাড়ির বাইরে একটি প্রচারাভিযান বাসে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন,‘আসন্ন পাঁচ বছরের জন্য আবারও এই দেশকে শাসন করার দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করার জন্য আমি আমাদের জাতির প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি তার হারের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে উপহাস করেছেন, ‘বাই বাই বাই, কামাল’ বলে সমর্থকরা উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘আজকে একমাত্র বিজয়ী তুরস্ক।’
ইস্তাম্বুলে, এরদোয়ানের সমর্থকরা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগেই তুর্কি বা ক্ষমতাসীন দলের পতাকা নেড়ে এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উদযাপন শুরু করে।
ফলাফল আঙ্কারার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে। তুরস্ক ইউরোপ এবং এশিয়ার সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে আছে এবং দেশটি ন্যাটোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভোট গণনা সংবাদ সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ ব্যালট বাক্সের গণনা থেকে তাদের তথ্য পায় যা মাঠের কর্মীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শক্তিশালী, প্রাথমিক তথ্যের কিছু বৈচিত্র্য ব্যাখ্যা করে। তুরস্কের নির্বাচনী বোর্ড ভোট গণনা চলাকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নিজস্ব ডেটা পাঠায়, কিন্তু কিছু দিন পরে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করে না।
এরদোয়ান ২০ বছর ধরে তুরস্কের নেতৃত্বে রয়েছেন। গত ১৪ মে প্রথম রাউন্ডে সরাসরি জয়ের পর থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডের রানঅফে নতুন পাঁচ বছরের মেয়াদ জয়ে আশাবাদী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাটোর সদস্যপদ: ফিনল্যান্ডকে হ্যাঁ, সুইডেনের প্রতি নাখোশ এরদোয়ান
বিভক্ত জনতাবাদী ছয়-দলীয় জোটের প্রার্থী কিলিচদারোগ্লুর থেকে চার শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন এরদোয়ান। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি এবং তিন মাস আগে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাব সত্ত্বেও এরদোয়ানের সফলতা এসেছে। এটিই প্রথমবার যেখানে তিনি প্রার্থী হিসেবে প্রথম রাউন্ডে নির্বাচনে জয়লাভ করেননি।
দুই প্রার্থী দেশের ভবিষ্যত এবং এর সাম্প্রতিক অতীত সম্পর্কে তীব্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
৭৪ বছর বয়সী কিলিচদারোগ্লু নিচে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই নির্বাচনটি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল, সেখানে সব ধরনের অপবাদ এবং মানহানি ছিল।’ ‘তবে আমি জনগণের সাধারণ জ্ঞানে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র আসবে, স্বাধীনতা আসবে, মানুষ রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে পারবে এবং রাজনীতিবিদদের স্বাধীনভাবে সমালোচনা করতে পারবে।’
ইস্তাম্বুলের একটি স্কুলে ভোট দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ানন উল্লেখ করেন যে এটি তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তিনি প্রথম রাউন্ডে উচ্চ ভোটার উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি রবিবার আবারও বেশি অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি কিলিচদারোগ্লুর মতো একই সময়ে ভোট দিয়েছেন, কারণ স্থানীয় টেলিভিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিভক্ত পর্দায় ব্যালট কাস্ট করছে।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, এটা (নির্বাচন) আমাদের দেশ ও জাতির জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটে লড়তে হতে পারে এরদোয়ান ও কিলিচদারুগ্লুকে
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বাড়িতে পুলিশের অভিযান
ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ বুধবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এবং কোভিড-১৯ টিকার রেকর্ডের মিথ্যা তথ্যের তদন্তের অংশ হিসেবে তার সেল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
অপারেশন চলাকালীন অফিসারেরা বলসোনারোর সহকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাউরো সিড এবং তার দুই নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেপ্তার করে।
বলসোনারো সাংবাদিকদের কাছে ব্রাসিলিয়ায় তার বাড়িতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং নথি জাল করার অভিযোগে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে নির্বাচন: বলসোনারোকে হারিয়ে লুলা ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন
তিনি আরও বলেছেন যে তিনি কখনও কোভিড ভ্যাকসিন নেননি।
ফেডারেল পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফেডারেল পুলিশ ব্রাসিলিয়া ও রিও ডি জেনিরোতে মোট ১৬টি অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং পাশাপাশি ছয়টি প্রতিরোধমূলক আটকাদেশ দিয়েছে।
তারা বলেছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেসে মিথ্যা ভ্যাকসিনেশন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করাকে নিয়ে তদন্ত করছে।
ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগের তদন্তের তত্ত্বাবধান করছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা এবং অপরাধমূলক সংস্থায় অংশগ্রহণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজেটিভ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট