প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে নারীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের আহ্বান শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসিকে ইরানের নারীরা যাতে শিক্ষার সমান সুযোগ পেয়ে মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে এবং পুরুষদের সঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট তাকে ফোন করলে তিনি এ আহ্বান জানান।
পিএমওর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর দুই নেতা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
হাসিনা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশন থেকে ইরানকে অপসারণের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইসিওএসওসি) প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
২২ মিনিটের টেলি-কনফারেন্স চলাকালীন তিনি স্মরণ করেন, ওআইসি ও ডি ৮-এর সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশ ও ইরান অনেকক্ষেত্রে একে অপরকে সমর্থন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে, বিশেষ করে জাতিসংঘে ইরানকে সমর্থন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি মানবাধিকার কাউন্সিলে কানাডার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভোটের উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
শেখ হাসিনা টেলিফোন কলের জন্য প্রেসিডেন্ট রাইসিকে ধন্যবাদ জানান এবং ইরানের নতুন প্রশাসন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও সুসংহত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ সত্যিকারের সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসা বাড়াতে উভয় পক্ষেরই আরও সম্পৃক্ততা গ্রহণ করা উচিত।
দুই দেশের চেম্বার সংস্থার মধ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কমিশন (জেবিসি) গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ চলতি বছরের কোনো এক সময়ে তেহরানে ষষ্ঠ বৈঠক আহ্বানের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই বিষয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের প্ল্যাটফর্ম উভয় পক্ষকে বাণিজ্য বাধা, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাংক লেনদেনে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার উপায়গুলো খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা জানান, ক্রমবর্ধমান উৎপাদন শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক দামে মানসম্পন্ন আমদানির উৎস হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পশ্চিমা বাজারে বিশ্বমানের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল পণ্য, চীনামাটির বাসন, ওষুধ, হিমায়িত মাছ ও সামুদ্রিক খাবার, চামড়াজাত পণ্য, পাটের সুতা, আইটি, হালকা প্রকৌশল, ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ, কৃষি পণ্য এবং আরও অনেক পণ্য ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে আসছে।
তিনি ইরানেও সেইসব পণ্য রপ্তানি করতে বাংলাদেশের আগ্রহ ও সক্ষমতার কথা জানান।
সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ইরানকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশংসা করেন যে এটি একটি সফল কূটনৈতিক কৌশলের ক্লাসিক উদাহরণ, যা উপসাগরীয় অঞ্চলে এবং তার বাইরেও বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করবে।
আরও পড়ুন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন, আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট এবং ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
তিনি জানান যে তার সরকার ইসরায়েলি বাহিনীর এই ধরনের বেআইনি কাজের নিন্দা করেছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা হ্রাস সত্ত্বেও পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি প্রসারিত মানবিক আচরণ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে অবহিত করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে তিনি ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যকে সমর্থন করার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।
হাসিনা প্রেসিডেন্ট ও ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে পবিত্র রমজান এবং বিলম্বিত নওরোজ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তিনি তাকে ধন্যবাদও জানান।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ১৯৯৭ সালে অষ্টম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং ২০১২ সালের আগস্টে তেহরানে ১৬তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য তার ইরান সফরের কথা স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা ভাগ করা ইতিহাস, বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্টকে তার সুবিধামত বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি তাকে এবং ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত: শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে এবং নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস রবিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে, যা মূলত গত ২১ মার্চ পাঠানো হয়েছিল।
চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাইডেন তাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাইডেন চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশিরা মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ তারা ১৯৭১ সালে তাদের নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব চান রাজা চার্লস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি মনে করিয়ে দিতে চান যে দুই জাতির জন্যই ‘গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ ‘গভীর মূল্য’ রাখে।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্য যা বৈশ্বিক মহামারি শেষ করার রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।
বাইডেন বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে। যেমন-অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদার করা এবং একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত: শি জিনপিং
'দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে' বাংলাদেশ: ব্লিংকেন
বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত: শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তা আরও শক্তিশালী হবে।’
স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং এবং স্টেট কাউন্সিলের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন গ্যাং যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পৃথকভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
বর্তমানে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং কার্যকর সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে প্রস্তুত চীন: শি জিনপিং
তিনি বলেন, ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ নির্মাণ ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা দুই দেশ এবং তাদের জনগণের জন্য সত্যিকার সুফল বয়ে এনেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো তার বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই এবং চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’
শি বলেছেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আপনাকে, আপনার দেশের সরকার ও জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীন উন্নয়ন সহযোগী, রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না: তথ্যমন্ত্রী
চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
শপথ নিলেন নেপালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল
নেপালের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার কাঠমান্ডুতে শপথ নিয়েছেন।
এর আগে ফেডারেল পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাম চন্দ্র পাওদেলকে নির্বাচিত করেন।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং সংসদ সদস্যরা সোমবারের অনুষ্ঠানে নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান। সেসময় সামরিক ব্যান্ড দেশটির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং তাকে অভিবাদন জানায়।
রাম চন্দ্র পাওদেল শপথ নেয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি পদত্যাগ করেন।
যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্ট মূলত সামান্য রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল
কিন্তু এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের অংশীদারদের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
কেননা দাহাল বিরোধীপক্ষের পাওদেলকে সমর্থন করেছিলেন, যিনি এখন নেপালী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডারও।
অন্যদিকে তার প্রধান জোটের অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) তার নিজের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র নেমবাংকে সমর্থন করেছিল।
দলটি তখন থেকে দাহালের ক্ষমতা নিয়ে অভিযোগ করে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে।
দাহাল তখন থেকে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থন হারিয়েছে, যেগুলো তার প্রাথমিক জোট সরকারের অংশ ছিল।
এছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মার্চের পরেই সংসদে তার আস্থা ভোট চাইতে হবে।
দাহাল কেন বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করার এবং তার জোটকে বিপন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না, তবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই সাধারণ। গত ১০ বছরে দেশটিতে আটটি ভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যালপাসের পদত্যাগ ঘোষণা
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের ১৩তম প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরপরই বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, চলতি ২০২৩ সালেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
ডেভিড ম্যালপাস ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের (ডব্লিউবিজি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ দেয়া একটি পোস্টে ম্যালপাস বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে চান।
অধুনা-লুপ্ত বিনিয়োগ ব্যাংক বিয়ার স্টার্নসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যালপাস লিখেছেন, ‘আমার মেয়াদকালে আমরা যা অর্জন করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শনিবার ঢাকায় আসছেন
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা দারিদ্র্য হ্রাস করতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, সরকারি ঋণের বোঝা কমাতে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা ও চাকরি, লিঙ্গসমতা এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহসহ মানব উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
ম্যালপাসের নেতৃত্বে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্বিগুণেরও বেশি জলবায়ু অর্থায়ন করেছে, যা ২০২২ সালে রেকর্ড ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ম্যালপাস বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সক্ষমকরণ ও বৃদ্ধির প্রচেষ্টারও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মেয়াদকালে বিশ্বব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে, একটি মহামারি তহবিল চালু করেছে এবং একটি জলবায়ু পরিবর্তন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
অন্যান্য অর্জন তুলে ধরে ম্যালপাস কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়ায় গ্রুপের ১৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ও এর স্পিলওভার প্রভাবের জন্য ১৭০ বিলিয়ন ডলার প্রতিক্রিয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি অধীর আগ্রহে অর্থনীতি, ব্যবসা, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
ম্যালপাস আরও লিখেছেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারজুড়ে মানুষের জীবন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উপায় খুঁজেছি।’
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনপ্রশাসন, অবকাঠামো, কৃষি আর্থিক ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্প সুদে ও বিনা সুদে ঋণ এবং অনুদান প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ঢাকা আসছেন
মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
পারভেজ মোশাররফ: জানা অজানা নানা দিক
পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ (৭৯) দীর্ঘ রোগভোগের পর রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল জিও নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সালে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন।
ফের ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ শরিফের সরকার মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং তাকে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এখানে তার জীবন এবং শাসনামলের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো-
শুরুর জীবন
মোশাররফ ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোশাররফউদ্দিন (সরকারি চাকুরিজীবী ও কূটনীতিক) এবং মা বেগম জারিন মোশাররফ। তার আরও দুই ভাই রয়েছেন। তার ভাই ড. জাভেদ মোশাররফ একজন অর্থনীতিবিদ এবং ড. নাভেদ মোশাররফ একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাবসানের পর ভারত বিভক্তির পর, তার পরিবার পাকিস্তানে চলে যায়। সরকারি কর্মচারী বাবার চাকরির সুবাদে তিনি সাত বছর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন
ভেনেজুয়েলায় গুয়াইদোকে 'প্রেসিডেন্ট' পদ থেকে বঞ্চিত করল বিরোধী দল
তিন বছর ধরে নতুন নির্বাচন এবং সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে অপসারনের জন্য হুয়ান গুয়াইদোর নেতৃত্বাধীন ভেনেজুয়েলার বিরোধীরা আন্দোলন করছে।
কিন্তু শুক্রবার একসময় গুয়াইদোকে সমর্থনকারী বেশকিছু রাজনীতিবিদ ৩৯ বছর বয়সী প্রকৌশলীকে অপসারণ এবং তার মার্কিন সমর্থিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ কে পরের বছর প্রেসিডেন্ট প্রাথমিক তত্ত্বাবধান এবং বিদেশে দেশের সম্পদ রক্ষায় একটি কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ভোটটি বিরোধীদের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনশীল ভারসাম্যকে প্রতিফলিত করে, যা ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের নতুন উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
ভেনেজুয়েলার চারটি প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে তিনটি গুয়াইদোর অপসারণের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিল, যাকে শুধুমাত্র তার নিজের জনপ্রিয় উইল পার্টি সমর্থন করেছিল।
আরও পড়ুন: ড্রোন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ফের ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
ভোটের পরে গুয়াইদো বলেছিলেন যে এই পদক্ষেপটি একটি ‘পাওয়ার ভ্যাকুয়াম’ তৈরি করবে যা আরও বিদেশি দেশগুলোকে মাদুরো প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার না থাকে তাহলে তারা কাকে স্বীকৃতি দেবে। ‘আজ আমরা অতল গহ্বরে ঝাঁপ দিয়েছি। এবং আমাদের সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
গুয়াইদোর বিরোধীরা বলেছেন, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কোন কর্তৃত্ব নেই এবং এটি মৌলিক পরিষেবা প্রদান করতে অক্ষম, কিছু ভেনিজুয়েলানরা এটিকে ‘ভুয়া’ সরকার বলে উপহাস করেছে।
ভোটের অনলাইন অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির সদস্য লুইস সিলভা বলেন, ‘আমি এই ভোটটি একটি ভারী হৃদয় দিয়ে করছি।’ ‘আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে পারিনি, তবে আমাদের নতুন কৌশল খুঁজতে হবে।’
কারাকাসের সাইমন বলিভার ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল ভার্নাগি বলেছেন, গুয়াইদোর নেতৃত্বে বিরোধীরা উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি করেছিল কিন্তু তারপরে ভেনিজুয়েলার শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আকুল আকাঙ্খার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভার্নাগি বলেছিলেন, ‘তিনি (মাদুরো) দখল বন্ধ করার, একটি পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,কিন্তু এর কিছুই হয়নি।’
গুয়াইদো ২০১৯ সালে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি তৎকালীন বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত আইনসভার সভাপতি ছিলেন।
২০১৫ সালে ভেনেজুয়েলার শেষ নির্বাচনকে অনেক পর্যবেক্ষক সুষ্ঠু বিবেচনা করার পরে পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু করেছিল। এটি ছিল মাদুরোর সমাজতন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রের বাইরের শেষ প্রতিষ্ঠান।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি যুক্তি দিয়েছিল যে মাদুরো ২০১৮ সালে তার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদে অবৈধভাবে জয়লাভ করেছিলেন। কারণ তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাই বিরোধী আইনপ্রণেতারা গুয়াইদোর নেতৃত্বে একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ তৈরি করেছিলেন। যা মাদুরো পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এবং অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
গুয়াইদো ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ আয়োজন করেছিলেন এবং একটি আন্তর্জাতিক সফরে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সফরকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েক ডজন ইউরোপীয় ও লাতিন আমেরিকান সরকার যা মাদুরোর শাসনকে প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে দেশটির বৈধ নেতা হিসাবে স্বীকৃত দেয়া হয়েছিল।
তার অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে হিউস্টন-ভিত্তিক তেল শোধনাগার সিটগো সহ বিদেশে ভেনিজুয়েলা সরকারের সম্পদের নিয়ন্ত্রণও দেয়া হয়েছিল যা হিমায়িত করা হয়েছিল।
কিন্তু গুয়াইদো-নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল ভেনিজুয়েলার সামরিক বাহিনী বা দেশটির আদালতকে তার পক্ষে জয়ী করতে ব্যর্থ হয়েছে, যখন মাদুরোর প্রশাসন রাস্তার বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিল এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর তার দখল আরও শক্ত করেছে।
মাদুরোকে তাড়ানোর ব্যর্থতা ভেনেজুয়েলাবাসীদের হতাশ করেছে, যারা দক্ষিণ আমেরিকায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি এবং সর্বনিম্ন মজুরির জন্য লড়াই করছে - এমন সমস্যা যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাখ লাখ লোককে অভিবাসন করতে প্ররোচিত করেছে।
নভেম্বরে ভেনেজুয়েলার আন্দ্রেস বেলো ইউনিভার্সিটির করা একটি জরিপে, ভেনেজুয়েলার মাত্র ছয় শতাংশ বলেছেন যে তারা গুয়াইদোকে ভোট দেবেন যদি তিনি পরের বছর প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন এবং আরও কয়েকজন বিরোধী নেতা বড় সংখ্যা পেয়ে থাকেন।
২০২০ সালের শেষের দিকে থেকে গুয়াইদোর প্রভাবও হ্রাস পেয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তাকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করেছিল। বিরোধী দলগুলোর বয়কট করা নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন আইনপ্রণেতাদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
২০১৫ সালের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অনেক সদস্য এখন নির্বাসিত। কিন্তু তারা ভেনিজুয়েলার বৈধ আইন প্রশাখা বলে দাবি করে চলেছেন। অনলাইন মিটিং করেন যেখানে তারা ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার’ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার অনলাইন অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী ১০৯ জন প্রাক্তন আইন প্রণেতার মধ্যে ৭২ জন বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটিতে গুয়াইদোর অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে প্রতিস্থাপন করার আহ্বান জানিয়ে একটি পদক্ষেপের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় নেতার ওপর হামলা
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, ৭ সেনা নিহত
দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট লিকে বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা দ. কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েলের সরকার দুর্নীতির অপরাধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাককে এক বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার বিশেষ ক্ষমাপ্রাপ্ত এক হাজার ৩৭৩ সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে লি অন্যতম।
তারা আরও জানায়, একটি জাতীয় ঐক্য প্রচারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লি’র মতো কিছু রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
৮১ বছর বয়সী লি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে জুন মাসে অস্থায়ীভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
সিইও থেকে পরবর্তীতে রক্ষণশীল রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া লি স্যামসাং সহ বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়া, তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানির তহবিল আত্মসাৎ এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এবং তার সময়কালে (প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনকালে) অন্যান্য দুর্নীতি-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
তিনি ব্যবসায়িক থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ব্যক্তি এবং তার দেশের অর্থনৈতিক উত্থানের প্রতীক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি হুন্দাই গ্রুপের কনস্ট্রাকশন আর্মে এন্ট্রি-লেভেল চাকরির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক কর্মজীবন শুরু করেন। আগে তিনি হুন্দাই গ্রুপের অধীনে ১০টি কোম্পানির সিইও পদে অধিষ্ঠিত হন। এবং ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে হুন্দাই গ্রুপের দ্রুত উত্থানের নেতৃত্ব দেন।
তার উত্তরসূরি ও সহকর্মী রক্ষণশীল পার্ক জিউন-হেকে ২০১৬-১৭ দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমতাচ্যুত এবং কারাগারে পাঠানোর পরে লি’র দুর্নীতির মামলাটি শুরু হয়েছিল। সাবেকদের কেলেঙ্কারিগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীলদের গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং দেশটির জাতীয় বিভাজন আরও গভীর করেছে।
পার্ক দীর্ঘ কারাভোগ করেছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনের উদারপন্থী পূর্বসূরি মুন জে-ইন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাকে ক্ষমা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
মোমেন বলেন, আর্জেন্টিনার পক্ষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে মার্চে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।
‘দুই দেশের মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
এদিকে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ আজ (বৃহস্পতিবার) বলেছেন তার দেশ আগামী বছর পুনরায় ঢাকায় একটি কূটনৈতিক মিশন স্থাপনে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমরা (আর্জেন্টিনা) আমাদের দলের সমর্থনে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের উদযাপন, খুব কাছ থেকে দেখেছি।’
তিনি আরও জানান, পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আর্জেন্টিনা দলের জন্য ও ফাইনালে তাদের জয়ের পর বাংলাদেশের ব্যাপক ও আন্তরিক জনসমর্থন ও উদযাপনে; দেশটির জনগণ এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
আসিফ এ চৌধুরী ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব কনসালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
আসিফ এ. চৌধুরী চিলিতে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল এবং চৌধুরী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব কনসালস (এফআইএসিএসি)-বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ৯০ সদস্যের মধ্যে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী তিন বছরের মেয়াদ ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের জন্য তিনি নির্বাচিত হন।
চৌধুরী একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এবং এফআইসিএসি-তে এশিয়া অঞ্চল থেকে প্রথম নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাইপ্রাসের লিমাসোলে এফআইএসিএসি আয়োজিত ১৩তম বিশ্ব কনসাল কংগ্রেসে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
চৌধুরী বাংলাদেশের কনস্যুলার কর্পস (সিসিবি) এর সাবেক সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিবও। যিনি ২০১৫ সাল থেকে এফআসিএসি-এর পরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ লিবিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
এফআইসিএসি হলো কনস্যুলার অ্যাসোসিয়েশনগুলোর একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক যা সকল স্বাগত দেশে কনস্যুলার অফিসারদের অবস্থা, বৈধতা এবং কার্যকারিতাকে সমর্থন এবং উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এফআইসিএসি, যাকে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ কনসালও বলা হয়, কোপেনহেগেনে ১৯৮২ সালের ২ অক্টোবর ডেনমার্কের কনসাল জেনারেল ভ্যাগন জেসপারসেনের নেতৃত্বে স্বপ্নদর্শীদের একটি ছোট দল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
গ্রীসে ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল জেনারেল নিকোলাওস মার্গারোপোলোস সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতে মলদোভার অনারারি কনসাল জেনারেল পি. ভাগেরিয়া মহাসচিব নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সমান সুযোগ থাকতে হবে: মার্কিন কর্মকর্তা